২২৭৭

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আল্লাহ সুবহানাহূ ওয়াতা‘আলার জিকির ও তাঁর নৈকট্য লাভ

২২৭৭-[১৭] সাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখনوَالَّذِيْنَ يَكْنِزُوْنَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ অর্থাৎ- ’’আর যারা (অতি লোভের বশবর্তী হয়ে) সোনা-রূপা জমা করে’’- (সূরা আত্ তওবা্ ৯ : ৩৪) এ আয়াতটি নাযিল হলো, তখন আমরা কোন এক সফরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ছিলাম। এমন সময় জনৈক সাহাবী বললেন, এ কথা সোনা-রূপা সম্পর্কে নাযিল হলো। যদি আমরা জানতাম কোন্ সম্পদ উত্তম, তাহলে তবে জমা করে রাখতাম। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তোমাদের কারো শ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো আল্লাহর জিকিরকারী জিহবা, কৃতজ্ঞতা স্বীকারকারী অন্তর ও মু’মিনাহ্ স্ত্রী; যে তার (স্বামীর) ঈমানের (দীনের) ব্যাপারে সহযোগিতা করে। (আহমদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَنْ ثَوْبَانَ قَالَ: لَمَّا نَزَلَتْ (وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَب وَالْفِضَّة)
كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ فَقَالَ بَعْضُ أَصْحَابِهِ: نَزَلَتْ فِي الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ لَوْ عَلِمْنَا أَيُّ الْمَالِ خَيْرٌ فَنَتَّخِذَهُ؟ فَقَالَ: «أَفْضَلُهُ لِسَانٌ ذَاكِرٌ وَقَلْبٌ شَاكِرٌ وَزَوْجَةٌ مُؤْمِنَةٌ تُعِينُهُ عَلَى إِيمَانِهِ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ

وعن ثوبان قال لما نزلت والذين يكنزون الذهب والفضةكنا مع النبي صلى الله عليه وسلم في بعض اسفاره فقال بعض اصحابه نزلت في الذهب والفضة لو علمنا اي المال خير فنتخذه فقال افضله لسان ذاكر وقلب شاكر وزوجة مومنة تعينه على ايمانه رواه احمد والترمذي وابن ماجه

ব্যাখ্যা: (وَزَوْجَةٌ مُؤْمِنَةٌ تُعِينُه عَلَى ايمَانِه) ‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেন, সহাবায়ে কিরাম এখানে বলেছেন যে, মাল-সম্পদের মধ্যে কোন ধরনের উপকার থাকলে আমরা তা গ্রহণ করতাম কিন্তু তাতে কোন লাভ বা উপকার নেই। সুতরাং তা আমরা গ্রহণ করিনি। মহান আল্লাহ বলেন,

يَوْمَ لَا يَنْفَعُ مَالٌ وَلَا بَنُوْنَ

‘‘সেদিন কোন সম্পদ ও ছেলে সন্তান কোনই কাজে আসবে না।’’ (সূরা আশ্ শু‘আরা ২৬ : ৮৮)

হ্যাঁ যারা শির্ক ও বিদআত (বিদাত) মুক্ত অন্তর নিয়ে আল্লাহর সম্মুখে উপস্থিত হতে পারবে তারা এর মাধ্যমে উপকৃত হতে পারবে।

অত্র হাদীসে বলা হয়েছে যে, মু’মিনাহ্ স্ত্রী স্বামীর জন্য উপকারী হ্যাঁ। অবশ্যই উপকারী কারণ তিনি তার স্বামীকে সালাত সিয়াম যাকাতসহ বিভিন্ন শার‘ঈ কাজে সহায়তা করেন অপরদিকে যিনা-ব্যভিচার থেকে শুরু করে যাবতীয় অন্যায় কর্মকান্ড থেকে বিরত রাখতে পারেন। তাই স্বামীর জন্য একজন উত্তম মু’মিনাহ্ স্ত্রী খুবই প্রয়োজন কেনই বা নয়, যেহেতু রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এ দুনিয়া সবই আল্লাহ তা‘আলা মানবমন্ডলীর জীবন ধারণের জন্য উপকারী হিসেবে দিয়েছেন আর গোটা পৃথিবীর মধ্যে সর্বাধিক উপকারী বিষয় হচ্ছে স্বামীর জন্য একজন সৎ স্ত্রী। সুতরাং বিষয়টি গুরুত্বের দাবীদার।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৯: দু‘আ (كتاب الدعوات)