১৫

পরিচ্ছেদঃ

১৫। আবু বাকর আস সিদ্দিক (রাঃ) বলেনঃ একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভোরে উঠলেন, ফজরের নামায পড়লেন। তারপর একই জায়গায় বসে রইলেন। দুপুরের আগে তিনি হাসলেন, তারপর আবার যথাস্থানে বসে রইলেন। অতঃপর একে একে জোহর, আছর ও মাগরিব পড়লেন। সব কিছুই নীরবে করলেন। অতঃপর সর্বশেষ নামায ইশা পড়লেন। তারপর নিজ পরিবারের নিকট চলে গেলেন। এরপর লোকেরা আবু বাকরকে বললোঃ আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেন না কেন, তার কী হয়েছে? আজ তিনি যা করলেন, তা তো আর কখনো করেন নি। অতঃপর আবু বাকর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ, আমার সামনে দুনিয়া ও আখিরাতের ভবিষ্যতের দৃশ্য দেখানো হয়েছে। পূর্বের ও পরের সকলকে একই ময়দানে সমবেত করা হলো। লোকেরা আতংকিত হয়ে আদম (আঃ) এর নিকট উপস্থিত হলো। তখন ঘাম তাদেরকে প্রায় আকণ্ঠ নিমজ্জিত করে ফেলেছে। সবাই বললোঃ হে আদম, আপনি তো মানব জাতির পিতা এবং আল্লাহ আপনাকে বিশেষভাবে মনোনীত করেছেন। আপনি আপনার প্রতিপালকের নিকট আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। আদম (আঃ) বললেনঃ তোমরা যে পরিস্থিতির সম্মুখীন, আমিও তদ্ৰপ পরিস্থিতির সম্মুখীন। তোমরা তোমাদের পিতার পরবর্তী পিতা নূহের নিকট যাও। আল্লাহ বলেছেনঃ “নিশ্চয় আল্লাহ আদমকে, নূহকে, ইবরাহীমের বংশধরকে ও ইমরানের বংশধরকে সমগ্ৰ বিশ্ববাসীর ওপরে অগ্ৰাধিকার দিয়েছেন”।

অতঃপর তারা নূহ (আঃ) এর নিকট গেল। তাঁকে বললোঃ আমাদের জন্য আপনার প্রতিপালকের নিকট সুপারিশ করুন। কেননা আল্লাহ আপনাকে বিশেষভাবে মনোনীত করেছেন এবং আপনার দু’আ কবুল করেছেন। আপনার দু’আর কারণে তিনি পৃথিবীতে কোন কাফির গৃহবাসীকে জ্যান্ত ছাড়েননি। নূহ (আঃ) বললেনঃ আমার দ্বারা ওটা হবে না। তোমরা বরং ইবরাহীম (আঃ) এর কাছে যাও। কেননা আল্লাহ তা’আলা তাকে ’খলীল’ তথা বন্ধুরূপে গ্ৰহণ করেছেন। সবাই ইবরাহীম (আঃ) এর নিকট যাবে।

ইবরাহীম (আঃ) বলবেনঃ আমার কিছু করার নেই। তবে তোমরা মূসার নিকট যাও। কেননা আল্লাহ তা’আলা তাঁর সাথে বিশেষভাবে কথোপকথন করেছেন। মূসা (আঃ) বলবেনঃ আমার দ্বারা ওটা হবে না। তোমরা বরং ঈসার (আঃ) এর নিকট যাও। তিনি তো অন্ধ ও কুণ্ঠরোগীকে আরোগ্য করতেন এবং মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করতেন। ঈসা (আঃ) বলবেনঃ ওটা আমার দ্বারা হবে না। তোমরা বরং আদম সন্তানদের যিনি সরদার, তার কাছে যাও। কিয়ামতের দিন তিনিই সর্ব প্রথম জীবিত হয়ে কবর থেকে বেরিয়ে আসবেন। তোমরা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট যাও। তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের প্রতিপালকের নিকট সুপারিশ করবেন। অতঃপর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রওয়ানা হবেন। এই সময়ে জিবরীল (আঃ) তাঁর প্রতিপালকের নিকট আসবেন।

