৬৫৬

পরিচ্ছেদঃ

৬৫৬। উবাইদুল্লাহ বিন ইয়াদ বলেছেন, আবদুল্লাহ বিন শাদ্দাদ আলীর (রাঃ) নিহত হওয়ার কয়েকদিন পর ইরাক থেকে ফিরে আয়িশার কাছে এলেন। আমরা তখন আয়িশার নিকট বসেছিলাম। আয়িশা (রাঃ) তাকে বললেনঃ হে আবদুল্লাহ বিন শাদ্দাদ, আমি যা তোমাকে জিজ্ঞাসা করবো তুমি কি তার জবাবে আমাকে সত্য বলবে? আলী (রাঃ) কর্তৃক নিহত লোকদের ঘটনা আমাকে বলবে? সে বললোঃ আমার কী হয়েছে যে আপনার কাছে সত্য বলবো না? আয়িশা (রাঃ) বলেন, এরপর তিনি তাদের কাহিনী নিম্নরূপ বর্ণনা করলেনঃ

আলী (রাঃ) যখন মুয়াবিয়ার সাথে চুক্তিবদ্ধ হলেন এবং দু’জন শালিশ তাদের সিদ্ধান্ত দিলেন, তখন আট হাজার কুরআনের পাঠক (হাফিয) তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলো। তার হারুরা নামক স্থানে কুফার দিক থেকে এসে সমবেত হলো এবং তারা এই বলে ভর্ৎসনা করলোঃ যে জামাটি আল্লাহ আপনাকে পরিয়েছিলেন, (অর্থাৎ খিলাফাত) তা আপনি খুলে ফেলেছেন এবং যে নামে আল্লাহ আপনাকে নামকরণ করেছিলেন তা আপনি খুইয়ে ফেলেছেন। তারপর আপনি এতদূর গিয়েছেন যে, আল্লাহর দীনের ব্যাপারে অন্যদের শালিশ মেনেছেন। সুতরাং আল্লাহ ছাড়া আর কারো শাসন নয়। (অৰ্থাৎ আপনাকে শাসক মানি না) আলী (রাঃ) যখন তাদের এই ভর্ৎসনা ও তাদের পক্ষ থেকে তাকে ত্যাগ করার খবর শুনলেন, তখন জনৈক ঘোষণাকারীকে আদেশ দিয়ে এই ঘোষণা জারী করালেন যে, আমীরুল মুমিনীনের কাছে কুরআন বহনকারী ছাড়া আর কেউ যেন না আসে।

এ ঘোষণার ফলে যখন আলী (রাঃ) এর বাড়ি হাফিযদের দ্বারা পূর্ণ হয়ে গেল, তখন একটি বড় আকারের কুরআন শরীফ তাঁর কাছে নিয়ে আসার আদেশ দিলেন। সেই কুরআন শরীফটি তার সামনে রাখা হলো। তিনি তার ওপর হাত চাপড়ে বললেনঃ ওহে কুরআন শরীফ, মানুষকে জানাও। লোকেরা তাকে বললেনঃ হে আমীরুল মুমিনীন, তার কাছে আপনি কী চাইছেন? সেতো একটা কাগজের ওপর কিছু কালি ছাড়া কিছু নয়। আর আমরা কথা বলছি আমাদের পক্ষ থেকে যা বর্ণনা করা হয়েছে সে সম্পর্কে। সুতরাং আপনি কী চান?

আলী (রাঃ) বললেনঃ তোমাদের এই সব সাথী, যারা বিদ্রোহ করেছে, তাদের মধ্যে ও আমাদের মধ্যে আল্লাহর কিতাব ফায়সালাকারী হিসাবে বিদ্যমান। আল্লাহ তাঁর কিতাবে একজন পুরুষ ও স্ত্রী সম্পর্কে বলেছেনঃ তোমরা যদি স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে বিরোধের আশঙ্কা কর, তাহলে স্বামীর পরিবার থেকে একজন শালিশ এবং স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন শালিশ পাঠাও। তারা উভয়ে যদি নিজেদের সংশোধন কামনা করে, তাহলে আল্লাহ তাদের মধ্যে সম্প্রীতির সৃষ্টি করে দেবেন।” মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মাতের রক্ত ও সম্মান একজন স্বামী ও স্ত্রীর চেয়ে অনেক বেশি মর্যাদা সম্পন্ন। তারা আমার ওপর রাগান্বিত এ জন্য যে, আমি মুয়াবিয়ার সাথে সন্ধি করেছি। অথচ আবু তালিবের ছেলে আলী চুক্তি লিখেছিল তখন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্বগোত্র কুরাইশের সাথে সন্ধি করেছিলেন।

