১৬৮৭

পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা

১৬৮৭-[৪২] মালিক ইবনু হুবায়রাহ্ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, কোন মুসলিমের মৃত্যু ঘটলে তিন সারি বিশিষ্ট জামা’আত দ্বারা জানাযার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় সম্পন্ন করা গেলে আল্লাহ তা’আলা তার জন্য (জান্নাত ও মাগফিরাত) ওয়াজিব করে দেন। এ কারণে মালিক ইবনু হুবায়রাহ্ জানাযার সালাতে উপস্থিত মানুষের সংখ্যা কম দেখলে এ হাদীস অনুযায়ী তাদেরকে তিন সারিতে দাঁড় করাতেন। (আবূ দাঊদ)[1]

আর ইমাম তিরমিযীর একক বর্ণনায় আছে, তিনি বলেছেন, মালিক ইবনু হুবায়রাহ্ যখন জানাযার সালাত আদায় করতেন, আর (উপস্থিত) মানুষের সংখ্যা কম দেখতেন, তখন তাদের তিন কাতারে বিন্যস্ত করে দিতেন। আর বলতেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তির জানাযার সালাত তিন সারি লোকে পড়ে, আল্লাহ তা’আলা তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে দেন। ইবনু মাজাহও এরূপ বর্ণনা করেছেন।

وَعَنْ مَالِكِ بْنِ هُبَيْرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَمُوتُ فَيُصَلِّي عَلَيْهِ ثَلَاثَةُ صُفُوفٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ إِلَّا أَوْجَبَ» . فَكَانَ مَالِكٌ إِذَا اسْتَقَلَّ أَهْلَ الْجَنَازَةِ جَزَّأَهُمْ ثَلَاثَةَ صُفُوفٍ لِهَذَا الْحَدِيثِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
وَفِي رِوَايَةِ التِّرْمِذِيِّ: قَالَ كَانَ مَالِكُ بْنُ هُبَيْرَةَ إِذَا صَلَّى الْجِنَازَة فَتَقَالَّ النَّاسَ عَلَيْهَا جَزَّأَهُمْ ثَلَاثَةَ أَجْزَاءٍ ثُمَّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ صَلَّى عَلَيْهِ ثَلَاثَةُ صُفُوفٍ أَوْجَبَ» . وروى ابْن مَاجَه نَحوه

وعن مالك بن هبيرة قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ما من مسلم يموت فيصلي عليه ثلاثة صفوف من المسلمين الا اوجب فكان مالك اذا استقل اهل الجنازة جزاهم ثلاثة صفوف لهذا الحديث رواه ابو داودوفي رواية الترمذي قال كان مالك بن هبيرة اذا صلى الجنازة فتقال الناس عليها جزاهم ثلاثة اجزاء ثم قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من صلى عليه ثلاثة صفوف اوجب وروى ابن ماجه نحوه

ব্যাখ্যা: তিন কাতার মুসল্লী কারো জানাযাহ্ আদায় করলে তার জন্য ওয়াজিব হয়ে যায়। এ ওয়াজিব বলতে মাগফিরাত তথা আল্লাহর ক্ষমা ওয়াজিব হয়ে যায়, অথবা জান্নাত ওয়াজিব হয়। অথবা জান্নাত এবং ক্ষমা উভয়টিই ওয়াজিব হয়ে যায়। কোন কোন বর্ণনায় জান্নাত শব্দই ব্যবহার করা হয়েছে। ক্ষমা ওয়াজিব হলে সেটা হবে এমন ক্ষমা যা জান্নাতকে ওয়াজিব করে দেয়। সুতরাং কোন বর্ণনা কোন বর্ণনার বিরোধী নয়।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৫: জানাযা (كتاب الجنائز)