২৩৪৮

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্

২৩৪৮-[২৬] আসমা বিনতু ইয়াযীদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কুরআন মাজীদের এ আয়াত পড়তে শুনেছি, ’’ইয়া- ’ইবা-দিয়াল্লাযী আসরফূ ’আলা- আনফুসিহিম লা- তাকনাত্বূ মির্ রহমতিল্লা-হি, ইন্নাল্ল-হা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা জামী’আ-’’ (অর্থাৎ- ’’হে বান্দারা! যারা নিজেদের ওপর অবিচার করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হয়ো না। অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেন’’- সূরা আয্ যুমার ৩৯ : ৫৩।)

তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, আর এ ব্যাপারে আল্লাহ কারো পরোয়া করেন না। (আহমদ, তিরমিযী; ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান গারীব; আর শারহুস্ সুন্নাহ্’য় রয়েছে يَقْرَأ (পড়েছেন) এর পরিবর্তে يَقُولُ (বলেছেন)। [1]

وَعَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيدَ قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم يقْرَأ: (يَا عبَادي الَّذِي أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا)
وَلَا يُبَالِي
رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَقَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَفِي شَرْحِ السُّنَّةِ يَقُولُ: بَدَلَ: يقْرَأ

وعن اسماء بنت يزيد قالت سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقرا يا عبادي الذي اسرفوا على انفسهم لا تقنطوا من رحمة الله ان الله يغفر الذنوب جميعاولا يباليرواه احمد والترمذي وقال هذا حديث حسن غريب وفي شرح السنة يقول بدل يقرا

ব্যাখ্যা: الَّذِىْ أَسْرَفُوْا عَلَى انْفُسِهِمْ অর্থাৎ- যারা অবাধ্যতায় সীমালঙ্ঘনের মাধ্যমে অপরাধের ক্ষেত্রে নিজেদের ওপর বাড়াবাড়ি করেছে। একমতে বলা হয়েছে, তারা কুফরী এবং অধিক পরিমাণে অবাধ্যতার মাধ্যমে নিজেদের ওপর বাড়াবাড়ি করেছে। একমতে বলা হয়েছে, তারা নিজেদের ওপর বাড়াবাড়ি করেছে এবং প্রত্যেক নিন্দনীয় কাজে সীমালঙ্ঘন করেছে। مِنْ رَّحْمَةِ اللّٰهِ অর্থাৎ- তার ক্ষমা থেকে।

يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ جَمِيْعًا অর্থাৎ- তাওবার মাধ্যমে কাফিরদের গুনাহসমূহ এবং তাওবাহ্ অথবা স্বেচ্ছায় মুসলিমদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করেন। জানা দরকার ‘আলিম সম্প্রদায় মতানৈক্য করেছে এ আয়াতটি কি তাওবার সাথে শর্তযুক্ত যে, তাওবাহকারীদের গুনাহ ছাড়া কারো গুনাহ ক্ষমা করা হবে না, নাকি আয়াতটি মুত্বলাকব বা বাঁধনমুক্ত? তাফসীরকারদের একটি দল প্রথমটির দিকে গিয়েছেন।

হাফেয ইবনু কাসীর বলেন, এ আয়াতটি সমস্ত অবাধ্যদেরকে কুফর এবং অন্যান্য পাপ থেকে তাওবাহ্ প্রত্যাবর্তন এবং সংবাদ দেয়ার দিকে আহবান করছে যে, আল্লাহ তা‘আলা ঐ ব্যক্তির সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করবেন যে ব্যক্তি গুনাহ থেকে তাওবাহ্ করে এবং ফিরে আসে। সে গুনাহ যা-ই হোক না কেন, যতই বেশি হোক না কেন, যদিও তা সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হয়ে থাকে। এ আয়াতটিকে তাওবাহ্ ছাড়া ‘আম্ অবস্থার উপর চাপিয়ে দেয়া বিশুদ্ধ হবে না। কেননা শির্ক এমন এক গুনাহ যে ব্যক্তি এর থেকে তাওবাহ্ করবে না তার গুনাহ ক্ষমা করা হবে না।

