১৮০১

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব জিনিসের যাকাত দিতে হয়

১৮০১-[৮] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (নিসাবের চেয়ে) বেশী যাকাত গ্রহণকারী যাকাত অস্বীকারকারীর সমান (অর্থাৎ যাকাত না দেয়া যেমন গুনাহ, তেমনি পরিমাণের চেয়ে বেশী যাকাত উসূল করাও গুনাহ)। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী)[1]

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُعْتَدِي فِي الصَّدَقَةِ كَمَانِعِهَا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ

وعن انس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم المعتدي في الصدقة كمانعها رواه ابو داود والترمذي

ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসে সীমালঙ্ঘনকারীর ক্ষেত্রটি যাকাত দাতার ক্ষেত্রে হতে পারে। আবার যাকাত আদায়কারীর ক্ষেত্রেও হতে পারে। যাকাত দাতার ক্ষেত্রে রূপটি হলঃ সে যাকাত ব্যয়ের খাত ভিন্ন অন্য খাতে তা ব্যয় করার মাধ্যমে সীমালঙ্ঘন করলে। অথবা সে তার পরিবারের জন্য কিছুই অবশিষ্ট রাখলে না বা যাকাত আদায়কারীর নিকট কিছু অংশ গোপন রাখল বা যাকাতের এমন বর্ণনা দিল যাতে আদায়কারী তার থেকে কম নিল, ফলে এর মাধ্যমে সীমালঙ্ঘন করে যাকাত প্রদানে বাধাদানকারীর যে পাপ হয় তদানুরূপ কিছু পাপে সে জড়িয়ে পড়ল। আর যাকাত গ্রহণকারীর ক্ষেত্রে এর রূপটি হল, সে মালিকের থেকে বেশি বা উত্তম যাকাত গ্রহণ করবে। কেননা যখন সে একবছর এরূপ করবে তখন পরবর্তী বছর মালিক যাকাত প্রদানে বিরত থাকবে। ফলে এরূপ করাটি যাকাত না দেয়ার একটি কারণ হয়ে যায়। যার ফলে যাকাত গ্রহণকারী/আদায়কারী যাকাত প্রদানে বাধা প্রদান করার পাপে অংশীদার হয়ে যাবে।

‘আবদুর রহমান মুবারকপূরী (রহঃ) বলেন, সদাক্বার ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন করার দ্বারা উদ্দেশ্য হল যাকাত গ্রহণকারীর যাকাত গ্রহণে সীমালঙ্ঘন করা যাকাত প্রদানকারীর নয়।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৬: যাকাত (كتاب الزكاة)