২২৩১

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

২২৩১-[৯] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দু’আ হলো ’ইবাদাতের মগজ বা মূলবস্তু। (তিরমিযী)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الدُّعَاءُ مُخُّ الْعِبَادَةِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

وعن انس قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «الدعاء مخ العبادة» . رواه الترمذي

ব্যাখ্যা: (الدُّعَاءُ مُخُّ الْعِبَادَةِ) অর্থাৎ- المخ শব্দটির মীমে ضَمَّة তথা পেশ দিয়ে পড়তে হবে, এর অর্থ হলো হাড়ের মজ্জা, ঘিলু, অক্ষিগোলক এবং প্রতি জিনিসের নির্জাস।

হাদীসটির অর্থ হলো, নিশ্চয়ই দু‘আ ‘ইবাদাতের মূল। এটা এজন্য যে, দু‘আকারী দুনিয়ার সকল কিছু থেকে যখন আশা ছেড়ে দেয় তখনই সে আল্লাহর নিকট দু‘আ করে থাকে এটাই তাওহীদ ও ইখলাসের বাস্তবতা আর তাওহীদ ও ইখলাসের চেয়ে উত্তম কোন ‘ইবাদাত নেই। ইবনুল আরাবী (রহঃ) বলেন, المخ তথা মস্তিষ্ক থেকেই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের শক্তি সঞ্চয় হয় ঠিক তেমনিভাবে দু‘আ হলো ‘ইবাদাতের মস্তিষ্ক এ দু‘আর মাধ্যমেই বান্দাদের ‘ইবাদাত শক্তি অর্জন করতে সক্ষম হয়, কেননা দু‘আ হলো ‘ইবাদাতের প্রাণশক্তি।

ইমাম তিরমিযী (রহঃ) হাদীসটিকে তার দা‘ওয়াত অনুচ্ছেদে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, হাদীসটি গরীব, কারণ এটা ইবনু লাহি‘আহ্ ব্যতীত কেউ বর্ণনা করেননি, আর ইবনু লাহি‘আহ্ সম্পর্কে উসূলে হাদীসের ময়দানে চরম সমালোচনা রয়েছে। তবে ইমাম বুখারী (রহঃ) তাঁর আদাবুল মুফরাদে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)  থেকে মারফূ‘ সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, (أشرف العبادة الدعاء) তথা সর্বোত্তম ‘ইবাদাত হলো দু‘আ। (আল্লাহই ভালো জানেন)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৯: দু‘আ (كتاب الدعوات)