আল্লাহ তাঁকে বলবেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অনুমতি দাও এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও। জিবরীল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে রওয়ানা হবেন। অতঃপর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিজদায় যাবেন এবং প্রায় এক জুমুআর সময় ব্যাপী সিজদায় থাকবেন। তখন আল্লাহ বলবেনঃ হে মুহাম্মাদ! তোমার মাথা ওঠাও। বল, শ্রবণ করা হবে। সুপারিশ কর, সুপারিশ গ্ৰহণ করা হবে। তারপর তিনি মাথা ওঠাবেন। তারপর যখন তাঁর প্রতিপালকের দিকে তাকাবেন, আবার সিজদায় পড়বেন এবং আরেক জুমুআহ পরিমাণ থাকবেন। তখন আল্লাহ তা’আলা বলবেনঃ তোমার মাথা ওঠাও, বল শ্রবণ করা হবে, সুপারিশ কর, গ্ৰহণ করা হবে। অতঃপর তিনি (পুনরায়) সিজদা করতে উদ্যত হবেন। তখন জিবরীল তাঁকে এমন দু’আ শিক্ষা দেবেন, যা আর কোন মানুষকে কখনো দেননি।

অতঃপর (মুহাম্মাদ) বলবেনঃ হে আমার প্রতিপালক, আমাকে আদম সন্তানদের সরদাররূপে সৃষ্টি করেছেন। এতে আমার কোন গর্ব নেই। আমাকে সর্ব প্রথম জীবিত করে কবর থেকে উঠিয়েছেন, এতেও কোন গর্ব নেই। এমনকি আমার নিকট হাউজ (কাউসার) আনা হবে- যা বিস্তৃত থাকবে সানয়া’ থেকে আইলা পর্যন্ত। তারপর বলা হবেঃ সিদ্দিকগণকে ডাক, তারা সুপারিশ করুক। পুনরায় বলা হবেঃ নবীগণকে ডাক, তারা সুপারিশ করুক। অতঃপর এক একজন নবী তাঁর দলসহ আসবেন। এক একজন নবী আসবেন পাঁচজন ছয়জন করে সাথী নিয়ে। এক একজন নবী আসবেন কোন সাথী ছাড়াই। পুনরায় বলা হবেঃ শহীদদেরকে ডাক, তারা যার যার জন্য ইচ্ছা সুপারিশ করুক। শহীদগণ যখন আসবেন ও সুপারিশ করবেন, তখন আল্লাহ বলবেনঃ আমি সকল দয়াবানের চেয়ে বড় দয়াবান। যারা আমার সাথে কাউকে শরীক করতো না তাদের সকলকে আমার জান্নাতে প্রবেশ করাও। অতঃপর তারা সবাই জান্নাতে প্ৰবেশ করবে।

পুনরায় আল্লাহ বলবেনঃ জাহান্নামের ভেতরে খুঁজে দেখ, সেখানে এমন কেউ আছে কিনা যে, কখনো কোন সৎকাজ করেছে। তখন তারা (ফেরেশতারা) জাহান্নামে এক ব্যক্তিকে পাবে। আল্লাহ তাকে বলবেনঃ তুমি কি কখনো কোন ভালো কাজ করেছ? সে বলবেঃ না। তবে ক্রয় বিক্রয়ের সময় আমি মানুষের প্রতি উদারতা প্ৰদৰ্শন করতাম। তখন তোমরা (ফেরেশতারা) তেমনি তার প্রতি উদারতা দেখাও। ফেরেশতারা পুনরায় জাহান্নাম থেকে অপর এক ব্যক্তিকে বের করে আনবে। আল্লাহ তাকে বলবেনঃ তুমি কি কখনো ভাল কাজ করেছ? সে বলবেঃ না। তবে আমি আমার সন্তানদের বলেছি, আমি মারা গেলে তোমরা আমাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিও। অতঃপর আমাকে (আমার পোড়া লাশকে) চুৰ্ণ করো। যখন আমি সুরমার মত হয়ে যাবো, তখন আমাকে সমুদ্রের কাছে নিয়ে বাতাসে উড়িয়ে দিও। তাহলে আল্লাহর কসম! বিশ্ব প্ৰভু আমাকে শাস্তি দিতে পারবেন না।

তখন আল্লাহ বলবেনঃ তুমি এরূপ করেছিলে কেন? সে বলবেঃ আপনার ভয়ে। তখন আল্লাহ বলবেনঃ তাকাও সর্বশ্রেষ্ঠ রাজার রাজ্যের দিকে। তোমার জন্য অনুরূপ রাজ্য ও অদ্ৰপ আরো দশটি রাজ্য নির্ধারিত রয়েছে। সে বলবেঃ আপনি বিশ্ব সম্রাট হয়েও আমার সাথে ঠাট্টা করছেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলবেনঃ দুপুরের পূর্বে আমি যে হেসেছিলাম, তা এই কারণেই।[১]

