২০৯৫

পরিচ্ছেদঃ ৮. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - লায়লাতুল কদর

২০৯৫-[১৩] ’উবাদাহ্ ইবনুস্ সামিত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার আমাদেরকে লায়লাতুল কদরের খবর দেবার জন্য (মসজিদে নাবাবীর হুজরা থেকে) বের হলেন। এ সময় মুসলিমদের দু’ ব্যক্তি ঝগড়া শুরু করল। (এ অবস্থা দেখে) তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ আমি তোমাদেরকে লায়লাতুল কদর সম্পর্কে খবর দিতে বের হয়েছিলাম। কিন্তু অমুক অমুক ব্যক্তি ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হলো। ফলে (লায়লাতুল কদরের খবর আমার মন হতে) উঠিয়ে নেয়া হলো। বোধ হয় (ব্যাপারটি) তোমাদের জন্য কল্যাণকর হয়েছে। তাই তোমরা লায়লাতুল কদরকে (রমাযানের) ২৯, ২৭ কিংবা ২৫-এর রাতে খোঁজ করবে। (বুখারী)[1]

عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ: خَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيُخْبِرَنَا بِلَيْلَةِ الْقَدْرِ فَتَلَاحَى رَجُلَانِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَقَالَ: «خَرَجْتُ لِأُخْبِرَكُمْ بِلَيْلَةِ الْقَدْرِ فَتَلَاحَى فُلَانٌ وَفُلَانٌ فَرُفِعَتْ وَعَسَى أَنْ يَكُونَ خَيْرًا لَكُمْ فَالْتَمِسُوهَا فِي التَّاسِعَةِ وَالسَّابِعَة وَالْخَامِسَة» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

عن عبادة بن الصامت قال خرج النبي صلى الله عليه وسلم ليخبرنا بليلة القدر فتلاحى رجلان من المسلمين فقال خرجت لاخبركم بليلة القدر فتلاحى فلان وفلان فرفعت وعسى ان يكون خيرا لكم فالتمسوها في التاسعة والسابعة والخامسة رواه البخاري

ব্যাখ্যা: ‘আল্লামা হাফেয (রহঃ) বলেন, বলা হয় যে, উক্ত দুই ব্যক্তি ছিলেন ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবী হাদ্রদ ও কা‘ব বিন মালিক। ইবনু দিহ্ইয়াহ্-ও এটি উল্লেখ করেছেন।

‘আল্লামা আস্ সুবকী এখান থেকে মাস্আলাহ্ সংকলন করেছেন যে, যে ব্যক্তি লায়লাতুল কদর দেখবে তার জন্য তা গোপন করা মুস্তাহাব। কেননা আল্লাহ তা‘আলা তার নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে তা গোপন করেছেন। আর তার সম্পূর্ণটাই কল্যাণ আল্লাহ যা গোপন করেছেন। অতএব এ ক্ষেত্রে তার অনুসরণই মুস্তাহাব। আর অনেক হাদীসে বর্ণিত রয়েছে, যা হাদীস সন্ধানীদের নিকট গোপন নেই যে, লায়লাতুল কদরের নির্দিষ্টকরণ উঠে যাওয়াই তোমাদের জন্য কল্যাণকর। যাতে তিনি শেষ দশকের সকল রাতে ‘ইবাদাতের কঠোর প্রচেষ্টার উপর উৎসাহ দেন।

‘আল্লামা ইবনু আত্ তীন বলেন, তিনি তার জানা অনুযায়ী যদি লায়লাতুল কদর নির্ধারণ করে দিতেন, তবে এ রাত ছাড়া অন্য রাত তারা ‘আমল খুব কম করত, আর নির্ধারিত রাতে বেশি ‘আমল করত। আর অন্য সকল রাতের অধিক ‘আমলটা তাদের থেকে অদৃশ্য হয়ে যেত।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৭: সওম (রোযা) (كتاب الصوم)