১৪১৬

পরিচ্ছেদঃ ৪৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - খুতবাহ্ ও সালাত

১৪১৬-[১৬] কা’ব ইবনু উজরাহ্ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি মসজিদে হাজির হলেন। তখন ’আবদুর রহমান ইবনু উম্মুল হাকাম বসে বসে খুতবাহ্ দিচ্ছিলেন। কা’ব বললেন, এ খবীসের দিকে তাকাও। সে বসে বসে খুতবাহ্ দিচ্ছে। অথচ আল্লাহ তা’আলা বলেন, ’’যখন তারা বাণিজ্য কাফেলা অথবা খেল-তামাশা দেখে, তোমাকে দাঁড়ানো অবস্থায় রেখে সেদিকে চলে যায়’’- (সূরাহ্ আল জুমু’আহ্ ৬২: ১১)। (মুসলিম)[1]

وَعَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ: أَنَّهُ دَخَلَ الْمَسْجِدَ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أُمِّ الْحَكَمِ يَخْطُبُ قَاعِدًا فَقَالَ: انْظُرُوا إِلَى هَذَا الْخَبِيثِ يَخْطُبُ قَاعِدًا وَقد قَالَ الله تَعَالَى: (وَإِذَا رَأَوْا تِجَارَةً أَوْ لَهْوًا انْفَضُّوا إِلَيْهَا وَتَرَكُوك قَائِما)
رَوَاهُ مُسلم

وعن كعب بن عجرة انه دخل المسجد وعبد الرحمن بن ام الحكم يخطب قاعدا فقال انظروا الى هذا الخبيث يخطب قاعدا وقد قال الله تعالى واذا راوا تجارة او لهوا انفضوا اليها وتركوك قاىمارواه مسلم

ব্যাখ্যা: আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ রাবীর কথা (وَقَدْ قَالَ اللهُ تَعَالى) ‘‘অথচ আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন’’ অস্বীকৃতির দৃষ্টিকোণ থেকে নির্ধারিত অবস্থা, অর্থাৎ কিভাবে বসে খুতবাহ্ দিবে? অথচ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে খুতবাহ্ দিয়েছেন, তার দলীল হলো আল্লাহ তা‘আলার কথাঃ ‘‘তারা আপনাকে দাঁড়ানো অবস্থায় ছেড়ে দিলো’’- (সূরাহ্ আল জুমু‘আহ্ ৬২ : ১১)।

বিষয়টা হলো যে, মদীনাহ বাসীদের অভাব অনটন ও ক্ষুধা পৌঁছে যায়। অতঃপর সিরিয়া থেকে একদল বণিক মদীনায় আগমন করে, আর তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমু‘আর খুতবাহ্ দিচ্ছিলেন, অতঃপর তারা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে খুতবায় দাঁড়ানো অবস্থায় রেখেই বণিকদের নিকট কেনাকাটার জন্য গেল। অপরদিকে খুব অল্প সংখ্যক ব্যক্তি তার সাথে অবশিষ্ট ছিল। তারা ছিলেন মাত্র ১২ জন তার মধ্যে আবূ বাকর ও ‘উমার (রাঃ) ছিলেন। সহীহ মুসলিমেও অনুরূপ বর্ণনা রয়েছেঃ এ আয়াত দ্বারা তার দলীল গ্রহণ করার দিক হলো যে, আল্লাহ তা‘আলা সংবাদ দিলেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে খুতবাহ্ দিতেন এবং আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃ ‘‘নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মাঝে রয়েছে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ’’- (সূরাহ্ আল আহযাব ৩৩ : ২১)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেনঃ ‘‘রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা নিয়ে এসেছেন তা গ্রহণ করো’’- (সূরাহ্ আল হাশর ৫৯ : ৭) এবং নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা- ‘‘সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করো যেরূপ আমাকে সালাত আদায় করতে দেখেছ।’’ সুতরাং খুতবাহ্ (খুৎবা) দাড়িয়েই দিতে হবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)