২২০৪

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)

২২০৪-[১৮] লায়স ইবনু সা’দ (রহঃ) ইবনু আবূ মুলায়কাহ্ (রহঃ) হতে, তিনি ইয়া’লা ইবনু মুমাল্লাক (রহঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, ইয়া’লা একদিন উম্মুল মু’মিনীন উম্মু সালামাহ্ (রাঃ)-কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কুরআন পাঠ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। উম্মু সালামাহ্ (রাঃ)-কে শুনাতে দেখা গেল, রসূলের কুরআন পাঠ অক্ষর অক্ষর পৃথক করে প্রকাশ করছেন। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ, নাসায়ী)[1]

وَعَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ عَنِ ابْنِ أَبِي مليكَة عَنْ يَعْلَى بْنِ مُمَلَّكٍ أَنَّهُ سَأَلَ أُمَّ سَلَمَةَ عَنْ قِرَاءَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِذَا هِيَ تَنْعَتُ قِرَاءَةً مُفَسَّرَةً حَرْفًا حَرْفًا. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ

وعن الليث بن سعد عن ابن ابي مليكة عن يعلى بن مملك انه سال ام سلمة عن قراءة النبي صلى الله عليه وسلم فاذا هي تنعت قراءة مفسرة حرفا حرفا رواه الترمذي وابو داود والنساىي

ব্যাখ্যা: উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কিরাআত ছিল স্পষ্ট ও সুমধুর। তার কিরাআতে একটির সাথে আরেকটির সংমিশ্রণ হত না। তিনি এমনভাবে আলাদা আলাদা করে পড়তেন যে, তাঁর কিরাআতের হরফগুলো গণনা করা যেত।

ইমাম ত্বীবী (রহঃ) বলেন, অতিরিক্ত তাড়াতাড়ি করে কুরআন পড়া মাকরূহ মর্মে ‘আলিমদের ঐকমত্য হয়েছে। তারা বলেন, বিনা তারতীলে দুই জুয বা পারা কুরআন পড়ার চাইতে ঐ সময়ে তারতীলসহ স্পষ্টভাবে একপারা পড়া বেশি উত্তম। আর কুরআন অনুধাবন করার জন্য তারতীলসহ কুরআন পড়া মুস্তাহাব। কারণ এটা কুরআনের মাহাত্ম্য বর্ণনা ও সম্মানের নিকটতম পন্থা এবং অন্তরে বেশি ক্রিয়াশীল। এজন্য অনারবী ব্যক্তির জন্য স্পষ্টভাবে তারতীলসহ কুরআন পড়া মুস্তাহাব। আল জাযরী (রহঃ) তাঁর النشر ‘আন্ নাশর’ গ্রন্থে বলেন, তারতীলসহ কুরআন পড়া মর্যাদার দিক থেকে অধিকতর সম্মানিত। আর সাওয়াব বেশি হয় সংখ্যায় বেশি তিলাওয়াত করলে। কারণ একটি হরফে দশটি নেকি হয়।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৮: কুরআনের মর্যাদা (كتاب فضائل القراٰن)