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ إِسْحَاقَ الطَّالْقَانِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ الْمَازِنِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو نَعَامَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو هُنَيْدَةَ الْبَرَاءُ بْنُ نَوْفَلٍ، عَنْ وَالَانَ الْعَدَوِيِّ، عَنْ حُذَيْفَةَ
عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: أَصْبَحَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ فَصَلَّى الْغَدَاةَ، ثُمَّ جَلَسَ، حَتَّى إِذَا كَانَ مِنَ الضُّحَى ضَحِكَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ جَلَسَ مَكَانَهُ حَتَّى صَلَّى الْأُولَى وَالْعَصْرَ وَالْمَغْرِبَ، كُلُّ ذَلِكَ لَا يَتَكَلَّمُ، حَتَّى صَلَّى الْعِشَاءَ الْآخِرَةَ، ثُمَّ قَامَ إِلَى أَهْلِهِ، فَقَالَ النَّاسُ لِأَبِي بَكْرٍ: أَلا تَسْأَلُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا شَأْنُهُ؟ صَنَعَ الْيَوْمَ شَيْئًا لَمْ يَصْنَعْهُ قَطُّ، قَالَ: فَسَأَلَهُ، فَقَالَ: نَعَمْ عُرِضَ عَلَيَّ مَا هُوَ كَائِنٌ مِنْ أَمْرِ الدُّنْيَا، وَأَمْرِ الْآخِرَةِ، فَجُمِعَ الْأَوَّلُونَ وَالْآخِرُونَ بِصَعِيدٍ وَاحِدٍ، فَفَظِعَ النَّاسُ بِذَلِكَ، حَتَّى انْطَلَقُوا إِلَى آدَمَ عَلَيْهِ السَّلامُ، وَالْعَرَقُ يَكَادُ يُلْجِمُهُمْ، فَقَالُوا: يَا آدَمُ، أَنْتَ أَبُو الْبَشَرِ، وَأَنْتَ اصْطَفَاكَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ، اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ، قَالَ: قَدْ لَقِيتُ مِثْلَ الَّذِي لَقِيتُمْ، انْطَلِقُوا إِلَى أَبِيكُمْ بَعْدَ أَبِيكُمْ، إِلَى نُوحٍ: (إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى آدَمَ وَنُوحًا وَآلَ إِبْرَاهِيمَ وَآلَ عِمْرَانَ عَلَى الْعَالَمِينَ) [آل عمران: ٣٣] ، قَالَ: فَيَنْطَلِقُونَ إِلَى نُوحٍ عَلَيْهِ السَّلامُ، فَيَقُولُونَ: اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ، فَأَنْتَ اصْطَفَاكَ اللهُ، وَاسْتَجَابَ لَكَ فِي دُعَائِكَ، وَلَمْ يَدَعْ عَلَى الْأَرْضِ مِنَ الْكَافِرِينَ دَيَّارًا، فَيَقُولُ: لَيْسَ ذَاكُمْ عِنْدِي، انْطَلِقُوا إِلَى إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلامُ، فَإِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ اتَّخَذَهُ خَلِيلًا، فَيَنْطَلِقُونَ إِلَى إِبْرَاهِيمَ، فَيَقُولُ: لَيْسَ ذَاكُمْ عِنْدِي، وَلَكِنِ انْطَلِقُوا إِلَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلامُ، فَإِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ كَلَّمَهُ تَكْلِيمًا، فَيَقُولُ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلامُ: لَيْسَ ذَاكُمْ عِنْدِي، وَلَكِنِ انْطَلِقُوا إِلَى عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ، فَإِنَّهُ يُبْرِئُ الْأَكْمَهَ وَالْأَبْرَصَ وَيُحْيِي الْمَوْتَى، فَيَقُولُ عِيسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ: لَيْسَ ذَاكُمْ عِنْدِي، وَلَكِنِ انْطَلِقُوا إِلَى سَيِّدِ وَلَدِ آدَمَ، فَإِنَّهُ أَوَّلُ مَنْ تَنْشَقُّ عَنْهُ الْأَرْضُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، انْطَلِقُوا إِلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَيَشْفَعَ لَكُمْ إِلَى رَبِّكُمْ عَزَّ وَجَلَّ

