২০৭৮

পরিচ্ছেদঃ ৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - নফল সিয়ামের ইফতারের বিবরণ

২০৭৮-[৩] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কাউকে যদি খাবার জন্য দা’ওয়াত দেয়া হয়, আর সে ব্যক্তি সায়িম হয়, তার বলা উচিত, ’আমি সায়িম’ (রোযাদার)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কাউকে দা’ওয়াত দেয়া হলে তার উচিত দা’ওয়াত কবূল করা। সে সায়িম হলে দু’ রাক্’আত (নফল) সালাত আদায় করবে। আর সায়িম না হলে খাওয়ায় অংশ নেবে। (মুসলিম)[1]

بَابُ فِى الْاِفْطَارِ مِنَ التَّطَوُّعِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا دُعِيَ أَحَدُكُمْ إِلَى طَعَامٍ وَهُوَ صَائِمٌ فَلْيَقُلْ: إِنِّي صَائِمٌ . وَفِي رِوَايَةٍ قَالَ: «إِذَا دُعِيَ أَحَدُكُمْ فَلْيُجِبْ فَإِنْ كَانَ صَائِمًا فَلْيُصَلِّ وَإِن كَانَ مُفطرا فيطعم» . رَوَاهُ مُسلم

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا دعي احدكم الى طعام وهو صاىم فليقل اني صاىم وفي رواية قال اذا دعي احدكم فليجب فان كان صاىما فليصل وان كان مفطرا فيطعم رواه مسلم

ব্যাখ্যা: (فَإِنِّىْ صَائِمٌ) ‘‘সে যেন বলে আমি সায়িম’’ অর্থাৎ- দা‘ওয়াতদাতার জন্য কারণ পেশ করা এবং তার অবস্থা ঘোষণা করা যদি সে তা মেনে নেয়। আর মেহমানের উপস্থিত না তলব করে তবে তার জন্য দা‘ওয়াত থেকে পিছে থাকা বা দা‘ওয়াতে উপস্থিত না হওয়া বৈধ। নতুবা দা‘ওয়াতে উপস্থিত হতে হবে। সিয়াম দা‘ওয়াত থেকে পশ্চাৎপদের কারণ নয়, বরং যখন দা‘ওয়াতে উপস্থিত হবে তখন মেজবানীর খাদ্য খাওয়া (সিয়াম পালনকারী মেহমানের জন্য) আবশ্যক নয়। আর সিয়াম মেজবানী খাদ্য বর্জনের কারণ হতে পারে। নতুবা ইফতার বর্জন করাটা খাদ্য প্রদানকারীর জন্য অত্যন্ত কষ্টকর হতে পারে।

আলোচ্য হাদীস থেকে এটাও প্রমাণিত হয় যে, নফল ‘ইবাদাত যেমন- সালাত, সিয়াম আরো অন্যান্য ‘ইবাদাত প্রকাশ করাতে কোন অসুবিধা নেই, তবে যদি প্রকাশের কোন প্রয়োজন না থাকে তবে তা গোপন করাই মুস্তাহাব।

(إِذَا دُعِيَ أَحَدُكُمْ) অর্থাৎ- সে যেন খাদ্যগ্রহণের জন্য বারাকাতের দু‘আ করে, যেমন ‘আবদুল্লাহ বিন মাস্‘ঊদ (রাঃ) এর বর্ণনায় রয়েছে যে, যদি সে (দা‘ওয়াত গ্রহীতা) সিয়ামধারী হয়, তবে সে যেন বারাকাতের দু‘আ করে।

আর নাফি' (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে যখন দা‘ওয়াত দেয়া হত তখন তিনি দা‘ওয়াতে সাড়া দিতেন, যদি সিয়াম না রাখতেন, তবে মেজবানী খাবার খেতেন। আর যদি সিয়াম রাখতেন তাহলে দা‘ওয়াত দাতার জন্য দু‘আ করতেন, আর বারাকাত কামনা করতেন। অতঃপর সেখান থেকে প্রস্থান করতেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৭: সওম (রোযা) (كتاب الصوم)