তখন সুহাইল বিন আমর আমাদের নিকট উপস্থিত হয়েছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লিখলেন “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।” সুহাইল বললোঃ “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” লিখবেন না। তিনি বললেনঃ তাহলে কী লিখবো? সে বললোঃ লিখুন, বিসমিকা আল্লাহুম্মা”। এরপর রাসূলুল্লাহ আমাকে বললেনঃ লেখঃ “আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ” ... সুহাইল বাধা দিয়ে বললোঃ আমরা যদি আপনাকে আল্লাহর রাসূল মানতাম, তাহলে তো আপনার বিরোধিতাই করতাম না। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লিখলেনঃ এটা সেই সন্ধি, যা আবদুল্লাহর ছেলে মুহাম্মাদ কুরাইশের সাথে স্থাপন করেছেন। আল্লাহ তাঁর কিতাবে বলেনঃ “আল্লাহর রাসূলের মধ্যে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ রয়েছে যারা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস রাখে তাদের জন্য।” (অর্থাৎ কাফিরদের সাথে যদি সন্ধি করা বৈধ হয়ে থাকে, তাহলে মুয়াবিয়ার সাথে তা অবশ্যই বৈধ হবে)

অতঃপর আলী (রাঃ) তাদের নিকট আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাসকে পাঠালেন। আমিও তার সাথে রওনা হলাম। যখন তাদের বাহিনীর মাঝে পৌঁছলাম, তখন ইবনুল কাওয়া জনগণের সামনে ভাষণ দিতে আরম্ভ করলো। সে বললোঃ হে কুরআন বহনকারীগণ, এ হচ্ছে আবদুল্লাহ ইবনুল আব্বাস। তাঁকে যারা চেনে না, আমি তাদের সামনে আল্লাহর কিতাব থেকে তাঁর পরিচয় তুলে ধরছি। এই ব্যক্তি তাদেরই একজন, যাদের সম্পর্কে কুরআনে নাযিল হয়েছে قَوْمٌ خَصِمُونَ “তারা হলো একটা ঝগড়াটে জাতি।” সুতরাং তাকে তার বন্ধুর কাছে (আলীর কাছে) ফেরত পাঠাও এবং তার সাথে আল্লাহর কিতাব দ্বারা বাজি ধরোনা।

তৎক্ষণাত তাদের মধ্য থেকে অন্যান্য ভাষণদাতা উঠে বললোঃ আল্লাহর কসম, আমরা অবশ্যই তার সাথে আল্লাহর কিতাব দ্বারা বাজি ধরবো। সে যদি সত্য ও সঠিক বক্তব্য নিয়ে আসে এবং আমরা তা বুঝতে পারি। তাহলে আমরা অবশ্যই তা মেনে চলবো। আর যদি অসত্য নিয়ে আসে, তাহলে আমরা তাকে অবশ্যই তার বাতিলযুক্তিতে পরাজিত করবো। তারপর তারা আবদুল্লাহর সাথে তিনদিন আল্লাহর কিতাবের বাজি ধরে রইল। এরপর তাদের (মুয়াবিয়ার পক্ষের) মধ্য থেকে চারহাজার ব্যক্তি তাদের বাজি প্রত্যাহার করলো এবং প্রত্যেকে তাওবা করলো। ইবনুল কাওয়াও তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, যিনি তাদের সবাইকে কুফায় আলীর নিকট হাজির করলেন।