قَالَ: فَيَنْطَلِقُ، فَيَأْتِي جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلامُ رَبَّهُ، فَيَقُولُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: ائْذَنْ لَهُ، وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ، قَالَ : فَيَنْطَلِقُ بِهِ جِبْرِيلُ فَيَخِرُّ سَاجِدًا قَدْرَ جُمُعَةٍ، وَيَقُولُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: ارْفَعْ رَأْسَكَ يَا مُحَمَّدُ، وَقُلْ يُسْمَعْ، وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ، قَالَ: فَيَرْفَعُ رَأْسَهُ، فَإِذَا نَظَرَ إِلَى رَبِّهِ عَزَّ وَجَلَّ، خَرَّ سَاجِدًا قَدْرَ جُمُعَةٍ أُخْرَى، فَيَقُولُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: ارْفَعْ رَأْسَكَ، وَقُلْ يُسْمَعْ، وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ، قَالَ: فَيَذْهَبُ لِيَقَعَ سَاجِدًا، فَيَأْخُذُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلامُ بِضَبْعَيْهِ فَيَفْتَحُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَيْهِ مِنَ الدُّعَاءِ شَيْئًا لَمْ يَفْتَحْهُ عَلَى بَشَرٍ قَطُّ، فَيَقُولُ: أَيْ رَبِّ، خَلَقْتَنِي سَيِّدَ وَلَدِ آدَمَ، وَلا فَخْرَ، وَأَوَّلَ مَنْ تَنْشَقُّ عَنْهُ الْأَرْضُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَلا فَخْرَ، حَتَّى إِنَّهُ لَيَرِدُ عَلَيَّ الْحَوْضَ أَكْثَرُ مِمَّا بَيْنَ صَنْعَاءَ وَأَيْلَةَ، ثُمَّ يُقَالُ: ادْعُوا الصِّدِّيقِينَ فَيَشْفَعُونَ، ثُمَّ يُقَالُ: ادْعُوا الْأَنْبِيَاءَ ، قَالَ: فَيَجِيءُ النَّبِيُّ وَمَعَهُ الْعِصَابَةُ، وَالنَّبِيُّ وَمَعَهُ الْخَمْسَةُ وَالسِّتَّةُ، وَالنَّبِيُّ لَيْسَ مَعَهُ أَحَدٌ، ثُمَّ يُقَالُ: ادْعُوا الشُّهَدَاءَ فَيَشْفَعُونَ لِمَنْ أَرَادُوا، قَالَ: فَإِذَا فَعَلَتِ الشُّهَدَاءُ ذَلِكَ، قَالَ: يَقُولُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: أَنَا أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ، أَدْخِلُوا جَنَّتِي مَنْ كَانَ لَا يُشْرِكُ بِي شَيْئًا، قَالَ: فَيَدْخُلُونَ الْجَنَّة

قَالَ: ثُمَّ يَقُولُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: انْظُرُوا فِي النَّارِ: هَلْ تَلْقَوْنَ مِنْ أَحَدٍ عَمِلَ خَيْرًا قَطُّ؟ قَالَ: فَيَجِدُونَ فِي النَّارِ رَجُلًا، فَيَقُولُ لَهُ: هَلْ عَمِلْتَ خَيْرًا قَطُّ؟ فَيَقُولُ: لَا، غَيْرَ أَنِّي كُنْتُ أُسَامِحُ النَّاسَ فِي الْبَيْعِ ، فَيَقُولُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: أَسْمِحُوا لِعَبْدِي كَإِسْمَاحِهِ إِلَى عَبِيدِي.
ثُمَّ يُخْرِجُونَ مِنَ النَّارِ رَجُلًا فَيَقُولُ لَهُ: هَلْ عَمِلْتَ خَيْرًا قَطُّ؟ فَيَقُولُ: لَا، غَيْرَ أَنِّي قَدْ أَمَرْتُ وَلَدِي: إِذَا مِتُّ فَأَحْرِقُونِي بِالنَّارِ، ثُمَّ اطْحَنُونِي، حَتَّى إِذَا كُنْتُ مِثْلَ الْكُحْلِ، فَاذْهَبُوا بِي إِلَى الْبَحْرِ، فَاذْرُونِي فِي الرِّيحِ، فَوَاللهِ لَا يَقْدِرُ عَلَيَّ رَبُّ الْعَالَمِينَ أَبَدًا، فَقَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُ: لِمَ فَعَلْتَ ذَلِكَ؟ قَالَ: مِنْ مَخَافَتِكَ، قَالَ: فَيَقُولُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: انْظُرْ إِلَى مُلْكِ أَعْظَمِ مَلِكٍ، فَإِنَّ لَكَ مِثْلَهُ وَعَشَرَةَ أَمْثَالِهِ، قَالَ: فَيَقُولُ: لِمَ تَسْخَرُ بِي وَأَنْتَ الْمَلِكُ؟ قَالَ: وَذَاكَ الَّذِي ضَحِكْتُ مِنْهُ مِنَ الضُّحَى


