১৯৯৬

পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সওম পর্বের বিক্ষিপ্ত মাস্আলাহ্

১৯৯৬-[১৫] আবূ ’আত্বিয়্যাহ্ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ও মাসরূক উভয়ে (একদিন) ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর কাছে গেলাম ও আমরা আরয করলাম, হে উম্মুল মু’মিনীন! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দু’জন সাথী আছেন। তাদের একজন দ্রুত ইফতার করেন, দ্রুত সালাত আদায় করেন। আর দ্বিতীয়জন বিলম্বে ইফতার করেন ও বিলম্বে সালাত আদায় করেন। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, তাড়াতাড়ি করে ইফতার করেন ও সালাত আদায় করেন কে? আমরা বললাম, ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপই করতেন। আর অপর ব্যক্তি যিনি ইফতার করতে ও সালাত আদায় করতে দেরী করতেন, তিনি ছিলেন আবূ মূসা। (মুসলিম)[1]

وَعَنْ أَبِي عَطِيَّةَ قَالَ: دَخَلْتُ أَنَا وَمَسْرُوقٌ عَلَى عَائِشَةَ فَقُلْنَا: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ رَجُلَانِ مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَدُهُمَا يُعَجِّلُ الْإِفْطَارَ وَيُعَجِّلُ الصَّلَاةَ وَالْآخَرُ: يُؤَخِّرُ الْإِفْطَارَ وَيُؤَخِّرُ الصَّلَاةَ. قَالَتْ: أَيُّهُمَا يُعَجِّلُ الْإِفْطَارَ وَيُعَجِّلُ الصَّلَاةَ؟ قُلْنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ. قَالَتْ: هَكَذَا صَنَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْآخَرُ أَبُو مُوسَى. رَوَاهُ مُسْلِمٌ

وعن ابي عطية قال دخلت انا ومسروق على عاىشة فقلنا يا ام المومنين رجلان من اصحاب محمد صلى الله عليه وسلم احدهما يعجل الافطار ويعجل الصلاة والاخر يوخر الافطار ويوخر الصلاة قالت ايهما يعجل الافطار ويعجل الصلاة قلنا عبد الله بن مسعود قالت هكذا صنع رسول الله صلى الله عليه وسلم والاخر ابو موسى رواه مسلم

ব্যাখ্যা: ইমাম ত্বীবী বলেনঃ যিনি তাড়াতাড়ি ইফতার করেন ও তাড়াতাড়ি সালাত আদায় করেন তিনি শারী‘আতে দৃঢ় বিধান ও সুন্নাতের উপর ‘আমল করেন। আর যিনি বিলম্বে ইফতার করেন ও বিলম্বে সালাত আদায় করেন তিনি শারী‘আত যে সুযোগ দিয়েছে তার উপর ‘আমল করেন। উল্লেখ্য যে, হাদীসে বর্ণিত প্রথম ব্যক্তি হলেন ইবনু মাস্‘ঊদ এবং ২য় ব্যক্তি হলেন আবূ মূসা আল আশ্‘আরী। কারী বলেনঃ উপরোক্ত মতভেদ বলতে তাদের ‘আমলের মতভেদ উদ্দেশ্য হলে তা অবশ্য সঠিক। আর যদি এ মতভেদ দ্বারা তাদের বক্তব্য উদ্দেশ্য হয় তাহলে ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) এর বক্তব্য দ্বারা উক্ত কাজ দ্রুত করার ক্ষেত্রে আধিক্য বুঝানো উদ্দেশ্য আর আবূ মূসার বক্তব্য দ্বারা দ্রুততার আধিক্য না বুঝানো উদ্দেশ্য। তবে বিলম্বে সুযোগের ক্ষেত্রে উভয়ের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। এখানে অবশ্য এটাও হতে পারে যে, ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) এর কর্ম দ্বারা সুন্নাত বুঝানো উদ্দেশ্য। আর আবূ মূসার কর্ম দ্বারা বিলম্ব করা বৈধ হওয়া বুঝানো উদ্দেশ্য।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৭: সওম (রোযা) (كتاب الصوم)