২১৬৪

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

২১৬৪-[৫৬] ’উকবাহ্ ইবনু ’আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি (রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে) বললাম, হে আল্লাহর রসূল! (বিপদাপদে পড়লে) আমি কি ’সূরা হূদ’ পড়ব, না ’সূরা ইউসুফ’? তিনি উত্তরে বললেন, এ ক্ষেত্রে তুমি আল্লাহর কাছে ক্বুল আ’ঊযু বিরাব্বিল ফালাক-এর চেয়ে উত্তম কোন সূরা পড়তে পারবে না। (আহমাদ, নাসায়ী ও দারিমী)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَقْرَأُ سُورَةَ (هُودٍ)
أَوْ سُورَةَ (يُوسُفَ)
؟ قَالَ: لَنْ تَقْرَأَ شَيْئًا أَبْلَغَ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ (قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ)
رَوَاهُ أَحْمد وَالنَّسَائِيّ والدارمي

وعن عقبة بن عامر قال قلت يا رسول الله اقرا سورة هوداو سورة يوسف قال لن تقرا شيىا ابلغ عند الله من قل اعوذ برب الفلقرواه احمد والنساىي والدارمي

ব্যাখ্যা: মানুষের ওপর আবর্তিত বিভিন্ন বালা-মুসীবাত এবং অনিষ্টতা থেকে বাঁচা বা আত্মরক্ষার জন্য সাহাবী ‘উকবাহ্ ইবনু ‘আমির-এর প্রস্তাবিত সূরা হূদ এবং সূরা ইউসুফ-কে আল্লাহর নাবী উত্তম না বলে তাকে সূরা আল ফালাক পড়ার কথা বললেন এবং এও বললেন যে, এ সূরার চেয়ে আশ্রয় প্রার্থনার জন্য উত্তম কোন সূরা নেই। দারিমী এবং আহমাদ-এর অন্য এক বর্ণনায় এসেছে আল কুরআনের সূরাহসমূহের মধ্যে সূরা আল ফালাক-এর চেয়ে আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় এবং অধিক পূর্ণাঙ্গ কোন সূরা আর নেই। ইবনুল মালিক বলেন, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো সূরা আল ফালাক ও সূরা আন্ নাস-এর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৮: কুরআনের মর্যাদা (كتاب فضائل القراٰن)