২৪১৬

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দু‘আ

বিভিন্ন সময়ে পাঠ করার জন্য আলাদাভাবে ভিন্ন ভিন্ন দু’আ রয়েছে, শারী’আত কর্তৃক যা নির্ধারিত। আর এখানে সময় হলো কাজের জন্য নির্ধারিত কাল বা সময়। যেমন- সালাত, যাকাত ও হাজ্জের সময়। এছাড়াও অবস্থাভেদে বিভিন্ন দু’আ শারী’আত কর্তৃক নির্ধারিত। অর্থাৎ- বিভিন্ন অবস্থার জন্য নির্ধারিত বিভিন্ন দু’আগুলো শারী’আত কর্তৃক বর্ণিত রয়েছে। যেমন- রাগের অবস্থা ও যুদ্ধের জন্য শত্রুর মুখোমুখি সারিবদ্ধ অবস্থা এবং আরো অনুরূপ অনেক অবস্থা রয়েছে। এছাড়াও নির্দিষ্ট সময়গুলোতে পঠিতব্য দু’আগুলো বর্ণিত রয়েছে, শারী’আত যা সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছে।


২৪১৬-[১] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ তার স্ত্রীর সাথে সহবাসের ইচ্ছা পোষণ করলে সে যেন বলে, ’’বিস্‌মিল্লা-হি আল্ল-হুম্মা জান্‌নিবনাশ্ শায়ত্ব-না ওয়া জান্‌নিবিশ্ শায়ত্ব-না মা- রযাকতানা-’’ (অর্থাৎ- মহান আল্লাহর নামে, হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে শয়তান হতে দূরে রাখো এবং আমাদের জন্য তুমি যা নির্ধারিত করে রেখেছ শয়তানকেও তা হতে দূরে রাখো।)।

এ মিলনের ফলে তাদের জন্য যদি কোন সন্তান দেয়া হয় তাহলে কক্ষনো শয়তান তার কোন ক্ষতিসাধন করতে পারবে না। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ الدَّعْوَاتِ فِى الْأَوْقَاتِ

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَأْتِيَ أَهْلَهُ قَالَ: بِسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا فَإِنَّهُ إِنْ يُقَدَّرْ بَيْنَهُمَا وَلَدٌ فِي ذَلِكَ لَمْ يَضُرَّهُ شَيْطَانٌ أَبَدًا

عن ابن عباس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لو ان احدكم اذا اراد ان ياتي اهله قال بسم الله اللهم جنبنا الشيطان وجنب الشيطان ما رزقتنا فانه ان يقدر بينهما ولد في ذلك لم يضره شيطان ابدا

ব্যাখ্যা: মুসনাদে আহমাদ-এর বর্ণনায় (১ম খণ্ড, ২১৭ পৃঃ) রয়েছে যে, শয়তান উক্ত সন্তানের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তাঁর অপর বর্ণনায় (১ম খণ্ড, ২৮৭ পৃঃ), মুসলিম ও ইবনু মাজাহ্’র বর্ণনায় রয়েছে যে, শয়তান তার (সন্তানের) ওপর কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না অথবা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আর অনুরূপ বুখারীর বর্ণনায় রয়েছে।

আলোচ্য হাদীসে কয়েকটি উপকারিতাও রয়েছে যে, গুরুত্বপূর্ণ অবস্থাতে যেমন সহবাসেও আল্লাহর নাম নেয়া, দু‘আ করা মুস্তাহাব এবং এতে এটাও রয়েছে যে, আল্লাহর জিকির, শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে প্রার্থনা করা, তাঁর (আল্লাহ তা‘আলার) নামের সাথে বারাকাত কামনা করা এবং যাবতীয় অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় কামনা করা জরুরী। আর এখানে এ ইঙ্গিতও রয়েছে যে, এ দু‘আ পাঠ উক্ত কাজ সহজ করবে এবং তার ওপর সাহায্য করবে। এছাড়া এ হাদীসে এ ইঙ্গিতও রয়েছে যে, শয়তান মানুষের সাথে সবসময় লেগে থাকে। একমাত্র আল্লাহর স্মরণই তার থেকে মুক্ত করতে পারে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১০: আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ (كتاب اسماء الله تعالٰى)