আলী (রাঃ) অবশিষ্ট লোকদের নিকট এই মর্মে বার্তা পাঠালেন, ইতিমধ্যে আমাদের ও জনগনের মধ্যে যা হয়েছে, তা তো তোমরা দেখতেই পেয়েছ। সুতরাং তোমরা যেখানে চাও, স্থির হও, যতক্ষণ মুহাম্মাদ (রাঃ)-এর উম্মাত আমাদের ও তোমাদের মধ্যে সমবেত না হয়। তোমরা কোন অবৈধ রক্তপাত করো না। ডাকাতি রাহাজানি ও লুণ্ঠন করো না এবং কোন সংখ্যালঘুর ওপর যুলুম করো না। যদি এসব কর, তাহলে আমরাও একইভাবে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবো। কেননা আল্লাহ বিশ্বাসঘাতকদেরকে পছন্দ করেন না। আয়িশা (রাঃ) বললেনঃ হে ইবনে শাদ্দাদ, আলী কি তাদেরকে হত্যা করেছিলেন? ইবনে শাদ্দাদ বললেনঃ আল্লাহর কসম, তাদের কাছে আলী (রাঃ) কোন বাহিনী ততক্ষণ পাঠাননি, যতক্ষণ না তারা ডাকাতি ও লুটপাট চালিয়েছে, রক্তপাত করেছে এবং অমুসলিমদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে।

আয়িশা (রাঃ) বললেনঃ সত্যি? সে বললোঃ আল্লাহর কসম, যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নাই। এটাই ঘটেছিল। আয়িশা (রাঃ) বললেনঃ তাহলে ইরাকীদের সম্পর্কে আমি যে শুনলাম, তারা বলাবলি করে, “উন্নত বক্ষা নারীদের মালিক”, উন্নত বক্ষা নারীদের মালিক”- এটা কী? ইবনে শাদ্দাদ বললেনঃ যে ব্যক্তি এ রকম রটনা করে, তাকে আমি দেখেছি এবং আলীকে সাথে নিয়ে নিহতদের মধ্যে তার জানাযা পড়েছি। তিনি লোকজনকে ডাকলেন এবং বললেনঃ তোমরা একে চিন? বহুলোক এসে বললোঃ ওকে অমুক গোত্রের মসজিদে নামায পড়তে দেখেছি, অমুক মসজিদে নামায পড়তে দেখেছি। কিন্তু তারা এইটুকু ছাড়া কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ কেউ দিতে পারলো না।

আয়িশা (রাঃ) বললেনঃ আলী (রাঃ) যখন তার জানাযা পড়লেন, তখন ইরাকবাসী যে ধারণা পোষণ করে, তার সম্পর্কে তিনি কী বললেন? ইবনে শাদ্দাদ বললেনঃ তাকে বলতে শুনলামঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সত্য বলেছেন। আয়িশা বললেনঃ তাকে কি অন্য কিছু বলতে শুনেছি? ইবনে শাদ্দাদ বললেনঃ আল্লাহর কসম, না। আয়িশা (রাঃ) বললেন, হ্যাঁ। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সত্যই বলেছেন। আল্লাহ আলীর ওপর রহমত করুন। কারণ তিনি যে কোন বিস্ময়কর ব্যাপার দেখলেই বলতেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সত্য বলেছেন। অথচ ইরাকবাসী তার ওপর মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে ও অতিরঞ্জিত কথা বলে।

