২৪০৭

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে

২৪০৭-[২৭] ’আবদুল্লাহ ইবনু গন্নাম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ভোরে (ঘুম থেকে) উঠে এ দু’আ পড়বে, ’’আল্ল-হুম্মা মা- আস্‌বাহা বী মিন্ নি’মাতিন, আও বিআহাদিম মিন খলকিকা, ফামিনকা ওয়াহদাকা লা- শারীকা লাকা, ফালাকাল হাম্‌দু ওয়ালাকাশ্ শুকরু’’ (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! ভোরে আমার ওপর ও তোমার অন্য যে কোন সৃষ্টির ওপর যে নিয়ামত পৌঁছেছে তা একা তোমার পক্ষ থেকেই, এতে তোমার কোন শারীক নেই। সুতরাং তোমারই প্রশংসা ও তোমারই কৃতজ্ঞতা।)- সে ব্যক্তি তার ঐ দিনের কৃতজ্ঞতা আদায় করল। আর যে সন্ধ্যায় এ দু’আ পড়ল, সে তার ঐ রাতের কৃতজ্ঞতা আদায় করল। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ غَنَّامٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: من قَالَ حِينَ يُصْبِحُ: اللَّهُمَّ مَا أَصْبَحَ بِي مِنْ نِعْمَةٍ أَوْ بِأَحَدٍ مِنْ خَلْقِكَ فَمِنْكَ وَحْدَكَ لَا شَرِيكَ لَكَ فَلَكَ الْحَمْدُ وَلَكَ الشُّكْرُ فَقَدْ أَدَّى شُكْرَ يَوْمِهِ وَمَنْ قَالَ مِثْلَ ذَلِكَ حِينَ يُمْسِي فَقَدْ أَدَّى شُكْرَ ليلته . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن عبد الله بن غنام قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من قال حين يصبح اللهم ما اصبح بي من نعمة او باحد من خلقك فمنك وحدك لا شريك لك فلك الحمد ولك الشكر فقد ادى شكر يومه ومن قال مثل ذلك حين يمسي فقد ادى شكر ليلته رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: ‘আল্লামা শাওকানী (রহঃ) বলেনঃ আলোচ্য হাদীসে এ সকল সহজ শব্দগুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলার প্রতি আবশ্যকীয় কৃতজ্ঞতা আদায় করার বড় ফাযীলাত ও মাহাত্ম্য রয়েছে। নিশ্চয় কেউ যদি সকালে উল্লেখিত দু‘আ পাঠ করে, তবে সে উক্ত দিনের শুকরিয়া আদায় করল। আর সন্ধ্যায় সেটা পাঠকারী রাতের শুকরিয়া আদায় করল। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ ‘‘যদি তোমরা আল্লাহর নিয়ামত গণনা করো, তবে গুণে শেষ করতে পারবে না’’- (সূরা ইব্রা-হীম ১৪ : ৩৪)। যখন তাঁর নিয়ামত গণনা করা সম্ভব হবে না, তখন বান্দা উক্ত নিয়ামতের উপর শুকরিয়াই বা কিভাবে পরিমাপ করবে? অতএব ‘ইলমের খুনি বা সাগর হতে সংগৃহীত এ মহা ফায়িদার জন্য প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্য।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১০: আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ (كتاب اسماء الله تعالٰى)