১৪৪১

পরিচ্ছেদঃ ৪৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - দু’ ঈদের সালাত

১৪৪১-[১৬] কাসীর তাঁর পিতা ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে, তিনি তাঁর পিতা ’আমর ইবনু ’আওফ হতে বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’ঈদের প্রথম রাক্’আতে ক্বিরাআতের পূর্বে সাতবার ও দ্বিতীয় রাক্’আতে ক্বিরাআতের পূর্বে পাঁচবার তাকবীর বলেছেন। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ ও দারিমী)[1]

وَعَنْ كَثِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَبَّرَ فِي الْعِيدَيْنِ فِي الْأُولَى سَبْعًا قَبْلَ الْقِرَاءَةِ وَفِي الْآخِرَةِ خَمْسًا قَبْلَ الْقِرَاءَةِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه والدارمي

وعن كثير بن عبد الله عن ابيه عن جده ان النبي صلى الله عليه وسلم كبر في العيدين في الاولى سبعا قبل القراءة وفي الاخرة خمسا قبل القراءة رواه الترمذي وابن ماجه والدارمي

ব্যাখ্যা: অন্য স্থানে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর হাদীস দারাকুত্বনীতে এসেছে, তাতে বলা হয়েছে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুরুর তাকবীর ব্যতিরেকে বারোটি তাকবীর দিয়েছেন। আর ‘আমর ইবনু ‘আস-এর হাদীস তাকবীরে তাহরীমা ব্যতিরেকে। আর হাদীসটি সাব্যস্ত করে দলীল হিসেবে যে, দু’ঈদে ক্বিরাআতের পূর্বে প্রথম রাক্‘আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক্‘আতে পাঁচ তাকবীর আর এমতটি সাহাবীদের বিশাল সংখ্যক দলের। তাদের মধ্যে খুলাফায়ে রাশিদীনের এবং তাবি‘ঈন ও পরবর্তী ইমামদের। আর ইমাম আবূ হানীফার মত প্রথম রাক্‘আতে তাকবীরে তাহরীমার পরে ক্বিরাআতের পূর্বে তিন তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক্‘আতে ক্বিরাআতের পরে রুকূ‘ তাকবীর ব্যতিরেকে তিন তাকবীর। আমি (ভাষ্যকার) বলিঃ আমাদের ‘আমল এবং উত্তম ক্বিরাআতের পূর্বে প্রথম রাক্‘আতে বার তাকবীর সাত দ্বিতীয় রাক্‘আতে পাঁচ তাকবীর।

দু’টি দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রথমতঃ প্রচুর সংখ্যক মারফূ' হাদীস বর্ণিত হয়েছে, এ বিষয়ে তার মধ্যে কতকগুলো সহীহ অথবা হাসান আর বাকী হাদীসগুলো তার সমর্থন করেছে। পক্ষান্তরে আবূ হানীফার মতের স্বপক্ষে একটি মাত্র মারফূ' হাদীস আবূ মূসা আল আশ্‘আরীর হাদীস যা সামনে আসছে দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য না আর বাকী হাদীসগুলো মাওকূফ এবং দুর্বল। দ্বিতীয়তঃ খুলাফায়ে রাশিদীনের ‘আমল। তথা ১২ তাকবীর।

সংশ্লিষ্ট সংক্ষিপ্ত কিছু মাস্আলাহ্ঃ

১। তাকবীর সুন্নাহ, ওয়াজিব না ভুলে ক্বিরাআত (কিরআত) শুরু করলে তাকবীর পুনরাবৃত্তির প্রয়োজন নেই।

২। শুরুর দু‘আ তথা সানা পড়ার স্থানঃ ইবনু কুদামাহ্ বলেন, প্রথম তাকবীরের পরে সানা পড়বে। অতঃপর ঈদের তাকবীর দিবে। তারপর আ‘ঊযুবিল্লা-হ পড়ে ক্বিরাআত (কিরআত) শুরু করবে। আবার কারো মতে তাকবীর পড়ে সানা পড়বে তবে যেটি করুক বৈধ হবে।

৩। প্রত্যেক তাকবীরের সময় দু’হাত উঠানোঃ প্রত্যেক তাকবীরের সময় হাত উঠানো মুস্তাহাব আহমাদে বর্ণিত হাদীস নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবীরের সময় হাত উঠাতেন আর ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি জানাযার সময় প্রত্যেক তাকবীরে দু’হাত উঠাতেন এটিই গ্রহণযোগ্য মত।

৪। তাকবীরে ধারাবাহিকতা রক্ষা করবে, না মধ্যখানে বিরতি দিয়ে তাসবীহ তাহলীল পড়বে সঠিক মত হল তাকবীরের মাঝে স্বতন্ত্র কোন দু‘আ নেই।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)