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى الطَّبَّاعُ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عِيَاضِ بْنِ عَمْرٍو الْقَارِيِّ قَالَ: جَاءَ عَبْدُ اللهِ بْنُ شَدَّادٍ، فَدَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ، وَنَحْنُ عِنْدَهَا جُلُوسٌ، مَرْجِعَهُ مِنَ الْعِرَاقِ لَيَالِيَ قُتِلَ عَلِيٌّ، فَقَالَتْ لَهُ: يَا عَبْدَ اللهِ بْنَ شَدَّادٍ، هَلْ أَنْتَ صَادِقِي عَمَّا أَسْأَلُكَ عَنْهُ؟ تُحَدِّثُنِي عَنْ هَؤُلَاءِ الْقَوْمِ الَّذِينَ قَتَلَهُمْ عَلِيٌّ، قَالَ: وَمَا لِي لَا أَصْدُقُكِ؟ قَالَتْ: فَحَدِّثْنِي عَنْ قِصَّتِهِمْ قَالَ: فَإِنَّ عَلِيًّا لَمَّا كَاتَبَ مُعَاوِيَةَ، وَحَكَّمَ الْحَكَمَيْنِ، خَرَجَ عَلَيْهِ ثَمَانِيَةُ آلافٍ مِنْ قُرَّاءِ النَّاسِ، فَنَزَلُوا بِأَرْضٍ يُقَالُ لَهَا: حَرُورَاءُ، مِنْ جَانِبِ الْكُوفَةِ، وَإِنَّهُمْ عَتَبُوا عَلَيْهِ فَقَالُوا: انْسَلَخْتَ مِنْ قَمِيصٍ أَلْبَسَكَهُ اللهُ تَعَالَى، وَاسْمٍ سَمَّاكَ اللهُ تَعَالَى بِهِ، ثُمَّ انْطَلَقْتَ فَحَكَّمْتَ فِي دِينِ اللهِ، فَلا حُكْمَ إِلا لِلَّهِ تَعَالَى. فَلَمَّا أَنْ بَلَغَ عَلِيًّا مَا عَتَبُوا عَلَيْهِ، وَفَارَقُوهُ عَلَيْهِ، فَأَمَرَ مُؤَذِّنًا فَأَذَّنَ: أَنْ لَا يَدْخُلَ عَلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ إِلا رَجُلٌ قَدْ حَمَلَ الْقُرْآنَ. فَلَمَّا أَنِ امْتَلاتِ الدَّارُ مِنْ قُرَّاءِ النَّاسِ، دَعَا بِمُصْحَفٍ إِمَامٍ عَظِيمٍ، فَوَضَعَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَجَعَلَ يَصُكُّهُ بِيَدِهِ وَيَقُولُ: أَيُّهَا الْمُصْحَفُ، حَدِّثِ النَّاسَ، فَنَادَاهُ النَّاسُ فَقَالُوا: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، مَا تَسْأَلُ عَنْهُ إِنَّمَا هُوَ مِدَادٌ فِي وَرَقٍ، وَنَحْنُ نَتَكَلَّمُ بِمَا رُوِينَا مِنْهُ، فَمَاذَا تُرِيدُ؟ قَالَ: أَصْحَابُكُمْ هَؤُلاءِ الَّذِينَ خَرَجُوا، بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ كِتَابُ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ، يَقُولُ اللهُ تَعَالَى فِي كِتَابِهِ فِي امْرَأَةٍ وَرَجُلٍ: وَإِنْ خِفْتُمْ شِقَاقَ بَيْنِهِمَا فَابْعَثُوا حَكَمًا مِنْ أَهْلِهِ وَحَكَمًا مِنْ أَهْلِهَا إِنْ يُرِيدَا إِصْلاحًا يُوَفِّقِ اللهُ بَيْنَهُمَا فَأُمَّةُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْظَمُ دَمًا وَحُرْمَةً مِنَ امْرَأَةٍ وَرَجُلٍ وَنَقَمُوا عَلَيَّ أَنْ كَاتَبْتُ مُعَاوِيَةَ: كَتَبَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَقَدْ جَاءَنَا سُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو، وَنَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحُدَيْبِيَةِ، حِينَ صَالَحَ قَوْمَهُ قُرَيْشًا، فَكَتَبَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ". فَقَالَ: سُهَيْلٌ لَا تَكْتُبْ : بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ. فَقَالَ: " كَيْفَ نَكْتُبُ ؟ " فَقَالَ: اكْتُبْ بِاسْمِكَ اللهُمَّ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فَاكْتُبْ: مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللهِ " فَقَالَ: لَوْ أَعْلَمُ أَنَّكَ رَسُولُ اللهِ لَمْ أُخَالِفْكَ. فَكَتَبَ: هَذَا مَا صَالَحَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ قُرَيْشًا. يَقُولُ: اللهُ تَعَالَى فِي كِتَابِهِ: لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِمَنْ كَانَ يَرْجُو اللهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ " فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ عَلِيٌّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَبَّاسٍ، فَخَرَجْتُ مَعَهُ، حَتَّى إِذَا تَوَسَّطْنَا عَسْكَرَهُمْ، قَامَ ابْنُ الْكَوَّاءِ يَخْطُبُ النَّاسَ، فَقَالَ: يَا حَمَلَةَ الْقُرْآنِ، إِنَّ هَذَا عَبْدُ اللهِ بْنُ عَبَّاسٍ، فَمَنْ لَمْ يَكُنْ يَعْرِفُهُ فَأَنَا أُعَرِّفُهُ مِنْ كِتَابِ اللهِ مَا يَعْرِفُهُ بِهِ، هَذَا مِمَّنْ نَزَلَ فِيهِ وَفِي قَوْمِهِ: قَوْمٌ خَصِمُونَ فَرُدُّوهُ إِلَى صَاحِبِهِ، وَلا تُوَاضِعُوهُ كِتَابَ اللهِ. فَقَامَ خُطَبَاؤُهُمْ فَقَالُوا: وَاللهِ لَنُوَاضِعَنَّهُ كِتَابَ اللهِ، فَإِنْ جَاءَ بِحَقٍّ نَعْرِفُهُ لَنَتَّبِعَنَّهُ، وَإِنْ جَاءَ بِبَاطِلٍ لَنُبَكِّتَنَّهُ بِبَاطِلِهِ. فَوَاضَعُوا عَبْدَ اللهِ الْكِتَابَ ثَلاثَةَ أَيَّامٍ، فَرَجَعَ مِنْهُمْ أَرْبَعَةُ آلافٍ كُلُّهُمْ تَائِبٌ، فِيهِمُ ابْنُ الْكَوَّاءِ، حَتَّى أَدْخَلَهُمْ عَلَى عَلِيٍّ الْكُوفَةَ، فَبَعَثَ عَلِيٌّ، إِلَى بَقِيَّتِهِمْ، فَقَالَ: قَدْ كَانَ مِنْ أَمْرِنَا وَأَمْرِ النَّاسِ مَا قَدْ رَأَيْتُمْ، فَقِفُوا حَيْثُ شِئْتُمْ، حَتَّى تَجْتَمِعَ أُمَّةُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ أَنْ لَا تَسْفِكُوا دَمًا حَرَامًا، أَوْ تَقْطَعُوا سَبِيلًا، أَوْ تَظْلِمُوا ذِمَّةً، فَإِنَّكُمْ إِنْ فَعَلْتُمْ فَقَدْ نَبَذْنَا إِلَيْكُمِ الْحَرْبَ عَلَى سَوَاءٍ، إِنَّ اللهَ لَا يُحِبُّ الْخَائِنِينَ. فَقَالَتْ لَهُ عَائِشَةُ: يَا ابْنَ شَدَّادٍ، فَقَدْ قَتَلَهُمْ فَقَالَ: وَاللهِ مَا بَعَثَ إِلَيْهِمْ حَتَّى قَطَعُوا السَّبِيلَ، وَسَفَكُوا الدَّمَ، وَاسْتَحَلُّوا أَهْلَ الذِّمَّةِ. فَقَالَتْ: آَللَّهُ؟ قَالَ: آللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ لَقَدْ كَانَ. قَالَتْ: فَمَا شَيْءٌ بَلَغَنِي عَنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ يَتَحَدَّثُونَهُ؟ يَقُولُونَ: ذُو الثُّدَيِّ، وَذُو الثُّدَيِّ. قَالَ: قَدْ رَأَيْتُهُ، وَقُمْتُ مَعَ عَلِيٍّ عَلَيْهِ فِي الْقَتْلَى، فَدَعَا النَّاسَ فَقَالَ: أَتَعْرِفُونَ هَذَا؟ فَمَا أَكْثَرَ مَنْ جَاءَ يَقُولُ: قَدْ رَأَيْتُهُ فِي مَسْجِدِ بَنِي فُلَانٍ يُصَلِّي، وَرَأَيْتُهُ فِي مَسْجِدِ بَنِي فُلَانٍ يُصَلِّي، وَلَمْ يَأْتُوا فِيهِ بِثَبَتٍ يُعْرَفُ إِلَّا ذَلِكَ. قَالَتْ: فَمَا قَوْلُ عَلِيٍّ حِينَ قَامَ عَلَيْهِ كَمَا يَزْعُمُ أَهْلُ الْعِرَاقِ؟ قَالَ: سَمِعْتُهُ يَقُولُ: صَدَقَ اللهُ وَرَسُولُهُ قَالَتْ: هَلْ سَمِعْتَ مِنْهُ أَنَّهُ قَالَ غَيْرَ ذَلِكَ؟ قَالَ: اللهُمَّ لَا. قَالَتْ: أَجَلْ، صَدَقَ اللهُ وَرَسُولُهُ، يَرْحَمُ اللهُ عَلِيًّا إِنَّهُ كَانَ مِنْ كَلَامِهِ لَا يَرَى شَيْئًا يُعْجِبُهُ إِلَّا قَالَ: صَدَقَ اللهُ وَرَسُولُهُ، فَيَذْهَبُ أَهْلُ الْعِرَاقِ يَكْذِبُونَ عَلَيْهِ، وَيَزِيدُونَ عَلَيْهِ فِي الْحَدِيثِ

