২০৯৮

পরিচ্ছেদঃ ৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - ইতিকাফ

২০৯৮-[২] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কল্যাণকর কাজের ব্যাপারে (দান-খয়রাত) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে প্রশস্ত হৃদয়ের অধিকারী। আর তাঁর হৃদয়ের এ প্রশস্ততা রমাযান (রমজান) মাসে বেড়ে যেত সবচেয়ে বেশী। রমাযান (রমজান) মাসে প্রতি রাতে জিবরীল আমীন তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁকে কুরআন শুনাতেন। জিবরীল আমীনের সাক্ষাতের সময় তাঁর দান প্রবাহিত বাতাসের বেগের চেয়েও বেশী বেড়ে যেত। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ الْاِعْتِكَافِ

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَجْوَدَ النَّاسِ بِالْخَيْرِ وَكَانَ أَجْوَدَ مَا يَكُونُ فِي رَمَضَان وَكَانَ جِبْرِيلُ يَلْقَاهُ كُلَّ لَيْلَةٍ فِي رَمَضَانَ يَعْرِضُ عَلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْقُرْآنَ فَإِذَا لَقِيَهُ جِبْرِيلُ كَانَ أَجْوَدُ بِالْخَيْرِ مِنَ الرّيح الْمُرْسلَة

وعن ابن عباس قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اجود الناس بالخير وكان اجود ما يكون في رمضان وكان جبريل يلقاه كل ليلة في رمضان يعرض عليه النبي صلى الله عليه وسلم القران فاذا لقيه جبريل كان اجود بالخير من الريح المرسلة

ব্যাখ্যা: ইবনু হাজার (রহঃ) বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও জিবরীল (আঃ) পরস্পরের দারসে্র ভিত্তিতে কুরআন পাঠ করতেন। বুখারীর অপর বর্ণনায় রয়েছে যে, তিনি (জিবরীল) তাঁকে কুরআনের পাঠ শিখালেন আর তা হলো, তুমি অন্যের নিকট কুরআনের নির্দিষ্ট অংশ পড়বে এবং সে তোমাদের ওপর নির্দিষ্ট অংশ পড়বে এবং উল্লেখিত হাদীসে কয়েকটি উপকারিতা রয়েছে। তার মধ্য সর্বদাই দানশীলতার প্রতি উৎসাহ প্রদান করা এবং রমাযানে তা বৃদ্ধি করা। সৎকর্মশীলদের সাথে সংঘবদ্ধ থাকা, সৎকর্মশীলদের সাথে সাক্ষাৎ করা, যদি সাক্ষাতকৃত ব্যক্তি বিরক্ত না হয় তবে বারংবার সাক্ষাৎ করা। আর রমাযানে অধিক অধিক কুরআন তিলাওয়াত করা মুস্তাহাব এবং তা অন্যান্য জিকির-আযকারের তুলনায় উত্তম। যদি জিকিরই উত্তম হত কিংবা তিলাওয়াত সমান হত তবে তারা দু’জন (জিবরীল ও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাই করতেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৭: সওম (রোযা) (كتاب الصوم)