২৬৪৩

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরবানীর পশুর বর্ণনা

২৬৪৩-[১৭] ’আব্দুল্লাহ ইবনু কুরত্ব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অবশ্যই কুরবানীর দিন আল্লাহর নিকট সবচেয়ে মহান দিন। অতঃপর ’ক্বার্’-এর দিন। সাওর বলেন, তা কুরবানীর দ্বিতীয় দিন। রাবী (’আব্দুল্লাহ) বলেন, (ঐ দিনে) পাঁচ বা ছয়টি উট রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট পেশ করা হলো। আর উটগুলো নিজেদেরকে তাঁর নিকট এজন্য পেশ করতে লাগল যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আগে কোনটি কুরবানী করবেন। রাবী (’আবদুল্লাহ) বলেন, উটগুলো যখন মাটিতে শুইয়ে গেলো, তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিম্নস্বরে একটা কথা বললেন যা আমরা বুঝতে পারলাম না। আমি নিকটস্থ একজনকে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কি বললেন? সে ব্যক্তি বললো, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যার ইচ্ছা হয় তা কেটে নিতে পারে। [আবূ দাঊদ; এ ব্যাপারে ইবনু ’আব্বাস ও জাবির (রাঃ) বর্ণিত দু’টি হাদীস বাবুল উযহিয়্যাহ্ বা কুরবানীর অনুচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে][1]

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُرْطٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ أَعْظَمَ الْأَيَّامِ عِنْدَ اللَّهِ يَوْمُ النَّحْرِ ثُمَّ يَوْمُ الْقَرِّ» . قَالَ ثَوْرٌ: وَهُوَ الْيَوْمُ الثَّانِي. قَالَ: وَقُرِّبَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَدَنَاتٌ خَمْسٌ أَوْ سِتٌّ فطفِقْن يَزْدَلفْنَ إِليهِ بأيتهِنَّ يبدأُ قَالَ: فَلَمَّا وَجَبَتْ جُنُوبُهَا. قَالَ فَتَكَلَّمَ بِكَلِمَةٍ خَفِيَّةٍ لَمْ أَفْهَمْهَا فَقُلْتُ: مَا قَالَ؟ قَالَ: «مَنْ شَاءَ اقْتَطَعَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَذَكَرَ حَدِيثَا ابنِ عبَّاسٍ وجابرٍ فِي بَاب الْأُضْحِية

وعن عبد الله بن قرط رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ان اعظم الايام عند الله يوم النحر ثم يوم القر قال ثور وهو اليوم الثاني قال وقرب لرسول الله صلى الله عليه وسلم بدنات خمس او ست فطفقن يزدلفن اليه بايتهن يبدا قال فلما وجبت جنوبها قال فتكلم بكلمة خفية لم افهمها فقلت ما قال قال من شاء اقتطع رواه ابو داود وذكر حديثا ابن عباس وجابر في باب الاضحية

ব্যাখ্যা: হাদীসের ভাষ্য হলো, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছেনঃ আল্লাহ তা‘আলার নিকট সবচেয়ে মহান দিন হল কুরবানীর দিন। তবে এ হাদীসটি অন্যান্য সহীহ হাদীসে বর্ণিত ‘আরাফার দিনের শ্রেষ্ঠত্বের যে বিষয়টি এসেছে তার বিপরীত নয়, ফলে (إِنَّ أَعْظَمَ الْأَيَّامِ) দ্বারা উদ্দেশ্য হবে কুরবানী এবং তাশরীকের দিনসমূহ। কেননা দিনের শ্রেষ্ঠত্বের বিষয়টি আপেক্ষিক এবং বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে হয়। তাছাড়া সবচেয়ে শ্রেষ্ঠতম দিন রমাযানের শেষ দশক। কুরবানীর প্রথম দিন শ্রেষ্ঠ হওয়ার কারণ হলো সেটি সবচেয়ে বড় ঈদের দিন এবং এ দিনে হজ্জের সবচেয়ে বড় কর্মগুলো সম্পাদিত হয়। এমনকি আল্লাহ তা‘আলা এটি সবচেয়ে বড় হজ্জের দিন বলে অবহিত করেছেন।

হাদীসের শেষাংশে উটগুলোর নাহর হওয়ার জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটবর্তী হওয়ার যে বর্ণনা এসেছে তা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুস্পষ্ট মু‘জিযার অন্তর্ভুক্ত। খাত্ত্বাবী (রহঃ) বলেছেন, এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, জনসাধারণকে হিবা করা বৈধ।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১১: হজ্জ (كتاب المناسك)