এরপর ইবনু ‘আব্বাস-এর হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে যে, কিছু মুশরিক অধিক পরিমাণ হত্যা কাজ সংঘটিত করে অধিক পরিমাণ যিনা-ব্যভিচার করে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসলো। অতঃপর তারা বলল, নিশ্চয়ই আপনি যা বলছেন এবং যে দিকে আহবান করছেন তা অবশ্যই ভাল। আপনি যদি আমাদেরকে অবহিত করেন যে, আমরা যা ‘আমল করেছি তার কাফফারা আছে। তখন এ আয়াত (অর্থাৎ- ‘‘আর যারা আল্লাহর পথে অন্য উপাস্যকে আহবান করে না, হারাম পন্থায় কোন নাফসকে হত্যা করে না তবে ন্যায়সঙ্গত কারণে এবং ব্যভিচার করে না’’- সূরা আল ফুরকান ২৫ : ৬৮) এবং এ আয়াত (অর্থাৎ- ‘‘হে নাবী! আপনি বলুন, হে বান্দাগণ! যারা নিজেদের ওপর অবিচার করেছ তোমরা আল্লাহর রহমাত থেকে নিরাশ হয়ো না’’- সূরা আয্ যুমার ৩৯ : ৫৩) অবতীর্ণ হয়। বুখারী, মুসলিম, আবূ দাঊদ, নাসায়ী একে সংকলন করেছেন।

ইবনু কাসীর বলেন, প্রথম আয়াতটির উদ্দেশ্য হলো, আল্লাহর তা‘আলার বাণী (অর্থাৎ- ‘‘তবে যে ব্যক্তি তাওবাহ্ করবে ঈমান আনবে, সৎকর্ম করবে’’- সূরা আল ফুরকান ২৫ : ৭০)। এরপর তিনি তৃতীয় অনুচ্ছেদে আগত সাওবান-এর হাদীস এবং আসমা-এর হাদীস যার ব্যাখ্যাতে ইবনু কাসীর বলেনঃ এ সকল হাদীসসমূহ ঐ উদ্দেশের উপর প্রমাণ বহন করে যে, তিনি তাওবার মাধ্যমে সকল গুনাহ ক্ষমা করবেন। এমতাবস্থায় কোন বান্দা আল্লাহর রহমাত থেকে নিরাশ হতে পারে না যদিও তার গুনাহ বড় এবং অধিক হয়। কেননা রহমাত এবং তাওবার দরজা প্রশস্ত। অতঃপর ইবনু কাসীর ঐ সকল আয়াত ও হাদীসসমূহ উল্লেখ করেছেন যা ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং তাওবার দিকে উৎসাহ প্রদান করে। জামাল বলেন, (৭২৪ পৃষ্ঠা) এ আয়াতটি প্রত্যেক ঐ কাফির ব্যক্তির ব্যাপারে ব্যাপক যে তাওবাহ্ করে এবং ঐ অবাধ্য মু’মিন ব্যক্তির ব্যাপারে যে তাওবাহ্ করে, অতঃপর তার তাওবাহ্ তার গুনাহকে মুছে দেয়। এ থেকে উদ্দেশ্য হল, ঐ ব্যাপারে সতর্ক করা যে, পাপীর জন্য এ ধারণা করা উচিত হবে না যে, শাস্তি থেকে তার পরিত্রাণের কোন উপায় নেই। যে ব্যক্তি এ বিশ্বাস রাখবে সে আল্লাহর রহমাত থেকে নিরাশ, কেননা যে কোন অবাধ্য ব্যক্তি যখনই তাওবাহ্ করবে তার শাস্তি দূর হয়ে যাবে এবং সে ক্ষমা ও দয়াপ্রাপ্তদের আওতাভুক্ত হবে। সুতরাং إِنَّ اللّٰهَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ جَمِيْعًا এ আয়াতের অর্থ হল যখন সে তাওবাহ্ করবে এবং তার তাওবাহ্ বিশুদ্ধ হবে তখন তার গুনাহসমূহ মুছে যাবে। আর যে ব্যক্তি তাওবার করার পূর্বে মারা যাবে সে এ ব্যাপারে আল্লাহর ইচ্ছার কাছে ন্যস্ত। তাকে তার গুনাহ পরিমাণ শাস্তি দিবেন এরপর নিজ কৃপা অনুযায়ী তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। সুতরাং প্রত্যেকের ওপর আবশ্যক তাওবাহ্ করা। কেননা শাস্তির আশংকা বিদ্যমান। এরপর হতে পারে আল্লাহ তাকে শর্তহীনভাবে ক্ষমা করবেন আবার হতে পারে তাকে শাস্তি দেয়ার পর ক্ষমা করবেন।

