১৬৫১

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা

১৬৫১-[৬] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের জানাযায় ঈমান ও ইহতিসাবের সাথে অংশগ্রহণ করে, এমনকি তার জানাযার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে কবরে দাফন করা পর্যন্ত সাথে থাকে। এমন ব্যক্তি দু’ ক্বীরাত্ব সাওয়াব নিয়ে ঘরে ফেরে। প্রত্যেক ক্বীরাত্ব উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি শুধু জানাযার সালাত আদায় করে দাফন করার আগে ফিরে সে এক ক্বীরাত্ব সাওয়াব নিয়ে ফিরে এলো। (বুখারী, মুসলিম)[1]

الْمَشْيُ بِالْجَنَازَةِ وَالصَّلَاةُ عَلَيْهَا

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنِ اتَّبَعَ جَنَازَةَ مُسْلِمٍ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا وَكَانَ مَعَهُ حَتَّى يُصَلَّى عَلَيْهَا وَيُفْرَغَ مِنْ دَفْنِهَا فَإِنَّهُ يَرْجِعُ مِنَ الْأَجْرِ بِقِيرَاطَيْنِ كُلُّ قِيرَاطٍ مِثْلُ أُحُدٍ وَمَنْ صَلَّى عَلَيْهَا ثُمَّ رَجَعَ قَبْلَ أَنْ تُدْفَنَ فَإِنَّهُ يَرْجِعُ بقيراط»

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من اتبع جنازة مسلم ايمانا واحتسابا وكان معه حتى يصلى عليها ويفرغ من دفنها فانه يرجع من الاجر بقيراطين كل قيراط مثل احد ومن صلى عليها ثم رجع قبل ان تدفن فانه يرجع بقيراط

ব্যাখ্যা: লাশের সাথে অনুগমন বলতে মুসলিম ব্যক্তির লাশের অনুগমনের কথাই বলা হয়েছে। সুতরাং কোন অমুসলিমের লাশের অনুগমনে কোন সাওয়াব নেই। যেহেতু এ অনুগমন ঈমানের ভিত্তিতে এবং ইহতিসাব বা সাওয়াবের আশায় করার কথা বলা হয়েছে। সুতরাং এতে ভয়ভীতি অথবা কোন পারিশ্রমিকের বিনিময়ে হলেও তা চলবে না। পার্থিব কোন কিছুর বিনিময়ে অথবা কোন ভয়ভীতির কারণে কারো জানাযায় উপস্থিত হলে হাদীসে বর্ণিত ফাযীলাত পাওয়া যাবে না।

ক্বীরাতের পরিমাণ বলা হয়েছে উহুদ পাহাড়ের সমান। ক্বীরাত মূলতঃ বিভিন্ন দেশে মুদ্রা, বস্তু বা পরিমাপের একটি অংশ বুঝানোর জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। হাফিয ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেনঃ অধিকাংশের মতে এখানে ‘ক্বীরাতের’ অর্থ হলো সুবিশাল পরিমাপ। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকলকে বুঝানোর জন্য সকলের নিকট অতীব প্রিয় ও সুপরিচিত পাহাড় উহুদের সাথে তার দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন। আল্লামা ত্বীবী বলেনঃ ‘উহুদ পাহাড় সম’ কথাটি হলো উদ্দেশ্যের ব্যাখ্যা। উদ্দেশ্য হলো বিরাট সাওয়াবের অংশ নিয়ে ফেরা। যার পরিমাণ একমাত্র আল্লাহর ‘ইলমেই রয়েছে।

আবার এমনও হতে পারে যে, ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) দিন আল্লাহ তা‘আলা বান্দার এ ‘আমলকে প্রকৃত অর্থেই উহুদ পাহাড়ের মতো বড় করে তা ওজনে আনবেন।

এ হাদীসের মাধ্যমে জানাযার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়, মাইয়্যিতকে দাফন ইত্যাদির প্রতি মু’মিনদের উৎসাহিত করা হয়েছে এবং আল্লাহ তা‘আলার বড় অনুগ্রহের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৫: জানাযা (كتاب الجنائز)