২৭৫৮

পরিচ্ছেদঃ ১৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মদীনার হারামকে আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে

২৭৫৮-[৩১] ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে (হজের সফরে) ’আক্বীক্ব উপত্যকায় বলতে শুনেছি, তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, এ রাতে আমার রবের পক্ষ হতে আমার কাছে এক আগন্তুক এসে বললো, আপনি এ বারাকাতময় উপত্যকায় (দু’ রাক্’আত নফল) সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করুন এবং বলুন, ’উমরা হজের মধ্যে গণ্য। অন্য এক বর্ণনায় আছে, একে ’উমরা ও হজ্জ/হজ বলুন। (বুখারী)[1]

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِوَادِي الْعَقِيقِ يَقُولُ: أَتَانِي اللَّيْلَةَ آتٍ مِنْ رَبِّي فَقَالَ: صَلِّ فِي هَذَا الْوَادِي الْمُبَارَكِ وَقُلْ: عُمْرَةٌ فِي حَجَّةٍ . وَفِي رِوَايَة: «قل عُمرةٌ وحِجّةٌ» . رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ

وعن ابن عباس قال قال عمر بن الخطاب سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو بوادي العقيق يقول اتاني الليلة ات من ربي فقال صل في هذا الوادي المبارك وقل عمرة في حجة وفي رواية قل عمرة وحجة رواه البخاري

ব্যাখ্যা: (عَقِيْقِ) ‘আক্বীক্ব মদীনার যুলহুলায়ফার সন্নিকটের একটি জায়গা। মদীনাহ্ থেকে সেটার দূরত্ব চার মাইল। মুসনাদে আহমাদ-এর শারাহ গ্রন্থে শায়খ আহমাদ শাকির বলেছেন, এখানে ‘উমার (রাঃ)-এর হাদীসে ‘আক্বীক্ব বলতে যুলহুলায়ফার বাত্বনি ওয়াদীর সন্নিকটে অবস্থিত একটি স্থান। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে (আল্লাহর নিকট থেকে) আগন্তুক ছিলেন জিবরীল (আঃ), তিনি তাকে সেখানে যে সালাতের নির্দেশ করেছিলেন সেটি ছিল ইহরামের জন্য সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করা।

কেউ কেউ বলেছেন, এটা ছিল ফজরের সালাত (সালাত/নামাজ/নামায)। জিবরীল (আঃ) ‘আক্বীক্ব উপত্যকাকে বলেছেন, এটা বারাকাতপূর্ণ উপত্যকা অবশ্য ‘আক্বীক্ব উপত্যকা এই বারাকাত ঐ সময়ের জন্যই ছিল পরবর্তী সময়ের তা মদীনার বারাকাতপূর্ণ বা ফাযীলাতপূর্ণ কোন স্থান হিসেবে খ্যাতি লাভ করতে পারেনি।

মালাক (ফেরেশতা) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্যই সফরের ‘উমরাকে বন্ধুর সাথে সংযুক্ত করার কথা বলেছেন। সুতরাং এই ভিত্তিতে বলা যায় তিনি কিরান হজ্জকারী ছিলেন। এর অন্যান্য ব্যাখ্যা করেছেন উদ্দেশের অতীব দূর অর্থ, যেমন- কেউ কেউ বলেছেন, তিনি হজ্জের কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর ঐ বছরেই বাড়ী ফেরার আগে ‘উমরা করেছেন। ‘আল্লামা ত্ববারী বলেন, আল্লাহর নাবীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যেন তার সাহাবীগণকে বলে দিতে পারেন যে কিরান হজ্জ/হজ করা বৈধ।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১১: হজ্জ (كتاب المناسك)