২০৮৮

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - লায়লাতুল কদর

২০৮৮-[৬] যির ইবনু হুবায়শ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উবাই ইবনু কা’বকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনার (দীনী) ভাই ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ বলেন, যে ব্যক্তি গোটা বছর ’ইবাদাত করার জন্য রাত জাগরণ করবে, সে ’কদর রজনী’ পাবে। উবাই ইবনু কা’ব বললেন, আল্লাহ তা’আলা ইবনু মাস’ঊদ এর ওপর রহম করুন। তিনি এ কথাটা এজন্য বলেছেন, যেন মানুষ ভরসা করে বসে না থাকে। নতুবা তিনি তো জানেন যে, ’কদর’ রমাযান (রমজান) মাসেই আসে। আর রমাযান (রমজান) মাসের শেষ দশ দিনের এক রাতে কদর রজনী হয়। সে রাতটা সাতাশতম রাত। এদিকে উবাই ইবনু কা’ব কসম করেছেন এবং ’ইনশা-আল্ল-হ’ বলা ছাড়াই বলেছেন, ’নিঃসন্দেহে কদর রাত (রমাযানের) সাতাশতম রাত’। আমি আরয করলাম, হে আবূল মুনযির (উবাই-এর ডাক নাম)! কিসের ভিত্তিতে আপনি এ কথা বলেছেন? তিনি বললেন, ঐ আলামাত ও আয়াতের ভিত্তিতে, যা আমাদেরকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন। (তিনি বলেছেন), ঐ রাতের সকালে সূর্য উদয় হবে, কিন্তু এতে কিরণ বা আলো থাকবে না। (মুসলিম)[1]

بَابُ لَيْلَةِ الْقَدْرِ

وَعَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ قَالَ: سَأَلْتُ أُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ فَقُلْتُ إِنَّ أَخَاكَ ابْنَ مَسْعُودٍ يَقُولُ: مَنْ يَقُمِ الْحَوْلَ يُصِبْ لَيْلَةَ الْقَدْرِ. فَقَالَ C أَرَادَ أَنْ لَا يَتَّكِلَ النَّاسُ أَمَا إِنَّهُ قَدْ عَلِمَ أَنَّهَا فِي رَمَضَانَ وَأَنَّهَا فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ وَأَنَّهَا لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ ثُمَّ حَلَفَ لَا يَسْتَثْنِي أَنَّهَا لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ. فَقُلْتُ: بِأَيِّ شَيْءٍ تَقُولُ ذَلِكَ يَا أَبَا الْمُنْذِرِ؟ قَالَ: بِالْعَلَامَةِ أَوْ بِالْآيَةِ الَّتِي أَخْبَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّهَا تَطْلُعُ يَوْمَئِذٍ لَا شُعَاعَ لَهَا. رَوَاهُ مُسْلِمٌ

وعن زر بن حبيش قال سالت ابي بن كعب فقلت ان اخاك ابن مسعود يقول من يقم الحول يصب ليلة القدر فقال C اراد ان لا يتكل الناس اما انه قد علم انها في رمضان وانها في العشر الاواخر وانها ليلة سبع وعشرين ثم حلف لا يستثني انها ليلة سبع وعشرين فقلت باي شيء تقول ذلك يا ابا المنذر قال بالعلامة او بالاية التي اخبرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم انها تطلع يومىذ لا شعاع لها رواه مسلم

ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে (شُعَاعَ لَهَا)-এর شُعَاعٌ শব্দটি এটি শিন অক্ষরে পেশ যোগে। ভাষাবিদগণ বলেন, সূর্য উদিত হওয়ার রশির মতো সূর্যের যে কিরণ দেখা যায় তা-ই। হাফেয আসকালানী (রহঃ) বলেন, যে লায়লাতুল কদর পাবে তার আলাদা কোন নিদর্শন প্রকাশ পাবে কি-না, এ ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেছেন যে, লায়লাতুল কদর পাবে সে সব কিছুকে সিজদা্ অবস্থায় দেখতে পাবে। কেউ বলেন, সকল স্থানে এমনকি ঘোর অন্ধকারেও আলো দেখতে পাবে। কেউ বলেন, সালাম ফিরালে তাকে সম্বোধন করে মালায়িকাহ’র (ফেরেশতাগণকে) শুনতে পাবে। কেউ বলেন যে, লায়লাতুল কদর পাবে, তার দু‘আ কবূল হওয়াই তার নিদর্শন। তবে ‘আল্লামা ত্ববারী (রহঃ) বলেনঃ এসবের কোনটিও আবশ্যকীয় নয় এবং লায়লাতুল কদর অর্জন হওয়ার ক্ষেত্রে কোন কিছু দেখা বা শোনা শর্ত নয়।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৭: সওম (রোযা) (كتاب الصوم)