২৬১৭

পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ‘আরাফাহ্ ও মুযদালিফা হতে ফিরে আসা

২৬১৭-[১৪] ইবনু শিহাব (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে সালিম (রহঃ) (’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ)-এর পুত্র) বলেছেন, যে বছর হাজ্জাজ ইবনু ইউসুফ ’আব্দুল্লাহ ইবনুয্ যুবায়র-এর বিরুদ্ধে সৈন্য-সামন্ত নিয়ে মক্কায় পৌঁছেন, (আমার পিতা) ’আব্দুল্লাহকে জিজ্ঞেস করলেন, ’আরাফার দিনে ’আরাফার ময়দানে আমরা হজের কাজ কিভাবে সম্পন্ন করবো? সালিমই (তাৎক্ষণিক) বলেন, আপনি যদি সুন্নাতের অনুসারী হয়ে করতে চান, তাহলে ’আরাফার দিন সকালে শীঘ্র সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করবেন (যুহর ও ’আসর এক সাথে তথা যুহরের প্রথম সময়ে)। তখন (আমার পিতা) ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) বললেন, সে (সালিম) সঠিক বলেছে, কেননা সাহাবীগণ সুন্নাত অনুসারে যুহর ও ’আসর একত্রে সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করতেন।

রাবী ইবনু শিহাব বলেন, আমি সালিমকে জিজ্ঞেস করলাম, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি এটা করেছেন (অর্থাৎ- যুহর ও ’আসর একত্রে আদায় করেছেন)? তখন সালিম (রহঃ) বললেন, তাঁরা কি রসূলের সুন্নাত ব্যতীত অন্য কিছুর অনুসরণ করতেন? অর্থাৎ- করতেন না। (বুখারী)[1]

وَعَن ابنِ شهابٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي سَالِمٌ أَنَّ الْحَجَّاجَ بْنَ يُوسُفَ عَامَ نَزَلَ بِابْنِ الزُّبَيْرِ سَأَلَ عَبْدَ اللَّهِ: كَيْفَ نَصْنَعُ فِي الْمَوْقِفِ يَوْمَ عَرَفَةَ؟ فَقَالَ سَالِمٌ إِنْ كُنْتَ تُرِيدُ السُّنَّةَ فَهَجِّرْ بِالصَّلَاةِ يَوْمَ عَرَفَةَ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ: صَدَقَ إِنَّهُمْ كَانُوا يَجْمَعُونَ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ فِي السُّنَّةِ فَقُلْتُ لِسَالِمٍ: أَفَعَلَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ سَالِمٌ: وَهل يتَّبعونَ فِي ذلكَ إِلا سنَّتَه؟ رَوَاهُ البُخَارِيّ

وعن ابن شهاب قال اخبرني سالم ان الحجاج بن يوسف عام نزل بابن الزبير سال عبد الله كيف نصنع في الموقف يوم عرفة فقال سالم ان كنت تريد السنة فهجر بالصلاة يوم عرفة فقال عبد الله بن عمر صدق انهم كانوا يجمعون بين الظهر والعصر في السنة فقلت لسالم افعل ذلك رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال سالم وهل يتبعون في ذلك الا سنته رواه البخاري

ব্যাখ্যা: হাদীসটি ‘আরাফার ময়দানে অবস্থান করার সময় করণীয় ‘আমলের প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে। আর তা হচ্ছে; যুহর ও ‘আসরের সালাতকে একত্রিত করে যুহরের আওয়াল (প্রথম) ওয়াক্তে পড়া। এভাবে সাহাবীগণ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাহ অনুযায়ী যুহর ও ‘আসরের সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) একত্রিত করে আদায় করতেন।

খাম্বায় কংকর নিক্ষেপ করাঃ অর্থাৎ- খাম্বাতে কংকর নিক্ষেপ করার সময় অথবা তার হুকুম। খাম্বা তিনটিঃ প্রথম খাম্বা, দ্বিতীয় খাম্বা এবং শেষের খাম্বা। বলা হয়েছে যে, আদম (আঃ) ও ইব্রাহীম (আঃ) যখন ইবলীসের সম্মুখীন হন তখন তাকে কংকর নিক্ষেপ করেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১১: হজ্জ (كتاب المناسك)