১৮৯৩

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - সদাক্বার মর্যাদা

১৮৯৩-[৬] জাবির (রাঃ) ও হুযায়ফাহ্ (রাঃ) একত্রে বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক নেক কাজই সদাক্বাহ্ (সাদাকা)। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ فَضْلِ الصَّدَقَةِ

وَعَنْ جَابِرٍ وَحُذَيْفَةَ قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّ مَعْرُوف صَدَقَة»

وعن جابر وحذيفة قالا قال رسول الله صلى الله عليه وسلم كل معروف صدقة

ব্যাখ্যা: (كُلُّ مَعْرُوْف صَدَقَة) অর্থাৎ প্রতিটি ভাল কাজের কারণে সদাক্বার সম সাওয়াব বা বিনিময় পাওয়া যাবে। ভাল কাজের সংজ্ঞায় ইমাম রাগিব (রহঃ) বলেছেনঃ ভাল কাজ ঐ সব কাজগুলোকে বলে যার সুন্দর হওয়ার দিকটি শারী‘আত এবং বিবেক উভয়টির মাধ্যমেই পরিস্ফুটিত হয়। অপচয়, অপব্যয় থেকে নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে মধ্যমপন্থা অবলম্বনও সৎ কাজ হিসেবে পরিগণিত হয়।

ইবনু আবী জামরাহ্ (রহঃ) বলেন, শারী‘আতের দলীলসমূহের মাধ্যমে যেসব কাজ সৎ কাজ হিসেবে স্বীকৃত সেগুলোই সৎ কাজ যদিও বিবেক সেটা অনুধাবন না করতে পারে এবং তিনি আরো বলেন, হাদীসখানাতে সদাক্বাহ্ (সাদাকা) দ্বারা উদ্দেশ্য হলো বিনিময়। সুতরাং কেউ যদি ভাল কাজ করার সময় সাওয়াবের নিয়্যাত করে থাকে তাহলে তাকে প্রতিদান দেয়া হবে আর যদি নিয়্যাত না করে তাহলে সাওয়াব হবে কি না এ ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে এবং তিনি আরো বলেন, এ কথা থেকে আমরা আরো ইঙ্গিত পাই যে, সদাক্বাহ্ (সাদাকা) বলতে প্রচলিত যে চিত্র আমরা দেখি তা ছাড়াও সদাক্বার অন্যান্য বহুদিক রয়েছে অর্থাৎ বিষয়টি একটু ব্যাপক।

ইবনু বাত্তাল (রহঃ) বলেন, হাদীসটি প্রমাণ করে যাবতীয় কল্যাণকর কাজ যা কোন ব্যক্তি সম্পন্ন করে এগুলো তার জন্য সদাক্বার সমপরিমাণ সাওয়াব বহন করে। অপর একটি হাদীসে অতিরিক্ত এসেছে অকল্যাণকর কাজ থেকে বিরত থাকাও সদাক্বাহ্ (সাদাকা) হিসেবে গণ্য হবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة)