২৫২৬

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

২৫২৬-[২২] ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রসূল! কিসে (কোন বস্তুতে) হজ্জ/হজ ফরয করে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, পথ খরচ ও বাহনে। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا يُوجِبُ الْحَجَّ؟ قَالَ: «الزَّادُ وَالرَّاحِلَة» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه

وعن ابن عمر قال جاء رجل الى النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله ما يوجب الحج قال الزاد والراحلة رواه الترمذي وابن ماجه

ব্যাখ্যা: (مَا يُوجِبُ الْحَجَّ) ‘‘কিসে হজ্জ/হজ ওয়াজিব করে?’’ অর্থাৎ- হজ্জ/হজ ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত কি? উত্তরে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ (الزَّادُ وَالرَّاحِلَةُ) ‘‘পাথেয় ও বাহন’’। অর্থাৎ- যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছবার এবং সেখান থেকে ফিরে আসার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী ও যাতায়াতের খরচের মালিক হবে তার ওপর হজ্জ/হজ ফরয।

উল্লেখ্য যে, এখানে অন্যান্য শর্তসমূহের মধ্য থেকে মাত্র দু’টি উল্লেখ করার কারণ এই যে, এ দু’টি শর্ত অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তবে জেনে রাখা দরকার যে, হজ্জ/হজ ফরয হওয়ার শর্ত পাঁচটি। যথা-

(১) মুসলিম হওয়া, (২) বোধশক্তি সম্পন্ন হওয়া, (৩) বালেগ হওয়া, (৪) আযাদ হওয়া, (৫) মক্কায় যাতায়াতে সক্ষম হওয়া। এ বিষয়ে ‘আলিমদের মাঝে কোন দ্বিমত নেই।

ইবনু কুদামাহ্ বলেনঃ উপর্যুক্ত শর্তসমূহ তিনভাগে বিভক্ত। যথা-

(১) ওয়াজিব ও বিশুদ্ধ হওয়ার শর্ত, আর তা হলো মুসলিম ও বোধশক্তি সম্পনণ হওয়া। অতএব কাফির এবং পাগলের ওপর হজ্জ/হজ ফরয নয়। তারা হজ্জ/হজ করলে তা বিশুদ্ধ হবে না।

(২) ওয়াজিবও যথেষ্ট হওয়ার শর্ত। আর তা হচ্ছে বালেগ ও আযাদ হওয়া। তা বিশুদ্ধ হওয়ার শর্ত নয়। অতএব শিশু অথবা গোলাম যদি হজ্জ/হজ করে তাহলে তাদের হজ্জ/হজ বিশুদ্ধ হবে কিন্তু তাদের হজ্জ/হজ ফরয হিসেবে যথেষ্ট নয়। বরং শিশু বালেগ হলে এবং গোলাম আযাদ হলে তাকে পুনরায় ইসলামের ফরয হজ্জ/হজ সম্পাদন করতে হবে অন্যান্য শর্ত পাওয়া গেলে।

(৩) শুধুমাত্র ওয়াজিব হওয়ার শর্ত। আর তা হলো সক্ষম হওয়া। অতএব সক্ষম নয় এমন ব্যক্তি যদি পাথেয় ও বাহন ব্যতীতই কষ্ট করে হজ্জ/হজ পালন করে তাহলে তার হজ্জ/হজ বিশুদ্ধ এবং তা ফরয হিসেবে যথেষ্ট। অর্থাৎ- উক্ত ব্যক্তি যদি পরবর্তীতে সক্ষমতা অর্জন করে তাকে আর পুনরায় হজ্জ/হজ করতে হবে না।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১১: হজ্জ (كتاب المناسك)