১৭৩৪

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির জন্য কাঁদা

১৭৩৪-[১৩] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক মু’মিনের জন্য দু’টি দরজা রয়েছে। একটি দরজা দিয়ে তার নেক ’আমল উপরের দিকে উঠে। আর দ্বিতীয়টি দিয়ে তার রিযক্ব (রিজিক/রিযিক) নীচে নেমে আসে। যখন সে মৃত্যুবরণ করে, এ দু’টি দরজা তার জন্য কাঁদে। এ বিষয়ে আল্লাহ তা’আলার এ বাণীটি। তিনি বলেছেন, ’’এ কাফিরদের জন্য না আকাশ কাঁদে আর না জমিন’’- (সূরাহ্ আদ্ দুখান ৪৪: ২৯)। (তিরমিযী)[1]

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا مِنْ مُؤْمِنٍ إِلَّا وَله بَابَانِ: بَاب يصعد مِنْهُ علمه وَبَابٌ يَنْزِلُ مِنْهُ رِزْقُهُ. فَإِذَا مَاتَ بَكَيَا عَلَيْهِ فَذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى: (فَمَا بَكَتْ عَلَيْهِمُ السَّمَاء وَالْأَرْض)
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

وعن انس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما من مومن الا وله بابان باب يصعد منه علمه وباب ينزل منه رزقه فاذا مات بكيا عليه فذلك قوله تعالى فما بكت عليهم السماء والارضرواه الترمذي

ব্যাখ্যা: এ হাদীসটি মু’মিন ব্যক্তির গুরুত্ব ও ফাযীলাতের কথা গুরুত্বের সাথে দিক-নির্দেশনা দিচ্ছে। হাদীসটি এদিকে ইঙ্গিত করছে যে, মু’মিন ব্যক্তির জন্য আসমানে দু’টি দরজা রয়েছে। একটি দরজা দিয়ে তার নেক ‘আমলসমূহ আসমানে উত্তোলন করা হয়। অর্থাৎ তা দুনিয়ায় লেখার পর আসমানে লেখার স্থানে। দুনিয়ার মালায়িকাহ্ (ফেরেশতারা) দুনিয়ায় বসে লেখে আর আসমানের মালায়িকাহ্ ঐ দরজায় বসে লেখে। আর অপর দরজা দিয়ে মু’মিন ব্যক্তির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে দুনিয়ায় খেয়ে-পড়ে বেঁচে থাকার জন্য রিযক্ব (রিজিক/রিযিক) তথা খাদ্য ব্যবস্থা অবতীর্ণ হয়।

অতঃপর মু’মিন ব্যক্তি যখন ইন্তিকাল করেন, তখন উভয় দরজা তার জন্য ক্রন্দন করতে থাকে। অর্থাৎ তার বিয়োগ বেদনায় ক্রন্দন করে। কেউ বলেন, তারা কাঁদে না বরং কষ্ট পায়।

ইবনু মালিক বলেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের কাছে এটা সুস্পষ্ট বিষয় যে, প্রত্যেকটা জিনিস আল্লাহকে জানে।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৫: জানাযা (كتاب الجنائز)