২৩৯৬

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে

২৩৯৬-[১৬] হারিস ইবনু মুসলিম আত্ তামীমী (রহঃ) তাঁর পিতা হতে, তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। একদিন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মৃদুস্বরে বললেন, তুমি মাগরিবের সালাত আদায় শেষে কারো সাথে কথা বলার আগে সাতবার পড়বে, ’’আল্ল-হুম্মা আজিরনী মিনান্‌না-র’’ (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তুমি আমাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করো)। তুমি এ দু’আ পড়ার পর ঐ রাতে মারা গেলে, তোমার জন্য জাহান্নাম হতে ছাড়পত্র লেখা হবে। একইভাবে তুমি ফজরের সালাত আদায়ের পর এ দু’আ পড়বে, তারপর তুমি ঐ দিন মারা গেলে, তোমাকে জাহান্নাম হতে ছাড়পত্র লেখা হবে। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنِ الْحَارِثِ بْنِ مُسْلِمٍ التَّمِيمِيِّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ أَسَرَّ إِلَيْهِ فَقَالَ: «إِذَا انْصَرَفْتَ مِنْ صَلَاةِ الْمَغْرِبِ فَقُلْ قَبْلَ أَنْ تُكَلِّمَ أَحَدًا اللَّهُمَّ أَجِرْنِي مِنَ النَّارِ سَبْعَ مَرَّاتٍ فَإِنَّكَ إِذَا قُلْتَ ذَلِكَ ثُمَّ مِتَّ فِي لَيْلَتِكَ كُتِبَ لَكَ جَوَازٌ مِنْهَا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ

وعن الحارث بن مسلم التميمي عن ابيه عن رسول الله صلى الله عليه وسلم انه اسر اليه فقال اذا انصرفت من صلاة المغرب فقل قبل ان تكلم احدا اللهم اجرني من النار سبع مرات فانك اذا قلت ذلك ثم مت في ليلتك كتب لك جواز منها رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: ‘আল্লামা মানাবী (রহঃ) ‘‘ফায়যুল কদীর’’ গ্রন্থে (১ম খণ্ড, ৩৯৩ পৃষ্ঠা) বলেনঃ ইবনু হাজার আসকালানী (রহঃ) বলেন যে, এখানে সমষ্টিগত দলীল গ্রহণ করা যায় যে, নিশ্চয় সালাত, তারপর নফল সালাত থাকুক অথবা না থাকুক। প্রথমত যে সালাতের শেষে নফল সালাত (নিয়মিত সুন্নাত) থাকে, যেমন- যুহর, মাগরিব ও ‘ইশা- সেসব সালাতে নফল সালাতের পূর্বে হাদীসে উল্লেখিত জিকিরসহ অন্যান্য জিকির-আযকারে ব্যস্ত থাকবে। অতঃপর নফল সালাত আদায় করবে? না-কি এর বিপরীত করবে। (অর্থাৎ- নফল সালাত আদায় করার পর জিকির-আযকার করবে) এ ব্যাপারে ইখতিলাফ রয়েছে। জমহূর ‘উলামাগণ প্রথম মত গ্রহণ করেছেন। অর্থাৎ- ফরয সালাতের পর জিকির-আযকার করতে হবে। অতঃপর নফল সালাত আদায় করতে হবে। ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ) দ্বিতীয় মত গ্রহণ করেছেন। অর্থাৎ- ফরয সালাতের পর পরই নফল সালাত আদায় করতে হবে। অতঃপর জিকির-আযকার করতে হবে। তবে নফল সালাতের পূর্বে জিকির-আযকার করাই প্রাধান্য পাবে। কারণ একাধিক সহীহ হাদীসে ফরয সালাতের পর সেটা (জিকির-আযকার) নির্ধারিত রয়েছে। হাম্বালী মাযহাবে কেউ কেউ মনে করেন যে, এখানে সালাতের পর বলতে সালামের পূর্বে বুঝানো হয়েছে। এ মর্মেও একাধিক হাদীস বর্ণিত রয়েছে। দ্বিতীয়ত যে সকল সালাতে নফল সালাত (নিয়মিত সুন্নাত) নেই, সে সকল সালাতে ইমাম এবং মুক্তাদী সকলেই ফরয সালাতের পর জিকির-আযকারে ব্যস্ত থাকবে। আর এর জন্য কোন স্থান নির্ধারিত নেই, বরং যদি তারা চায় সেখান থেকে চলে যেতে পারে, অথবা তাতে (সালাতের স্থানে) অবস্থান করে জিকির করতে পারে।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১০: আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ (كتاب اسماء الله تعالٰى)