আর ইবনুল কইয়্যিম সূরা আয্ যুমার-এর আয়াতটি তাওবার সাথে শর্তযুক্ত হওয়ার প্রতি মতামত ব্যক্ত করেছেন। যেমন তিনি ‘‘আল জাওয়াব আল কাফী’’ গ্রন্থের ১৬ পৃষ্ঠাতে বলেছেন। মাদারিজুস সালিক্বীন-এ (১ম খণ্ডে ৩৯৪ পৃষ্ঠাতে) নিশ্চয়ই এ আয়াতটি তাওবাহকারীদের ব্যাপারে এবং আল্লাহর বাণী إِنَّ اللّٰهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُّشْرَكَ بِه ‘‘নিশ্চয়ই শির্কের গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করবেন না।’’ তাওবাহকারী ছাড়া অন্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কেউ ঐ দিকে গিয়েছেন যে, আয়াতটি মুত্বলাক বা বাঁধনমুক্ত। ‘আল্লামা আল কানূজী আল ভূপালী ফাতহুল বায়ানে (৮ম খণ্ডে ১৬৬ পৃষ্ঠাতে) বলেন, আর হক হল, আয়াতটি তাওবার সাথে শর্তযুক্ত নয়, বরং তা মুত্বলাক বা বাঁধনমুক্ত। ইমাম শাওকানীও এ মত ব্যক্ত করেছেন। যেমন তিনি ফাতহুল কাদীরে বলেন, (৪র্থ খণ্ড- ৪৫৬,৪৫৭ পৃষ্ঠা) ألف এবং لام বহুবচনে পরিণত হয়েছে। ألفلام যে ذنوب শব্দের উপর প্রবেশ করেছে মূলত তা ذنوب শব্দের জাত বুঝানোর জন্য, যা ذنوب শব্দের এককসমূহের পরিব্যাপ্তকে আবশ্যক করছে। সুতরাং ‘‘তা’’ নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রত্যেক গুনাহ যা-ই হোক না কেন ক্ষমা করবেন- এ কথাকে শক্তিশালী করছে। তবে কুরআনী ভাষ্য যা বর্ণনা করছে তা ছাড়া। আর তা হল (অর্থাৎ- ‘‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তার সাথে শির্ক করার গুনাহ ক্ষমা করেন না তবে এ ছাড়া অন্য যত গুনাহ আছে তা যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন’’- সূরা আন্ নিসা ৪ : ৪৮। এ আয়াতে উল্লেখিত শির্ক ক্ষমা করেন না। এর অর্থ হলো শির্ক গুনাহ তাওবাহ্ ছাড়া ক্ষমা করেন না। অতঃপর তিনি প্রত্যেক গুনাহ ক্ষমা করার ব্যাপারে বান্দাদেরকে যে সংবাদ দিয়েছেন তাতে যথেষ্ট হননি বরং একে তিনি তার جميعا উক্তি দ্বারা গুরুত্বারোপ করেছেন। শাওকানী বলেন, এ আয়াত এবং আল্লাহর إِنَّ اللّٰهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهٖ وَيَغْفِرُ مَا دُوْنَ ذٰلِكَ لِمَنْ يَّشَآءُ এ বাণীর সমন্বয় বিধান হল, শির্ক ছাড়া যত গুনাহ আছে সকল গুনাহ আল্লাহ যাকে চান তাকে ক্ষমা করেন। আর তা নিশ্চয়ই আমাদেরকে আল্লাহর দেয়া সংবাদ যে, তিনি সকল গুনাহ ক্ষমা করবেন- এ সংবাদটুকু আল্লাহ সকল গুনাহ ক্ষমা করার ইচ্ছা করেন উপর প্রমাণ বহন করছে। এ কথা বলা এর সম্ভব হওয়ার উপর ভিত্তি করছে। আর এটি আবশ্যক করছে যে, আল্লাহ তিনি প্রত্যেক মুসলিম অপরাধীকে ক্ষমা করবেন। সুতরাং এ দৃষ্টিকোণ থেকে দু’ আয়াতের মাঝে মতবিরোধ অবশিষ্ট থাকল না। তিনি বলেন, যদি এই মহাশুভ সংবাদ তাওবার সাথে সংযুক্ত থাকত তাহলে তাওবার অধিক ক্ষেত্র থাকত না। কেননা মুসলিমদের ঐকমত্যে মুশরিক যে পরিমাণ শির্ক করে তা আল্লাহ তার তাওবাহ্ করার কারণে ক্ষমা করে দিবেন। আল্লাহ বলেন, إِنَّ اللّٰهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهٖ وَيَغْفِرُ مَا دُوْنَ ذٰلِكَ لِمَنْ يَّشَآءُ (সূরা আন্ নিসা ৪ : ৪৮) সুতরাং ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে তাওবাহ্ করা যদি শর্তযুক্ত হত তাহলে শির্কের ব্যাপারে আলাদা ভাষ্য আনার কোন প্রয়োজনীয়তা বা উপকারিতা থাকত না। অথচ আল্লাহ তা‘আলা বলেন, নিশ্চয়ই আপনার প্রভু মানুষদেরকে তাদের অন্যায়ের ব্যাপারে ক্ষমাকারী।

