২০০৯

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সওম পবিত্র করা

২০০৯-[১১] ’আমির ইবনু রবী’আহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সওম অবস্থায় এতবার মিসওয়াক করতে দেখেছি যে, তা আমি হিসাব করতে পারি না। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ قَالَ: رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا لَا أُحْصِي يَتَسَوَّكُ وَهُوَ صَائِمٌ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ

وعن عامر بن ربيعة قال رايت النبي صلى الله عليه وسلم ما لا احصي يتسوك وهو صاىم رواه الترمذي وابو داود

ব্যাখ্যা: (يَتَسَوَّكُ وَهُوَ صَائِمٌ) ‘‘তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সিয়াম পালন অবস্থায় মিসওয়াক করতেন’’ হাদীসের এ অংশ প্রমাণ করে যে, সিয়ামরত অবস্থায় মিসওয়াক করা বৈধ। মিসওয়াক শুকনা ডাল দ্বারা হোক অথবা তাজা ডাল দ্বারা হোক। সিয়াম ফরয হোক অথবা নফল হোক। তা দিনের প্রথম ভাগে হোক অথবা শেষ ভাগে হোক, সর্বাবস্থায় মিসওয়াক করা বৈধ।

এ অভিমত পোষণ করেন ইমাম সাওরী, আওযা‘ঈ, ইবনু ‘উলাইয়্যাহ্, আবূ হানীফাহ্ ও তাঁর সহচরবৃন্দ, সা‘ঈদ ইবনু জুবায়র, মুজাহিদ, ‘আত্বা এবং ইব্রাহীম নাখ্‘ঈ প্রমুখ। ইমাম বুখারীও এ অভিমতের প্রবক্তা।

ইমাম আবূ সাওর এবং ইমাম শাফি‘ঈ-এর মতে সূর্য ঢলে যাওয়ার পর সিয়ামরত অবস্থায় মিসওয়াক করা মাকরূহ। এর পূর্বে মিসওয়াক করা মুস্তাহাব, মিসওয়াক তাজা বা শুকনা যাই হোক।

ইমাম আহমাদ ও ইসহাক ইবনু রহ্ওয়াইহি-এর মতে সূর্য ঢলে যাওয়ার পর মিসওয়াক করা মাকরূহ। তবে মিসওয়াকটি যদি তাজা ডালের হয় তা হলে তা দিনের প্রথম ভাগেও মাকরূহ।

ইমাম মালিক এবং তাঁর সহচরদের মতে দিনের প্রথম ভাগেই হোক অথবা শেষ ভাগে তাজা ডাল দ্বারা মিসওয়াক করা মাকরূহ শুকনা ডাল দ্বারা মিসওয়াক করা মাকরূহ নয়।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৭: সওম (রোযা) (كتاب الصوم)