২৬০৮

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - ‘আরাফাহ্ ও মুযদালিফা হতে ফিরে আসা

২৬০৮-[৫] ’আব্দুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কক্ষনো মুযদালিফায় মাগরিব ও ’ইশার সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) একত্রে আদায় করা ছাড়া আর অন্য কোন সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) একত্রে আদায় করতে দেখিনি। আর সেদিনই তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফজরের সালাতও (কিছু) সময়ের আগে আদায় করেছিলেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابٌ الدَّفْعُ مِنْ عَرَفَةَ وَالْمُزْدَلِفَةِ

وَعَنْ عَبْدُ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى صَلَاةً إِلَّا لِمِيقَاتِهَا إِلَّا صَلَاتَيْنِ: صَلَاةَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ بِجَمْعٍ وَصَلَّى الْفَجْرَ يومئِذٍ قبلَ ميقاتها

وعن عبد الله بن مسعود قال ما رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى صلاة الا لميقاتها الا صلاتين صلاة المغرب والعشاء بجمع وصلى الفجر يومىذ قبل ميقاتها

ব্যাখ্যা: এ হাদীসে এ বিধান সাব্যস্ত হয়েছে যে, হজ্জের সময় এক ওয়াক্তের সালাত অন্য ওয়াক্তে এসে বা আগত ওয়াক্তের সালাত বর্তমান ওয়াক্তের সাথে আদায় বৈধ। যেমন- রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুযদালিফায় মাগরিব ও ‘ইশার সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) ‘ইশার ওয়াক্তে আদায় করেছেন এবং যুহর ও ‘আসরের সালাত যুহরের ওয়াক্তে আদায় করেছেন। হাদীসে বলা হচ্ছে যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সালাত ওয়াক্তের পূর্বে আদায় করেছেন। আসলে ব্যাপারটা এ রকম নয় বরং সাধারণতঃ যে সময়ে ফজরের সালাত আদায় করেন তার পূর্বে আদায় করেছেন। ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেনঃ ওয়াক্তের শুরুতে আদায় করেছে পূর্বে নয়।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১১: হজ্জ (كتاب المناسك)