২৭০১

পরিচ্ছেদঃ ১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মুহরিম ব্যক্তির শিকার করা হতে বিরত থাকবে

২৭০১-[৬] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ টিড্ডি (ফড়িং) সমুদ্রের শিকারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। (আবূ দাঊদ ও তিরমিযী)[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْجَرَادُ مِنْ صَيْدِ الْبَحْرِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ

وعن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال الجراد من صيد البحر رواه ابو داود والترمذي

ব্যাখ্যা: (الْجَرَادُ مِنْ صَيْدِ الْبَحْرِ) ‘‘ফড়িং সামুদ্রিক শিকারী প্রাণীর অন্তর্ভুক্ত।’’

বলা হয়ে থাকে যে, ফড়িং-এর জন্ম মাছ থেকে। যেমন- মাছের পোকার জন্ম হয় তেমনি ফড়িং-ও মাছ থেকেই জন্মে। অতঃপর পানি থেকে সমুদ্র উপকূলে এসে তা ডাঙ্গায় ছড়িয়ে যায়। এতে ফড়িং-এর প্রথম সৃষ্টির দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। ‘আল্লামা আল্ বাজী কা‘বা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেনঃ ফড়িং-এর উৎপত্তি মাছের নাসিকা থেকে।

এ হাদীস প্রমাণ করে যে, ফড়িং সামুদ্রিক প্রাণীর অন্তর্ভুক্ত। অতএব সামুদ্রিক প্রাণী শিকার করলে যেমন মুহরিম ব্যক্তির কোন কাফফারাহ দিতে হয় না, অনুরূপ ফড়িং হত্যা করলেও মুহরিম ব্যক্তিকে কোন কাফফারাহ দিতে হবে না।

এ বিষয়ে ‘আলিমদের মাঝে মতভেদ রয়েছে। ইমাম আবূ হানীফা, ইমাম মালিক ও ইমাম শাফি‘ঈ প্রমুখদের মতানুযায়ী ফড়িং সামুদ্রিক প্রাণী নয় বরং তা স্থলপ্রাণী এবং তা শিকার করলে মুহরিম ব্যক্তিকে কাফফারাহ দিতে হবে। ‘উমার, ‘উসমান ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) এবং ‘আত্বা  হতেও এ অভিমত বর্ণিত হয়েছে। আর অধিকাংশ ‘উলামাগণেরও অভিমত এটিই।

আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী বলেনঃ তা শিকার করলে মুহরিম ব্যক্তিকে কোন কাফফারাহ দিতে হবে না। কা‘ব আহবার এবং ‘উরওয়াহ্ ইবনুয্ যুবায়র হতেও এ অভিমত পাওয়া যায়- আহমাদ ইবনু হাম্বল (রহঃ) হতেও একটি বর্ণনা এরূপ বর্ণিত হয়েছে।

হাফিয ইবনু হাজার (রহঃ) বলেনঃ অত্র হাদীসের সানাদ য‘ঈফ। যদি হাদীসটি সহীহ হত তাহলে তা দলীলযোগ্য হত।

অতএব বিশুদ্ধ মত হলো ফড়িং স্থলপ্রাণী এবং কোন মুহরিম তা শিকার করলে তাকে কাফফারাহ দিতে হবে। এ হাদীস এটিও প্রমাণ করে যে, ফড়িং খাওয়া বৈধ। একাধিক বিজ্ঞ ‘আলিম বর্ণনা করেছেন যে, এ বিষয়ে সকল ‘আলিম ঐকমত্য পোষণ করেন যে, ফড়িং খাওয়া বৈধ।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১১: হজ্জ (كتاب المناسك)