২৫০০

পরিচ্ছেদঃ ৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মৌলিক দু‘আসমূহ

২৫০০-[১৯] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (দু’আয়) বলতেন,

’’আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকাস্ সিহহাতা ওয়াল ’ইফফাতা ওয়াল আমা-নাতা ওয়া হুস্‌নাল খুলুকি ওয়ার্ রিযা- বিল কদার’’

(অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে সুস্বাস্থ্য, পবিত্রতা, আমানাতদারী, উত্তম চরিত্র এবং তাকদীরের উপর সন্তুষ্ট থাকার তাওফীক কামনা করছি)।[1]

وَعَن عبدِ الله بنِ عَمْروٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الصِّحَّةَ وَالْعِفَّةَ والأمانةَ وحُسنَ الْخلق والرضى بِالْقدرِ»

وعن عبد الله بن عمرو قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول اللهم اني اسالك الصحة والعفة والامانة وحسن الخلق والرضى بالقدر

ব্যাখ্যা: হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট সকল রোগ-ব্যাধি থেকে শারীরিক সুস্থতা চাই অথবা সর্বাবস্থায় সুস্থ থাকা, সঠিক কথা বলা এবং সঠিক কাজ করার তাওফীক চাই।

অত্র হাদীসে সংযম অর্থ হচ্ছে অবৈধ সকল কিছু পরিত্যাগ করা ও তা থেকে বিরত থাকা। মানাবী বলেন, এখানে সকল হারাম ও মাকরূহ এবং মুরুয়াহ্’র (শিষ্টাচারিতা বা আমানাতদারিতার) ঘাটতি তৈরি করে এমন সকল বস্ত্ত ও বিষয় থেকে সংযম চাই।

এখানে (الأمانةَ) ‘‘আমা-নাহ্’’ বলতে ব্যক্তির কাছে থাকা আল্লাহ ও জনগণ; উভয়ের আমানাত সংরক্ষণের কথা বুঝানো হয়েছে।

(حُسنَ الْخلق) ‘‘হুসনুল খুলক্ব’’ বা সচ্চরিত্র বলতে সৃষ্টির সাথে সহৃদয় আচরণ ও তাদের দেয়া কষ্টে ধৈর্যধারণ করা। কারী বলেন, এর উদ্দেশ্য হলো, মুসলিমদের সাথে সদাচরণ করা। আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত ভাগ্যের প্রতি সন্তুষ্ট না থাকলে বান্দা ‘ইবাদাত করার সময়ে মনোযোগী হতে পারবে না। কারণ ‘ইবাদাতের সময় তার মাথায় বারবার চিন্তা আসবে যে, এটি কেন সে পেল না? ঐ কাজটি কেন এমন হলো? ইত্যাদি। তাই সে যদি তার পাওয়া না পাওয়া আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত- এমন বিশ্বাস রাখে এবং তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকে তাহলে সে ‘ইবাদাতে মশগুল থাকতে পারবে।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১০: আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ (كتاب اسماء الله تعالٰى)