পরিচ্ছেদঃ
৯৯১। ৯৫৯ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।
৯৫৯। আবু হাসসান বর্ণনা করেন। আলী (রাঃ) যখন কোন আদেশ জারী করতেন তা কার্যকর করা হতো এবং তারপর বলা হতো, আমরা অমুক কাজটি সম্পন্ন করেছি, তখন আলী (রাঃ) বলতেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সত্য বলেছেন। এ কথা শুনে একদিন আশতার তাকে বললেন, এই যে কথাটা আপনি বলেন, এটা জনগণের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটা কি এমন কোন বিষয়, যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনার জন্য বিশেষভাবে নির্দিষ্ট করেছেন? আলী (রাঃ) বললেন, অন্য সব মানুষকে বাদ দিয়ে শুধু আমার জন্য কোন জিনিস রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দিষ্ট করেননি। তবে কোন বিশেষ বাণী যদি এমন থাকে যা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছ থেকে শুনেছি, তা আমি একটা বিশেষ পুস্তিকায় লিখে রাখি এবং আমার তরবারীর খাপে তা সংরক্ষণ করি। লোকরা তাঁর সেই পুস্তিকাটি সবসময় দেখতে চাইতো।
অবশেষে পুস্তিকাটি তিনি বের করলেন। দেখা গেল তাতে লেখা রয়েছে, যে ব্যক্তি কোন নতুন জিনিস তৈরি করবে, (অৰ্থাৎ ইসলামের নামে নতুন মতবাদ বা বিধি মনগড়াভাবে রচনা ও প্রচার করবে) অথবা এরূপ নতুন জিনিস রচনাকারীকে প্রশ্রয় দেবে, তার উপর আল্লাহর, ফেরেশতাদের ও সকল মানুষের অভিশাপ। তার পক্ষ থেকে কোন মুক্তিপণ বা ক্ষতিপূরণ গ্ৰহণ করা হবে না। তাতে আরো লেখা রয়েছে, ইবরাহীম মক্কাকে নিরাপদ ও পবিত্ররূপে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, আর আমি মদীনাকে নিরাপদ ও পবিত্ররূপে প্রতিষ্ঠিত করেছি। তার দু’পাশের দুই পাথুরে ভূখণ্ডের মাঝের সমগ্ৰ অঞ্চল নিরাপদ ও পবিত্র। তার কোন জনবসতিহীন স্থান দখল করা যাবে না। তার কোন শিকার তাড়ানো যাবে না। সেখানে কোন হারানো বস্তু কুড়ানো যাবে না। অবশ্য যে ব্যক্তি হারানো বস্তুর মালিক খুঁজবে, সে কুড়াতে পারবে। এর কোন গাছ-কাটা যাবে না। তবে কেউ যদি তার উটকে ঘাস, লতা ও গাছের পাতা খাওয়ায়, তবে তা খাওয়াতে পারবে। সেখানে লড়াই এর জন্য অস্ত্ৰ বহন করা যাবে না। তাতে আরো রয়েছে, মুমিনরা পরস্পরের জীবনের রক্ষক ও ক্ষতিপূরণদাতা। তাদের যে কোন নগণ্য ব্যক্তি অপর মুমিনকে নিরাপত্তা দিতে পারে। এখানে অমুমিনদের উপর মুমিনদের কর্তৃত্ব থাকবে।
জেনে রাখ, কোন কাফিরের বদলায় কোন মুমিনকে হত্যা করা যাবে না। যাকে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তাকে প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যা করা যাবে না।