পরিচ্ছেদঃ
৭৮৩। আবদুল্লাহ ইবনুল হারিছ বলেন, আমার পিতা হারিস উসমানের আমলে মক্কার একটা দায়িত্বে ছিলেন। তৎকালে একদিন উসমান মক্কায় এলেন। আমি কুদাইদে উসমানকে রকমারি খাদ্যদ্রব্য নিয়ে অভ্যর্থনা জানালাম। এ সময় জলাশয়ের পার্শ্ববর্তী লোকেরা একটা তিতির পাখি শিকার করলো। আমরা সেটা লবণ ও পানি দিয়ে রান্না করলাম। অতঃপর ওটিকে ছারীদ এর মাংস হিসাবে যুক্ত করলাম। তারপর তা উসমান (রাঃ) ও তাঁর সাথীদের সামনে পেশ করলাম। কিন্তু কেউ তা খেল না। তা দেখে উসমান (রাঃ) বললেনঃ এটা একটা শিকার বটে। তবে আমরা ওটা শিকার করিনি, শিকার করার আদেশও দেইনি। ইহরাম থেকে মুক্ত একদল লোক ওটা শিকার করেছে এবং আমাদেরকে খেতে দিয়েছে। সুতরাং এটা খাওয়ার অসুবিধা কোথায়? এ ব্যাপারে কে সঠিক মত দিতে পারবে? লোকেরা বললোঃ আলী (রাঃ)।
তখন আলীর নিকট দূত পাঠালেন। আলী (রাঃ) এলেন। আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস বলেনঃ আলী (রাঃ) যখন এলেন, তখনকার অবস্থা এখনও যেন আমি দেখতে পাচ্ছি। তিনি নিজের দুই কাঁধ থেকে ধুলোবালি ঝাড়ছেন। উসমান (রাঃ) তাঁকে বললেনঃ একটা শিকার, যা আমরা ধরিনি, ধরতে আদেশও দেইনি। ইহরামমুক্ত একদল লোক শিকার করেছে, তারপর আমাদেরকে খেতে দিয়েছে। এতে বাধা কী? এ কথা শুনে আলী (রাঃ) রেগে গেলেন। তিনি বললেনঃ আমি আল্লাহর শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, এমন কেউ কি এখানে আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে একটা জংলী গাধার পা যখন এনে দেয়া হয়েছিল, তখন সেখানে উপস্থিত ছিল?
তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আমরা ইহরামে আছি, তাই এটা ইহরাম মুক্তদেরকে আহার করাও। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের মধ্য থেকে বারো জন সাক্ষ্য দিলেন যে, তাঁরা ঐ সময় উপস্থিত ছিলেন। আলী (রাঃ) পুনরায় বললেনঃ আমি আল্লাহর শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, এখানে এমন কেউ আছে কি, যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট কবুতরের ডিম আনা হলে তিনি বলেছিলেনঃ “আমরা ইহরামে আছি। যারা ইহরাম বাঁধেনি, তাদেরকে এটা খাওয়াও।” এ ব্যাপারে আরো বারো জন সাক্ষ্য দিল। তা শুনে উসমান (রাঃ) উক্ত খাদ্য বর্জন করে নিজের তাবুর মধ্যে প্রবেশ করলেন। আর ঐ খাবার জলাশয়বাসী খেয়ে নিল।
[আবু দাউদ ১৮৪৯, মুসনাদ আহমাদ ৭৮8, ৮১৪]
حَدَّثَنَا هَاشِمُ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانَ يَعْنِي ابْنَ الْمُغِيرَةِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ الْهَاشِمِيُّ، قَالَ: كَانَ أَبِي الْحَارِثُ عَلَى أَمْرٍ مِنْ أُمُورِ مَكَّةَ فِي زَمَنِ عُثْمَانَ، فَأَقْبَلَ عُثْمَانُ إِلَى مَكَّةَ، فَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ الْحَارِثِ: فَاسْتَقْبَلْتُ عُثْمَانَ بِالنُّزُلِ بِقُدَيْدٍ، فَاصْطَادَ أَهْلُ الْمَاءِ حَجَلًا، فَطَبَخْنَاهُ بِمَاءٍ وَمِلْحٍ، فَجَعَلْنَاهُ عُرَاقًا لِلثَّرِيدِ، فَقَدَّمْنَاهُ إِلَى عُثْمَانَ وَأَصْحَابِهِ، فَأَمْسَكُوا، فَقَالَ عُثْمَانُ: صَيْدٌ لَمْ أَصْطَدْهُ، وَلَمْ نَأْمُرْ بِصَيْدِهِ، اصْطَادَهُ قَوْمٌ حِلٌّ فَأَطْعَمُونَاهُ، فَمَا بَأْسٌ؟ فَقَالَ عُثْمَانُ: مَنْ يَقُولُ فِي هَذَا؟ فَقَالُوا: عَلِيٌّ فَبَعَثَ إِلَى عَلِيٍّ، فَجَاءَ، قَالَ: عَبْدُ اللهِ بْنُ الْحَارِثِ: فَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى عَلِيٍّ حِينَ جَاءَ وَهُوَ يَحُتُّ الْخَبَطَ عَنْ كَفَّيْهِ، فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ: صَيْدٌ لَمْ نَصْطَدْهُ وَلَمْ نَأْمُرْ بِصَيْدِهِ، اصْطَادَهُ قَوْمٌ حِلٌّ، فَأَطْعَمُونَاهُ، فَمَا بَأْسٌ؟ قَالَ: فَغَضِبَ عَلِيٌّ وَقَالَ: أَنْشُدُ اللهَ رَجُلًا شَهِدَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ أُتِيَ بِقَائِمَةِ حِمَارِ وَحْشٍ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّا قَوْمٌ حُرُمٌ، فَأَطْعِمُوهُ أَهْلَ الْحِلِّ " قَالَ: فَشَهِدَ اثْنَا عَشَرَ رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ عَلِيٌّ: أُنْشِدُ اللهَ رَجُلًا شَهِدَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ أُتِيَ بِبَيْضِ النَّعَامِ، فَقَالَ: رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّا قَوْمٌ حُرُمٌ، أَطْعِمُوهُ أَهْلَ الْحِلِّ " قَالَ: فَشَهِدَ دُونَهُمْ مِنَ الْعِدَّةِ مِنَ الِاثْنَيْ عَشَرَ، قَالَ: فَثَنَى عُثْمَانُ وَرِكَهُ عَنِ الطَّعَامِ، فَدَخَلَ رَحْلَهُ، وَأَكَلَ ذَلِكَ الطَّعَامَ أَهْلُ الْمَاءِ
-
حسن لغيره، وهذا إسناد ضعيف لضعف علي بن زيد- وهو ابن جدعان
وأخرجه البزار (914) من طريق أبي عامر العقدي، عن سليمان بن المغيرة، بهذا الإسناد
وأخرجه أبو يعلي (356) من طريق حماد بن زيد، عن علي بن زيد، به
وأخرجه بنحوه أبو داود (1849) ، ومن طريقه البيهقي 5/194 من طريق حميد الطويل، عن إسحاق بن عبد الله بن الحارث، عن أبيه، به. مختصراً بقصة قائمة الحمار فقط من غير ذكر عدة من شهد، وإسناده صحيح. وسيأتي الحديث أيضاً برقم (784) و (814) ، وانظر (830)
قديد: اسم موضع قرب مكة. وعراق جمع عَرْق، وهو العظم الذي أخذ عنه اللحم
- والخَبَط ورق الشجر ينفض بالمخابط ويجفف ويطحن ويخلط بدقيق أوغيره ويعلف به الإبل