إسناده حسن

أبو نعامة: هو عمرو بن عيسى بن سويد العدوي، وثقه ابن معين والنسائي وابن حبان، وقال أبو حاتم: لا بأس به، وقال أحمد: ثقة إلا أنه اختلط قبل موته، وقال الذهبي في الكاشف ": ثقة، قيل: تغير بأخرة، واحتج به مسلم وابن ماجه، وأبو هنيدة روى عنه جمع، وذكره ابن حبان في " الثقات " 7 / 668، وثقه ابن معين كما في " الجرح والتعديل " 2 / 40، وقال ابن سعد في " الطبقات " 7 / 226: كان معروفاً قليل الحديث، ووالان العدوي: هو والان بن بيهس أو ابن قرفة، قال الحافظ في " تعجيل المنفعة " رقم (1150) : قال ابن معين: والان بن قرفة بصري ثقة، وذكره ابن حبان في " الثقات " 5 / 497، وقول الدارقطني عنه في " العلل " 1 / 190 - 191: ليس بمشهور إلا في هذا الحديث، والحديث غير ثابت، متعقب بما في " لسان الميزان " 6 / 216: كذا قال، وقد قال يحيى بن معين: بصري ثقة، وذكره ابن حبان في " الثقات "، وأخرج حديثه في " صحيحه "، وكذا أخرجه أبو عوانة وهو من زياداته على مسلم

وأخرجه الدارمي في " الرد على الجهمية " 57 و88، وابن أبي عاصم في " السنة " (751) و (812) ، والمروزي (15) ، والبزار (76) ، وأبو يعلى (56) و (57) ، والدولابي في " الكنى والأسماء " 2 / 155، وأبو عوانة 1 / 175، وابن حبان (6476) من طرق عن النضر بن شميل، بهذا الإسناد
وأخرجه ابن حبان (6476) من طريق علي بن المديني، عن روح بن عبادة، عن أبي نعامة، به. ونقل عن إسحاق بن راهويه في آخر الحديث قوله: هذا من أشرف الحديث، وقد روى هذا الحديث عدةٌ عن النبي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نحو هذا، منهم: حذيفة وابن مسعود وأبو هريرة وغيرهم
قوله: " ففظع الناس بذلك "، أي: اشتدَّ عليهم وهابوه
الأكمه: الأعمى

وقوله: بضبعيه "، الضَّبْع وسط العَضُد، وقيل: هو ما تحت الإِبط
وقوله: اسمحوا لعبدي "، يقال: سَمَح وأسمَح، إذا جاد وأعطى عن كرم وسخاء

وقوله: " حتى انطلقوا إلى آدم "، قال السندي: قيل: الحكمة في أن الله تعالى أَلهمهم سؤال آدم ومَن بعده من الأنبياء صلوات الله وسلامه عليهم ابتداءً ولم يُلهمهم سؤالَ نبينا محمد صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إظهار فضيلته صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فإنهم لو سألوه ابتداءً لكان يحتمل أن غيره يقدر على هذا، وأما إذا سألوا غيره ثم انتهوا إليه، فقد عُلِم أن هذا المقام المحمود لا يقدر على الإقدام عليه غيره صلوات الله وسلامه عليه وعليهم أجمعين
وقوله: " فينطلق "، قال السندي: أي: محمد إلى ربه للشفاعة، وهذا اللفظ إما من كلام الصِّدِّيق يحكي به معنى ما سمع، أو من كلامه صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذكر نفسه على وجه الغيبة تنبيهاً على أنه يوم تغيب عنه فيه نفسه، إما هيبة لجلاله تعالى، أو لأنه في شأن أمته على خلاف سائر الخلق فإنهم في شأن أنفسهم كما هو معلوم، ففي الكلام على الوجه الثاني التفات لطيف، وفي بعض النسخ " فينطلقون " أي: الخلق إلى النبي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وعلى النسختين في الكلام إيجاز كثير لا يخفى شأنه

وقوله: " لا يقدر عليّ "، أي: بهذا الطريق، أي: ولئن قدر عليَّ يعذبني، وكأنه لم يقل ذلك تكذيباً للقُدرة، بل قال لأنه لحقه من شدة الحال ما غَيَّر عقله وصيره كالمجنون المبهوت، فلم يدر ماذا يقول وماذا يفعل، وهكذا حال العاجز المتحير في الأمر يفعل كلَّ ما يقدر عليه في ذلك الحال ولا يدري أنه ينفعه ذلك أم لا؟