إسناده حسن، يحمى بن سُليم- وهو الطائفي- مختلف فيه يتقاصر عن رتبة الصحيح له في البخاري حديث واحد، واحتجّ به مسلم والباقون، وباقي رجاله ثقات رجال الصحيح غيرَ عبيد الله بن عياض بن عمرو، فقد روى له البخاري في "الأدب المفرد" وهو ثقة، وقال ابنُ كثير في "تاريخه" 7/292 بعد أن ذكر من رواية أحمد: تَفَرد به أحمد وإسناده صحيح، واختاره الضياء (يعني في "المختارة")
وأخرجه أبو يعلى (474) عن إسحاق بنِ أبي إسرائيل، عن يحيى بنِ سُليم، بهذا الإسناد
وأورده الهيثمي في "المجمع" 6/235-237 ونسبه إلى أبي يعلى، ولم ينسبه إلى أحمد مع أنَّه من شرطه! وقال: رجاله ثقات

حدثنا اسحاق بن عيسى الطباع، حدثني يحيى بن سليم، عن عبد الله بن عثمان بن خثيم، عن عبيد الله بن عياض بن عمرو القاري قال: جاء عبد الله بن شداد، فدخل على عاىشة، ونحن عندها جلوس، مرجعه من العراق ليالي قتل علي، فقالت له: يا عبد الله بن شداد، هل انت صادقي عما اسالك عنه؟ تحدثني عن هولاء القوم الذين قتلهم علي، قال: وما لي لا اصدقك؟ قالت: فحدثني عن قصتهم قال: فان عليا لما كاتب معاوية، وحكم الحكمين، خرج عليه ثمانية الاف من قراء الناس، فنزلوا بارض يقال لها: حروراء، من جانب الكوفة، وانهم عتبوا عليه فقالوا: انسلخت من قميص البسكه الله تعالى، واسم سماك الله تعالى به، ثم انطلقت فحكمت في دين الله، فلا حكم الا لله تعالى. فلما ان بلغ عليا ما عتبوا عليه، وفارقوه عليه، فامر موذنا فاذن: ان لا يدخل على امير المومنين الا رجل قد حمل القران. فلما ان امتلات الدار من قراء الناس، دعا بمصحف امام عظيم، فوضعه بين يديه، فجعل يصكه بيده ويقول: ايها المصحف، حدث الناس، فناداه الناس فقالوا: يا امير المومنين، ما تسال عنه انما هو مداد في ورق، ونحن نتكلم بما روينا منه، فماذا تريد؟ قال: اصحابكم هولاء الذين خرجوا، بيني وبينهم كتاب الله عز وجل، يقول الله تعالى في كتابه في امراة ورجل: وان خفتم شقاق بينهما فابعثوا حكما من اهله وحكما من اهلها ان يريدا اصلاحا يوفق الله بينهما فامة محمد صلى الله عليه وسلم اعظم دما وحرمة من امراة ورجل ونقموا علي ان كاتبت معاوية: كتب علي بن ابي طالب، وقد جاءنا سهيل بن عمرو، ونحن مع رسول الله صلى الله عليه وسلم بالحديبية، حين صالح قومه قريشا، فكتب رسول الله صلى الله عليه وسلم: " بسم الله الرحمن الرحيم ". فقال: سهيل لا تكتب : بسم الله الرحمن الرحيم. فقال: " كيف نكتب ؟ " فقال: اكتب باسمك اللهم، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " فاكتب: محمد رسول الله " فقال: لو اعلم انك رسول الله لم اخالفك. فكتب: هذا ما صالح محمد بن عبد الله قريشا. يقول: الله تعالى في كتابه: لقد كان لكم في رسول الله اسوة حسنة لمن كان يرجو الله واليوم الاخر " فبعث اليهم علي عبد الله بن عباس، فخرجت معه، حتى اذا توسطنا عسكرهم، قام ابن الكواء يخطب الناس، فقال: يا حملة القران، ان هذا عبد الله بن عباس، فمن لم يكن يعرفه فانا اعرفه من كتاب الله ما يعرفه به، هذا ممن نزل فيه وفي قومه: قوم خصمون فردوه الى صاحبه، ولا تواضعوه كتاب الله. فقام خطباوهم فقالوا: والله لنواضعنه كتاب الله، فان جاء بحق نعرفه لنتبعنه، وان جاء بباطل لنبكتنه بباطله. فواضعوا عبد الله الكتاب ثلاثة ايام، فرجع منهم اربعة الاف كلهم تاىب، فيهم ابن الكواء، حتى ادخلهم على علي الكوفة، فبعث علي، الى بقيتهم، فقال: قد كان من امرنا وامر الناس ما قد رايتم، فقفوا حيث شىتم، حتى تجتمع امة محمد صلى الله عليه وسلم، بيننا وبينكم ان لا تسفكوا دما حراما، او تقطعوا سبيلا، او تظلموا ذمة، فانكم ان فعلتم فقد نبذنا اليكم الحرب على سواء، ان الله لا يحب الخاىنين. فقالت له عاىشة: يا ابن شداد، فقد قتلهم فقال: والله ما بعث اليهم حتى قطعوا السبيل، وسفكوا الدم، واستحلوا اهل الذمة. فقالت: الله؟ قال: الله الذي لا اله الا هو لقد كان. قالت: فما شيء بلغني عن اهل العراق يتحدثونه؟ يقولون: ذو الثدي، وذو الثدي. قال: قد رايته، وقمت مع علي عليه في القتلى، فدعا الناس فقال: اتعرفون هذا؟ فما اكثر من جاء يقول: قد رايته في مسجد بني فلان يصلي، ورايته في مسجد بني فلان يصلي، ولم ياتوا فيه بثبت يعرف الا ذلك. قالت: فما قول علي حين قام عليه كما يزعم اهل العراق؟ قال: سمعته يقول: صدق الله ورسوله قالت: هل سمعت منه انه قال غير ذلك؟ قال: اللهم لا. قالت: اجل، صدق الله ورسوله، يرحم الله عليا انه كان من كلامه لا يرى شيىا يعجبه الا قال: صدق الله ورسوله، فيذهب اهل العراق يكذبون عليه، ويزيدون عليه في الحديث اسناده حسن، يحمى بن سليم- وهو الطاىفي- مختلف فيه يتقاصر عن رتبة الصحيح له في البخاري حديث واحد، واحتج به مسلم والباقون، وباقي رجاله ثقات رجال الصحيح غير عبيد الله بن عياض بن عمرو، فقد روى له البخاري في "الادب المفرد" وهو ثقة، وقال ابن كثير في "تاريخه" 7/292 بعد ان ذكر من رواية احمد: تفرد به احمد واسناده صحيح، واختاره الضياء (يعني في "المختارة") واخرجه ابو يعلى (474) عن اسحاق بن ابي اسراىيل، عن يحيى بن سليم، بهذا الاسناد واورده الهيثمي في "المجمع" 6/235-237 ونسبه الى ابي يعلى، ولم ينسبه الى احمد مع انه من شرطه! وقال: رجاله ثقات
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুসনাদে আহমাদ
মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)