২৫৬৫

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - মক্কায় প্রবেশ করা ও তাওয়াফ প্রসঙ্গে

২৫৬৫-[৫] উক্ত রাবী [’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজারে আসওয়াদ থেকে শুরু করে আবার হাজারে আসওয়াদ পর্যন্ত তিন পাক রমল (দ্রুতবেগে) তাওয়াফ করেছেন এবং চার পাক স্বাভাবিকভাবে করেছেন। এভাবে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন সাফা মারওয়ার মাঝেও সা’ঈ করতেন তখন বাত্বনিল মাসীলে মাঝখানে (নিচু জায়গায়) দ্রুতবেগে চলতেন। (মুসলিম)[1]

بَابُ دُخُوْلِ مَكَّةَ وَالطَّوَافِ

وَعَنْهُ قَالَ: رَمَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ الْحَجَرِ ثَلَاثًا وَمَشَى أَرْبَعًا وَكَانَ يَسْعَى بِبَطْنِ الْمَسِيلِ إِذَا طَافَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ. رَوَاهُ مُسلم

وعنه قال رمل رسول الله صلى الله عليه وسلم من الحجر ثلاثا ومشى اربعا وكان يسعى ببطن المسيل اذا طاف بين الصفا والمروة رواه مسلم

ব্যাখ্যা: বর্ণিত হাদীসটি তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে হাজারে আসওয়াদ থেকে শুরু করে আবার ফিরে হাজারে আসওয়াদ আসা পর্যন্ত পরিপূর্ণ চক্করে রমল সুন্নাত হওয়ার দলীল। ‘আল্লামা ইবনু হাযম ও কিছু সংখ্যক ‘উলামায়ে কিরাম বলেন, পূর্ণ চক্করে সুন্নাত নয় বরং শুধুমাত্র হাজারে আসওয়াদ থেকে রুকনে ইয়ামানী পর্যন্ত রমল করা ওয়াজিব।

বর্ণিত হাদীসটি সাফা এবং মারওয়ার মাঝে বাত্বনিল মাসীল তথা নিচু জায়গা, বর্তমানে সবুজ বাতি চিহ্নিত জায়গা দ্রুতবেগে চলা সুন্নাত হওয়ার উপর দলীল।

হাজীদের ওপর সাফা-মারওয়ার মাঝে সা‘ঈ করা আবশ্যক করার মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা ইসমা‘ঈল (আঃ)-এর মাতা হাজিরা (আঃ)-এর স্মৃতিকে ধরে রেখেছেন। ইব্রাহীম (আঃ) যখন আল্লাহর নির্দেশে শিশু পুত্র ইসমা‘ঈল ও স্ত্রী হাজিরাকে মক্কার বিরাণ মরুভূমিতে রেখে গেলেন। তার কিছু দিন পর খাদ্য পানীয় সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়ায় শিশু পুত্র ইসমা‘ঈল পানির পিপাসায় কাতরাচ্ছিলেন। তখন মা হাজিরা পানির খোঁজে সাফা থেকে মারওয়া আবার মারওয়া থেকে সাফা পেরেশান হয়ে দৌড়াচ্ছিলেন। এভাবে এক দুই বার নয় সাত বার তিনি এ পাহাড় থেকে ও পাহাড় গিয়েছেন। সপ্তমবার পুত্র ইসমা‘ঈল (আঃ)-এর নিকট এসে দেখলেন, আল্লাহ তা‘আলা ইসমা‘ঈল (আঃ)-এর পায়ের নিকট পানির ফোয়ারা সৃষ্টি করে দিয়েছেন।

আল্লাহর নির্দেশ পালনার্থে এক অবলা নারীর এ মহান কুরবানী অনেক পছন্দনীয়। তাই আল্লাহ তা‘আলা এ ঘটনা থেকে উম্মাতকে শিক্ষা দেয়ার জন্য হাজীদের সাফা-মারওয়ার মাঝে সা‘ঈ করাকে আবশ্যক করলেন। সাথে সাথে ক্বিয়ামাত পর্যন্ত আগমনকারী সকল মানুষের নিকট হাজিরা (আঃ)-এর কুরবানীর এক দৃষ্টান্ত হিসেবে বাকী থাকল।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১১: হজ্জ (كتاب المناسك)