২৪৯০

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৌলিক দু‘আসমূহ

২৪৯০-[৯] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন জনৈক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! কোন্ দু’আ সর্বোত্তম? উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তোমার রবের কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের শান্তি ও নিরাপত্তা কামনা করো। অতঃপর সেই ব্যক্তি আবার দ্বিতীয় দিন এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! কোন্ দু’আ সর্বোত্তম? তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে আগের মতো বললেন। আবার সেই ব্যক্তি তৃতীয় দিন আসলো (একই প্রশ্ন করলে), তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আগের মতই উত্তর দিলেন। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, দুনিয়া ও আখিরাতে যখন শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ করলে, তখন মুক্তি লাভ করলে। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ; ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান তবে সানাদের দিক দিয়ে তা গরীব)[1]

وَعَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَجُلًا جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ الدُّعَاءِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: «سَلْ رَبَّكَ الْعَافِيَةَ وَالْمُعَافَاةَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ» ثُمَّ أَتَاهُ فِي الْيَوْمِ الثَّانِي فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ الدُّعَاءِ أَفْضَلُ؟ فَقَالَ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ أَتَاهُ فِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ فَقَالَ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ قَالَ: «فَإِذَا أُعْطِيتَ الْعَافِيَةَ وَالْمُعَافَاةَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ فَقَدْ أَفْلَحْتَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيب إِسْنَادًا

وعن انس ان رجلا جاء الى النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله اي الدعاء افضل قال سل ربك العافية والمعافاة في الدنيا والاخرة ثم اتاه في اليوم الثاني فقال يا رسول الله اي الدعاء افضل فقال له مثل ذلك ثم اتاه في اليوم الثالث فقال له مثل ذلك قال فاذا اعطيت العافية والمعافاة في الدنيا والاخرة فقد افلحت رواه الترمذي وابن ماجه وقال الترمذي هذا حديث حسن غريب اسنادا

ব্যাখ্যা: (الْعَافِيَةَ) ‘‘আ-ফিয়াহ্’’-এর চেয়ে যে দু‘আ করা হয় সে দু‘আ সকল দু‘আর মধ্যে শ্রেষ্ঠ দু‘আ। কারণ এ দু‘আর মধ্যে সকল কল্যাণ ও উপকারিতা অর্জন ও সকল অনিষ্ট ও খারাপী বর্জনের কামনা রয়েছে। জাযারী তাঁর নিহায়াহ্ গ্রন্থে বলেছেন, ‘আ-ফিয়াহ্ হলো সকল রোগ ও বিপদ থেকে নিরাপদ থেকে সুস্থ থাকা। (الْمُعَافَاةَ) ‘‘মু‘আ-ফা-হ্’’ অর্থ হলো অন্যান্য মানুষের অনিষ্টতা থেকে নিজেকে রক্ষা করা, অন্যের থেকে নিজেকে অমুখাপেক্ষী রাখা, অন্যরা যেন আমার থেকে কষ্ট না পায় এবং আমিও যেন অন্যদের থেকে কষ্ট না পাই এমন অবস্থা। লুম্‘আত গ্রন্থকার বলেন, এখানে ‘আ-ফিয়াহ্ বলতে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল প্রকাশ্য ও গোপন বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকার কথা বুঝিয়েছেন।

এ হাদীস স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, ‘আ-ফিয়াহ্ চেয়ে দু‘আ করা সর্বোত্তম দু‘আ। বিশেষ করে প্রশ্নকারী ব্যক্তি তিনদিন সর্বোত্তম দু‘আ কোনটি তা জিজ্ঞেস করলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিবারই এ দু‘আটির কথা বলেছেন। বারবার এ দু‘আটিকে সর্বোত্তম দু‘আ হিসেবে বলাই প্রমাণ করে এটি সর্বোত্তম দু‘আ। তাছাড়া হাদীসের শেষাংশে ‘‘যখন তোমাকে ‘আ-ফিয়াহ্ দেয়া হলো তখন তুমি সফলতা লাভ করলে’’ এ বক্তব্য দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, ‘আ-ফিয়াহ্ চেয়ে যে দু‘আ করা হয় সে দু‘আ দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণকে শামিল করে।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১০: আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ (كتاب اسماء الله تعالٰى)