১৩০৮

পরিচ্ছেদঃ ৩৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রমাযান মাসের ক্বিয়াম (তারাবীহ সালাত)

১৩০৮-[১৪] ’আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ শা’বান মাসের পনের তারিখ রাত হলে তোমরা সে রাত্রে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় কর ও দিনে রোযা রাখো। কেননা, আল্লাহ তা’আলা এ রাত্রে সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন এবং (দুনিয়াবাসীকে উদ্দেশ্য করে) বলেন, কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দেবো। কোন রিযক্বপ্রার্থী আছে কি, আমি তাকে রিযক্ব (রিজিক/রিযিক) দান করব? কোন বিপদগ্রস্ত কি আছে, আমি তাকে বিপদ মুক্ত করে দেব? এভাবে আল্লাহ মানুষের প্রতিটি দরকার ও প্রতিটি বিপদের নাম উল্লেখ করে তাঁর বান্দাদেরকে সকাল হওয়া পর্যন্ত আহবান করতে থাকেন। (ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا كَانَتْ لَيْلَةُ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَقُومُوا لَيْلَهَا وَصُومُوا يَوْمَهَا فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَنْزِلُ فِيهَا لِغُرُوبِ الشَّمْسِ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا فَيَقُولُ: أَلَا مِنْ مُسْتَغْفِرٍ فَأَغْفِرَ لَهُ؟ أَلَا مُسْتَرْزِقٌ فَأَرْزُقَهُ؟ أَلَا مُبْتَلًى فَأُعَافِيَهُ؟ أَلَا كَذَا أَلَا كَذَا حَتَّى يطلع الْفجْر . رَوَاهُ ابْن مَاجَه

وعن علي رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا كانت ليلة النصف من شعبان فقوموا ليلها وصوموا يومها فان الله تعالى ينزل فيها لغروب الشمس الى السماء الدنيا فيقول الا من مستغفر فاغفر له الا مسترزق فارزقه الا مبتلى فاعافيه الا كذا الا كذا حتى يطلع الفجر رواه ابن ماجه

ব্যাখ্যা : আলোচ্য হাদীসটি অর্ধ শা‘বানের রাত্রিতে সিয়াম পালন করা মুস্তাহাব- এ মর্মে দলীল কিন্তু হাদীসটি জাল এবং এ হাদীস দ্বারা (হানাফীদের পক্ষ হতে) দলীল গ্রহণ করা হয় আইয়্যামে বীয-এর সিয়াম মুস্তাহাব হওয়ার ব্যাপারে। কিন্তু তা যে বাতিল তাতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ উক্ত হাদীসের উদ্দেশ্য হলো মাত্র একদিন সিয়াম পালন মুস্তাহাব হওয়ার ব্যাপারে। অর্থাৎ তা হলো শা‘বানের ১৫ তারিখ। প্রতিমাসে তিন দিন সিয়াম পালনের দলীল এ হাদীসে কোথায়?

(আইয়্যামে বীয বা প্রতি মাসে তিন দিন ১৩, ১৪, ১৫ তারিখে সিয়াম পালন করা অন্যান্য সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত)

সারকথা হলো অর্ধ শা‘বান তথা শা‘বানের ১৫ তারিখে সিয়াম পালন প্রসঙ্গে কোন মারফূ‘, সহীহ অথবা হাসান, অথবা স্বল্প দুর্বলতা সম্পূর্ণ য‘ঈফ হাদীস এবং মজবুত কোন আসার অথবা য‘ঈফ আসারও নেই।


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)