حدثنا إبراهيم بن إسحاق الطالقاني، قال: حدثني النضر بن شميل المازني، قال: حدثني أبو نعامة، قال: حدثني أبو هنيدة البراء بن نوفل، عن والان العدوي، عن حذيفة عن أبي بكر الصديق، رضي الله عنه، قال: أصبح رسول الله صلى الله عليه وسلم ذات يوم فصلى الغداة، ثم جلس، حتى إذا كان من الضحى ضحك رسول الله صلى الله عليه وسلم، ثم جلس مكانه حتى صلى الأولى والعصر والمغرب، كل ذلك لا يتكلم، حتى صلى العشاء الآخرة، ثم قام إلى أهله، فقال الناس لأبي بكر: ألا تسأل رسول الله صلى الله عليه وسلم ما شأنه؟ صنع اليوم شيئا لم يصنعه قط، قال: فسأله، فقال: نعم عرض علي ما هو كائن من أمر الدنيا، وأمر الآخرة، فجمع الأولون والآخرون بصعيد واحد، ففظع الناس بذلك، حتى انطلقوا إلى آدم عليه السلام، والعرق يكاد يلجمهم، فقالوا: يا آدم، أنت أبو البشر، وأنت اصطفاك الله عز وجل، اشفع لنا إلى ربك، قال: قد لقيت مثل الذي لقيتم، انطلقوا إلى أبيكم بعد أبيكم، إلى نوح: (إن الله اصطفى آدم ونوحا وآل إبراهيم وآل عمران على العالمين) [آل عمران: ٣٣] ، قال: فينطلقون إلى نوح عليه السلام، فيقولون: اشفع لنا إلى ربك، فأنت اصطفاك الله، واستجاب لك في دعائك، ولم يدع على الأرض من الكافرين ديارا، فيقول: ليس ذاكم عندي، انطلقوا إلى إبراهيم عليه السلام، فإن الله عز وجل اتخذه خليلا، فينطلقون إلى إبراهيم، فيقول: ليس ذاكم عندي، ولكن انطلقوا إلى موسى عليه السلام، فإن الله عز وجل كلمه تكليما، فيقول موسى عليه السلام: ليس ذاكم عندي، ولكن انطلقوا إلى عيسى ابن مريم، فإنه يبرئ الأكمه والأبرص ويحيي الموتى، فيقول عيسى عليه السلام: ليس ذاكم عندي، ولكن انطلقوا إلى سيد ولد آدم، فإنه أول من تنشق عنه الأرض يوم القيامة، انطلقوا إلى محمد صلى الله عليه وسلم، فيشفع لكم إلى ربكم عز وجل قال: فينطلق، فيأتي جبريل عليه السلام ربه، فيقول الله عز وجل: ائذن له، وبشره بالجنة، قال : فينطلق به جبريل فيخر ساجدا قدر جمعة، ويقول الله عز وجل: ارفع رأسك يا محمد، وقل يسمع، واشفع تشفع، قال: فيرفع رأسه، فإذا نظر إلى ربه عز وجل، خر ساجدا قدر جمعة أخرى، فيقول الله عز وجل: ارفع رأسك، وقل يسمع، واشفع تشفع، قال: فيذهب ليقع ساجدا، فيأخذ جبريل عليه السلام بضبعيه فيفتح الله عز وجل عليه من الدعاء شيئا لم يفتحه على بشر قط، فيقول: أي رب، خلقتني سيد ولد آدم، ولا فخر، وأول من تنشق عنه الأرض يوم القيامة، ولا فخر، حتى إنه ليرد علي الحوض أكثر مما بين صنعاء وأيلة، ثم يقال: ادعوا الصديقين فيشفعون، ثم يقال: ادعوا الأنبياء ، قال: فيجيء النبي ومعه العصابة، والنبي ومعه الخمسة والستة، والنبي ليس معه أحد، ثم يقال: ادعوا الشهداء فيشفعون لمن أرادوا، قال: فإذا فعلت الشهداء ذلك، قال: يقول الله عز وجل: أنا أرحم الراحمين، أدخلوا جنتي من كان لا يشرك بي شيئا، قال: فيدخلون الجنة قال: ثم يقول الله عز وجل: انظروا في النار: هل تلقون من أحد عمل خيرا قط؟ قال: فيجدون في النار رجلا، فيقول له: هل عملت خيرا قط؟ فيقول: لا، غير أني كنت أسامح الناس في البيع ، فيقول الله عز وجل: أسمحوا لعبدي كإسماحه إلى عبيدي. ثم يخرجون من النار رجلا فيقول له: هل عملت خيرا قط؟ فيقول: لا، غير أني قد أمرت ولدي: إذا مت فأحرقوني بالنار، ثم اطحنوني، حتى إذا كنت مثل الكحل، فاذهبوا بي إلى البحر، فاذروني في الريح، فوالله لا يقدر علي رب العالمين أبدا، فقال الله عز وجل له: لم فعلت ذلك؟ قال: من مخافتك، قال: فيقول الله عز وجل: انظر إلى ملك أعظم ملك، فإن لك مثله وعشرة أمثاله، قال: فيقول: لم تسخر بي وأنت الملك؟ قال: وذاك الذي ضحكت منه من الضحى إسناده حسن أبو نعامة: هو عمرو بن عيسى بن سويد العدوي، وثقه ابن معين والنسائي وابن حبان، وقال أبو حاتم: لا بأس به، وقال أحمد: ثقة إلا أنه اختلط قبل موته، وقال الذهبي في الكاشف ": ثقة، قيل: تغير بأخرة، واحتج به مسلم وابن ماجه، وأبو هنيدة روى عنه جمع، وذكره ابن حبان في " الثقات " 7 / 668، وثقه ابن معين كما في " الجرح والتعديل " 2 / 40، وقال ابن سعد في " الطبقات " 7 / 226: كان معروفا قليل الحديث، ووالان العدوي: هو والان بن بيهس أو ابن قرفة، قال الحافظ في " تعجيل المنفعة " رقم (1150) : قال ابن معين: والان بن قرفة بصري ثقة، وذكره ابن حبان في " الثقات " 5 / 497، وقول الدارقطني عنه في " العلل " 1 / 190 - 191: ليس بمشهور إلا في هذا الحديث، والحديث غير ثابت، متعقب بما في " لسان الميزان " 6 / 216: كذا قال، وقد قال يحيى بن معين: بصري ثقة، وذكره ابن حبان في " الثقات "، وأخرج حديثه في " صحيحه "، وكذا أخرجه أبو عوانة وهو من زياداته على مسلم وأخرجه الدارمي في " الرد على الجهمية " 57 و88، وابن أبي عاصم في " السنة " (751) و (812) ، والمروزي (15) ، والبزار (76) ، وأبو يعلى (56) و (57) ، والدولابي في " الكنى والأسماء " 2 / 155، وأبو عوانة 1 / 175، وابن حبان (6476) من طرق عن النضر بن شميل، بهذا الإسناد وأخرجه ابن حبان (6476) من طريق علي بن المديني، عن روح بن عبادة، عن أبي نعامة، به. ونقل عن إسحاق بن راهويه في آخر الحديث قوله: هذا من أشرف الحديث، وقد روى هذا الحديث عدة عن النبي صلى الله عليه وسلم نحو هذا، منهم: حذيفة وابن مسعود وأبو هريرة وغيرهم قوله: " ففظع الناس بذلك "، أي: اشتد عليهم وهابوه الأكمه: الأعمى وقوله: بضبعيه "، الضبع وسط العضد، وقيل: هو ما تحت الإبط وقوله: اسمحوا لعبدي "، يقال: سمح وأسمح، إذا جاد وأعطى عن كرم وسخاء وقوله: " حتى انطلقوا إلى آدم "، قال السندي: قيل: الحكمة في أن الله تعالى ألهمهم سؤال آدم ومن بعده من الأنبياء صلوات الله وسلامه عليهم ابتداء ولم يلهمهم سؤال نبينا محمد صلى الله عليه وسلم، إظهار فضيلته صلى الله عليه وسلم، فإنهم لو سألوه ابتداء لكان يحتمل أن غيره يقدر على هذا، وأما إذا سألوا غيره ثم انتهوا إليه، فقد علم أن هذا المقام المحمود لا يقدر على الإقدام عليه غيره صلوات الله وسلامه عليه وعليهم أجمعين وقوله: " فينطلق "، قال السندي: أي: محمد إلى ربه للشفاعة، وهذا اللفظ إما من كلام الصديق يحكي به معنى ما سمع، أو من كلامه صلى الله عليه وسلم ذكر نفسه على وجه الغيبة تنبيها على أنه يوم تغيب عنه فيه نفسه، إما هيبة لجلاله تعالى، أو لأنه في شأن أمته على خلاف سائر الخلق فإنهم في شأن أنفسهم كما هو معلوم، ففي الكلام على الوجه الثاني التفات لطيف، وفي بعض النسخ " فينطلقون " أي: الخلق إلى النبي صلى الله عليه وسلم، وعلى النسختين في الكلام إيجاز كثير لا يخفى شأنه وقوله: " لا يقدر علي "، أي: بهذا الطريق، أي: ولئن قدر علي يعذبني، وكأنه لم يقل ذلك تكذيبا للقدرة، بل قال لأنه لحقه من شدة الحال ما غير عقله وصيره كالمجنون المبهوت، فلم يدر ماذا يقول وماذا يفعل، وهكذا حال العاجز المتحير في الأمر يفعل كل ما يقدر عليه في ذلك الحال ولا يدري أنه ينفعه ذلك أم لا؟


