২১০০

পরিচ্ছেদঃ ৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - ইতিকাফ

২১০০-[৪] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফ করার সময় মাসজিদ থেকে আমার দিকে তাঁর মাথা বাড়িয়ে দিতেন। আমি মাথা আঁচড়ে দিতাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রাকৃতিক প্রয়োজন ছাড়া কখনো ঘরে প্রবেশ কর তেন না। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ الْاِعْتِكَافِ

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا اعْتَكَفَ أَدْنَى إِلَيَّ رَأَسَهِ وَهُوَ فِي الْمَسْجِدِ فَأُرَجِّلُهُ وَكَانَ لَا يَدْخُلُ الْبَيْتَ إِلَّا لحَاجَة الْإِنْسَان

وعن عاىشة رضي الله عنها قالت كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا اعتكف ادنى الي راسه وهو في المسجد فارجله وكان لا يدخل البيت الا لحاجة الانسان

ব্যাখ্যা: উল্লেখিত হাদীসে রয়েছে যে, ইতিকাফকারীর জন্য পরিচ্ছন্নতা, পবিত্রতা অর্জন গোসল করা মাথা মুন্ডানো, মাথা আঁচড়ানোর মাধ্যমে সৌন্দর্য বজায় রাখা বৈধ। ‘আল্লামা খাত্ত্বাবী (রহঃ) বলেন, নিশ্চয়ই ইতিকাফকারীর জন্য চুল চরিতার্থ করা বৈধ। অন্য অর্থে মাথা মুন্ডানো, নখ কাটা, ময়লা থেকে শরীর পরিষ্কার করা। ‘আল্লামা আল হাফেয (রহঃ) বলেন, (স্বাভাবিকভাবে) মসজিদে যে সকল কাজ ঘৃণিত নয়, ইতিকাফ অবস্থায়ও তা ঘৃণিত নয়। ‘আল্লামা ইবনুল মুনযির (রহঃ) বলেন, বিদ্বানগণ এ মর্মে একমত হয়েছেন, ইতিকাফকারী ব্যক্তি প্রসাব এবং পায়খানার জন্য ইতিকাফ থেকে বের হতে পারবে। কারণ এটি তার জন্য আবশ্যক যা মসজিদে করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আলোচ্য হাদীস (لِحَاجَةِ الْإِنْسَانِ) বা মানুষের প্রয়োজন দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, প্রস্রাব ও পায়খানা। কেননা প্রতিটি মানুষের খাদ্য ও পানীয়ের দিকে প্রয়োজন রয়েছে। যখন তার নিকট খাদ্য পৌঁছানোর কেউ না থাকবে তখন তার খাদ্যের জন্য বের হওয়া বৈধ এবং যদি বমন (বমি) চেপে যায় তবে বমনের জন্য মসজিদের বাইরে যাওয়া বৈধ। কারণ এগুলো আবশ্যকীয় বিষয় যা মসজিদে সম্পাদন করা সম্ভব নয়। এমন কাজে বাইরে গেলে ইতিকাফ নষ্ট হবে না।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৭: সওম (রোযা) (كتاب الصوم)