ওয়াহিদী বলেন, তাফসীরকারকগণ বলেন, নিশ্চয়ই এ আয়াতটি এমন এক সম্প্রদায়ের ব্যাপারে যারা ভয় করেছিল যদি তারা ইসলাম গ্রহণ করে তাহলে তাদের ঐ সকল গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হবে না যা তারা শির্ক, মানুষ হত্যা এবং নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শত্রুতা পোষণ করার মতো বড় বড় গুনাহ করেছে।

ওয়াহিদী আরো বলেন, আল্লাহর এ বাণী (অর্থাৎ- ‘‘আর তোমরা তোমাদের প্রভুর দিকে প্রত্যাবর্তন কর এবং তার কাছে আত্মসমর্পণ কর তোমাদের কাছে শাস্তি আসার পূর্বে, অতঃপর তোমাদেরকে সাহায্য করা হবে না’’- সূরা আয্ যুমার ৩৯ : ৫৪) এসেছে। এতে এমন কিছু নেই যা তাওবার মাধ্যমে প্রথম আয়াতের গন্ডিবদ্ধ হওয়ার উপর প্রমাণ বহন করে। বরং এ আয়াতে যা আছে তার চূড়ান্ত পর্যায় হল, নিশ্চয়ই তিনি তাদেরকে ঐ মহা শুভসংবাদের মাধ্যমে শুভসংবাদ দিয়েছেন। অতঃপর তিনি তাদেরকে কল্যাণের প্রতি এবং অকল্যাণকে ভয় করার প্রতি আহবান করেছেন।

مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتِيَكُمُ الْعَذَابُ অর্থাৎ- দুনিয়ার শাস্তি। অর্থাৎ- হত্যা, বন্দী, কঠোরতা, ভয়, দুর্ভিক্ষের মাধ্যমে শাস্তি। পরকালের শাস্তি উদ্দেশ্য নয়। ‘উবায়দুল্লাহ মুবারকপূরী বলেন, আমি বলব, আয়াতটি দু’টি উক্তির সম্ভাবনা রাখছে তবে আয়াতের বাচনভঙ্গি ইবনু কাসীর এবং তার সমর্থকগণ যা বলেছেন তাকে সমর্থন করে। পক্ষান্তরে ইমাম শাওকানী ঐ বাচনভঙ্গির অপব্যাখ্যাতে যা উল্লেখ করেছেন তাতে স্পষ্ট কৃত্রিমতা রয়েছে। তবে আমার কাছে প্রণিধানযোগ্য উক্তি হল মুসলিমদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করা তাওবার সাথে শর্তযুক্ত নয়, বরং তা তাওবাহ্ এবং স্বেচ্ছাধীন উভয়ভাবে ক্ষমা করা হবে।

(وَلَا يُبَالِىْ) অর্থাৎ- কাউকে তিনি পরোওয়া করেন না, কেননা আল্লাহর ওপর কোন কিছু আবশ্যক নয়। একমতে বলা হয়েছে, তিনি তার প্রশস্ততা করুণা থাকা এবং তার পরোওয়া না থাকার কারণে সকল গুনাহসমূহ ক্ষমা করতে তিনি কাউকে পরোওয়া করেন না। আহমাদ তার বর্ণনাতে একটু অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন আর তা হল (إنه هو الغفور الرحيم) এ বর্ণনা থেকে যা স্পষ্ট হচ্ছে তা হল (ولا يبالى) উক্তি কুরআনের আওতাভুক্ত ছিল, এজন্য মাদারিক গ্রন্থকার এ আয়াতের অধীনে এবং নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কিরাআতে (يغفر الذنوب جميعا ولا يبالى) অংশটুকু বলেছেন। কারী বলেন, তা আরো সম্ভাবনা রাখছে যে, তা আয়াতের আওতাভুক্ত ছিল, অতঃপর তা রহিত করা হয়েছে এবং আয়াতের তাফসীরস্বরূপ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তরফ থেকে অতিরিক্ত হওয়ারও সম্ভাবনা আছে।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১০: আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ (كتاب اسماء الله تعالٰى)