It was narrated that Abu Bakr as-Siddeeq said:
One day the Messenger of Allah (ﷺ) got up and prayed Fajr, then he sat until the forenoon, then the Messenger of Allah (ﷺ) smiled. Then he sat where he was until he had prayed Zuhr, 'Asr and Maghrib, and he did not speak until he had prayed 'isha'. Then he got up and went to his family. The people said to Abu Bakr: Why don't you ask the Messenger of Allah (ﷺ) what is the matter? He did something today that he never did before. So he asked him and he said: `Yes, I was shown what is to come of this world and the Hereafter. The earlier and later generations were gathered in one place and the people got terrified because of that. They went to Adam when the sweat was about to reach their mouths, and they said: O Adam, you are the father of mankind and Allah, may He be glorified and exalted, chose you. Intercede for us with your Lord, He said: I am in the same position as you. Go to your father after your father, to Nooh, “Allah chose Adam, Nooh (Noah), the family of Ibraheem (Abraham) and the family of 'Imran above the 'Alameen (mankind and jinn) (of their times)` (Al 'Imran 3:33}.

Then they will go to Nooh and will say: Intercede with your Lord for us, for Allah chose you and answered your supplication, and He did not leave one of the disbelievers on the Earth (cf. 71:26). He will say: I am not the one you want; go to Ibraheem for Allah, may He be glorified and exalted, took him as a close friend (khaleel). So they will go to Ibraheem but he will say: I am not the one you want; go to Moosa, for Allah, may He be glorified and exalted, spoke directly to him (cf. 4:164). But Moosa will say: I am not the one you want; go to 'Eesa Ibn Maryam, for he healed those born blind and the lepers, and he brought forth the dead. But 'Eesa will say: I am not the one you want; go to the leader of the sons of Adam, for he is the first one for whom the earth is split on the Day of Resurrection. Go to Muhammad, for he will intercede for you with your Lord, may He be glorified and exalted. Then (the Prophet) will go and Jibreel will come to his Lord and Allah, may He be glorified and exalted, will say: Give him permission and give him the glad tidings of Paradise. Jibreel will take him and he will fall down in prostration for a week. Allah, may He be glorified and exalted, will say: Raise your head, O Muhammad; speak and you will be heard, intercede and your intercession will be accepted. So he will raise his head, and when he looks at his Lord, may He be glorified and exalted, he will fall down in prostration for another week. Allah, may He be glorified and exalted, will say: Raise your head, O Muhammad; speak and you will be heard, intercede and your intersession will be accepted. He will start to fall down in prostration again, but Jibreel (peace be upon him) will take hold of his upper arms and Allah, may he be glorified and exalted, will inspire him to offer a supplication such as no human being was ever inspired with. He will say: `O Lord, You created me as the leader of the sons of Adam, and no boast; the first one for whom the earth is split on the Day of Resurrection, and no boast; there will come to my Cistern more people than there can be between San‘a’ and Allah (Eilat).` Then it will be said: Call the Siddeeq's so that they might intercede. Then it will be said: Call the Prophets. So one Prophet will come with a group, and another Prophet will come with five or six people, and another Prophet will come with nobody. Then it will be said: Call the martyrs so that they might intercede for whoever they want. When the martyrs do that, Allah, may He be glorified and exalted, will say: I am the Most Merciful of those who show mercy; I admit to My Paradise anyone who does not associate anything with Me.

So they will enter Paradise. Then Allah, may He be glorified and exalted, will say: Look in Hell; can you find anyone who ever did anything good? And they will find a man in Hell, and He will say to him: Did you ever do anything good? He will say: No, except that I was easy-going with people in buying and selling. And Allah, may He be glorified and exalted, will say: Be easy-going with My slave as he was easygoing with My slaves. Then they will bring a man out of Hell and He will say to him: Did you ever do anything good? He will say: No, except that l instructed my sons: When I die, burn me with fire, then grind me until I am like kohl powder. Then take me to the sea and scatter me in the wind, for by Allah the Lord of the Worlds will never be able to punish me. Allah, may He be glorified and exalted, will say: Why did you do that? He will say: For fear of You. And Allah, may He be glorified and exalted, will say: Look at the kingdom of the greatest king and you will have the like thereof and ten times as much. He will say: Are You making fun of me when You are the Sovereign? He (the Prophet (ﷺ) said: “That is what I was smiling at, at the time of the foremoon.`


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুসনাদে আহমাদ
মুসনাদে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) [আবু বকরের বর্ণিত হাদীস] (مسند أبي بكر)