১৩৯৭

পরিচ্ছেদঃ ৪৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - পবিত্রতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন

১৩৯৭-[১৭] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি জুমু’আর দিন ইমামের খুতবার সময় কথা বলে, সে ভারবাহী গাধার মতো (বোঝা বহন করে, ফল ভোগ করতে পারে না)। আর যে ব্যক্তি অন্যকে চুপ করতে বলে তারও জুমু’আহ্ নেই। (আহমাদ)[1]

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَكَلَّمَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ فَهُوَ كَمَثَلِ الْحِمَارِ يَحْمِلُ أَسْفَارًا وَالَّذِي يَقُولُ لَهُ أَنْصِتْ لَيْسَ لَهُ جُمُعَة» . رَوَاهُ أَحْمد

وعن ابن عباس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من تكلم يوم الجمعة والامام يخطب فهو كمثل الحمار يحمل اسفارا والذي يقول له انصت ليس له جمعة رواه احمد

ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসের বাহ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে যা জানা যায় তা হলোঃ প্রয়োজনীয় এবং অপ্রয়োজনীয় কথার মাঝে কোন পার্থক্য করা ব্যতীতই সকল প্রকার কথা বলা নিষিদ্ধ এবং সকল কথা বলা হারাম মর্মে মত দিয়েছেন জমহূর ‘উলামাগণ।

কিন্তু কেউ কেউ সেটা খুতবাহ্ শ্রবণকারীর সাথে নির্দিষ্ট করেছেন। তবে অধিকাংশ ‘উলামাগণ নির্দিষ্ট করেননি, তারা বলেন যদি কেউ জুমু‘আয় ভাল কাজের নির্দেশ দিতে ইচ্ছা করে, সে যেন ইশারার মাধ্যমে তা করে।

কেননা (لَيْسَ لَه جُمُعَة) অর্থাৎ তার কোন জুমু‘আহ্ নেই। এখানে দলীল হলো যে, তার কোন সালাত (সালাত/নামায/নামাজ)ই হবে না (কথা বললে)। এখানে জুমু‘আহ্ দ্বারা সালাত উদ্দেশ্য, কিন্তু ইজমার ভিত্তিতে তা যথেষ্ট হবে (অর্থাৎ সালাত আদায় হবে)। কেননা এখানে (نفى) নাফী-টা ফাযীলাতের জন্য, যা সে চুপ থাকার জন্য পাবে। যেমন- ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, ‘যে অনর্থক কথা বলবে মানুষের গর্দান চিড়ে সামনে যাবে তার যুহর আদায় হবে।’

ইবনু ওয়াহ্ব তার এক বর্ণনায় বলেনঃ তার অর্থ হলো তার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) হবে তবে সে জুমু‘আর ফাযীলাত থেকে বঞ্চিত হবে। আল্লামা নাবাবী (রহঃ) বলেনঃ কথা বলার কারণে জুমু‘আহ্ বাতিল হবে না এ ব্যাপারে কোন মতপার্থক্য নেই। যদিও আমরা তা হারাম বলে থাকি তবে অগ্রগণ্য মত হলোঃ (فلا جمعة له) এখানে ‘নাফী’ বা নিষেধাজ্ঞা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো জুমু‘আর পূর্ণ সাওয়াব না পাওয়া তার মৌলিকত্বকে (জুমু‘আর মৌলিকত্ব) নিষেধ করছে না।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)