২৬৯৪

পরিচ্ছেদঃ ১১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ইহরাম অবস্থায় যা থেকে বেঁচে থাকতে হবে

২৬৯৪-[১৭] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম অবস্থায় ব্যথার কারণে তাঁর পায়ের পাতার উপর শিঙ্গা লাগিয়েছিলেন। (আবূ দাঊদ ও নাসায়ী)[1]

وَعَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: احْتَجَمَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُحْرِمٌ عَلَى ظَهْرِ الْقَدَمِ مِنْ وَجَعٍ كَانَ بِهِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ

وعن انس رضي الله عنه قال احتجم رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو محرم على ظهر القدم من وجع كان به رواه ابو داود والنساىي

ব্যাখ্যা: নাসায়ীর বর্ণনায় রয়েছে, (وثئ) ‘‘ওয়াসয়ুন’’ হচ্ছে এমন আঘাত বা ব্যথা যা গোশতে হয় হাড্ডি পর্যন্ত পৌঁছে না, অথবা ব্যথাটি হাড় পর্যন্ত পৌঁছায় কিন্তু হাড় ভাঙ্গে না। ‘আল্লামা মুল্লা ‘আলী কারী হানাফী (রহঃ) বলেছেন, পায়ের উপরিভাগে শিঙ্গা লাগানো কোন চুল বা পশম কাটা ছাড়াই সম্ভব। সুতরাং চুল কাটা ছাড়া শিঙ্গা লাগালে তাতে কোন অসুবিধা নেই, পাশাপাশি শিঙ্গা তো লাগানো হয়েছে অসুস্থতার কারণে, তাই এখানে অতিরিক্ত আরো সুযোগ প্রদত্ত হল। আমি [‘উবায়দুল্লাহ মুবারকপূরী (রহঃ)] বলবো, এ হাদীসে আছে পায়ের উপরিভাগে শিঙ্গা লাগানোর কথা, কিন্তু ইবনু ‘আব্বাস ও ইবনু বুহায়নাহ্’র হাদীসে আছে, মাথা ব্যথার কারণে মাথায় শিঙ্গা লাগানোর কথা, আবার জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসে পিঠের অথবা গুপ্তাঙ্গে। এগুলো ভিন্ন হওয়ার কারণ কয়েকটিঃ

১. দু’ ধরনের যন্ত্রণার জন্য নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’ জায়গায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন।

২. একবার ছিল ‘উমরার ক্ষেত্রে আর অন্যবার ছিল বিদায় হজ্জের সময়। কেউ কেউ এর বলেছেন বিদায় হজ্জে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিঙ্গা লাগিয়েছেন একাধিকবার।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১১: হজ্জ (كتاب المناسك)