২১৯৭

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)

২১৯৭-[১১] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শত্রুর দেশে কুরআন নিয়ে সফর করতে নিষেধ করেছেন। (বুখারী, মুসলিম। ইমাম মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, কুরআন নিয়ে সফরে বের হয়ো না। কারণ কুরআন শত্রুর হাতে পড়ে যাওয়া আমি নিরাপদবোধ করি না।)[1]

بَابٌ [اٰدٰبُ التِّلَاوَةِ وَدُرُوْسُ الْقُرْاٰنِ]

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِن يُسَافَرَ بِالْقُرْآنِ إِلَى أَرْضِ الْعَدُوِّ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ. وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ: «لَا تُسَافِرُوا بِالْقُرْآنِ فَإِنِّي لَا آمن أَن يَنَالهُ الْعَدو»

وعن ابن عمر قال نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم ان يسافر بالقران الى ارض العدو متفق عليه وفي رواية لمسلم لا تسافروا بالقران فاني لا امن ان يناله العدو

ব্যাখ্যা: মহাগ্রন্থ আল কুরআন একটি সম্মানিত ঐশী গ্রন্থ। সবার নিকটে এর মর্যাদা রয়েছে। কোন মুসলিমকে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআনের মাসহাফ নিয়ে অমুসলিম শত্রুদের ভূখণ্ডে সফর করতে নিষেধ করেছেন এই আশঙ্কায় যে, কোন শত্রু হয়ত তাকে পেয়ে অবমাননা করবে বা তুচ্ছ জ্ঞান করবে। ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেছেন, শত্রু ভূখণ্ডে যদি কুরআনের অসম্মানের ভয় না থাকে তবে কুরআন নিয়ে সফর করা যাবে। যেমন কোন জায়গায় যদি মুসলিম সৈন্য বিজয়ী থাকে। কিন্তু কুরআন জানা ব্যক্তি সে সব জায়গায় সফর করতে পারবে। যেমন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবীগণ সফর করতেন শত্রু ভূখণ্ডে। এটা বিশুদ্ধ মত যার প্রতি ইমাম বুখারী, আবূ হানীফাসহ অন্যরাও সম্মতি দিয়েছেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৮: কুরআনের মর্যাদা (كتاب فضائل القراٰن)