১২৮৯

পরিচ্ছেদঃ ৩৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - দু‘আ কুনূত

১২৮৯-[২] ’আসিম আল আহ্ওয়াল (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে ’’দু’আয়ে কুনূত’’ ব্যাপারে প্রশ্ন করেছি যে, এটা সালাতে রুকূ’র পূর্বে পড়া হয়, না পরে? আনাস (রাঃ) বললেন, রুকূ’র পূর্বে। তিনি আরো বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ফজরের সালাতে অথবা সকল সালাতে রুকূ’র পরে দু’আয়ে) কুনূত পড়েছেন শুধু একবার। (তারও কারণে ছিল) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছু লোককে, যাদেরকে ক্বারী বলা হত, তাদের সংখ্যা ছিল সত্তরজন (তাবলীগের জন্য) কোথাও পাঠিয়েছিলেন। ওখানকার লোকেরা তাদেরকে শাহীদ করে দিয়েছিল। সেজন্য রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মাস পর্যন্ত রুকূ’র পরে দু’আয়ে কুনূত পড়ে হত্যাকারীদের জন্যে বদদু’আ করেছেন। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَاب الْقُنُوْتِ

وَعَن عَاصِم الْأَحول قَالَ: سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ عَنِ الْقُنُوتِ فِي الصَّلَاةِ كَانَ قَبْلَ الرُّكُوعِ أَوْ بَعْدَهُ؟ قَالَ: قَبْلَهُ إِنَّمَا قَنَتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدُ الرُّكُوعِ شَهْرًا إِنَّهُ كَانَ بَعَثَ أُنَاسًا يُقَالُ لَهُمْ الْقُرَّاءُ سَبْعُونَ رَجُلًا فَأُصِيبُوا فَقَنَتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدُ الرُّكُوعِ شَهْرًا يَدْعُو عَلَيْهِمْ

وعن عاصم الاحول قال سالت انس بن مالك عن القنوت في الصلاة كان قبل الركوع او بعده قال قبله انما قنت رسول الله صلى الله عليه وسلم بعد الركوع شهرا انه كان بعث اناسا يقال لهم القراء سبعون رجلا فاصيبوا فقنت رسول الله صلى الله عليه وسلم بعد الركوع شهرا يدعو عليهم

ব্যাখ্যা: বিতর সালাতে কুনূতের স্থানই রুকূ‘র পূর্বে এবং বুখারীতে এ হাদীসের সমর্থনে হাদীস রয়েছে যে, ‘আসিম আনাস ইবনু মালিককে জিজ্ঞেস করলো কুনূত বিষয়ে, কুনূত কি রুকূ‘র আগে না পরে? জবাবে তিনি বললেন, পূর্বে। ‘আসিম বলেন যে, আমাকে জানানো হয়েছে যে, আপনি নাকি রুকূ‘র পরে কুনূত পড়তে বলেছেন? তিনি (আনাস (রাঃ)  বললেন, সে মিথ্যা বলেছে, নিশ্চয় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকূ‘র পূর্বে কুনূত পড়তেন। বুখারীর অপর বর্ণনায় রয়েছে যে, এক ব্যক্তি আনাস (রাঃ)-কে কুনূত ব্যাপারে তা (কুনূত) রুকূর পরে পড়তে হবে না-কি ক্বিরাআতের শেষে? তিনি বললেনঃ না, বরং কুনূত ক্বিরাআতের শেষে পড়তে হবে।

নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরয সালাতে কুনূতে নাযিলাহ্ পড়েছেন রুকূ‘র পরে মাত্র এক মাস আর ফরয সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ছাড়া সাধারণ বিতর সালাতে সর্বদা রুকূ‘র পূর্বে পড়তেন। অর্থাৎ যে ব্যক্তি বলবে যে, কুনূত সর্বদাই রুকূ‘র পরে পড়তে হবে সে অবশ্যই ভুল বলবে কারণ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকূ‘র পরে কুনূত পড়েছেন এক মাস মাত্র। অতএব উল্লেখিত হাদীস থেকে প্রতীয়মান হয় যে, কুনূতে নাযিলা (কারো বিরুদ্ধে বদ্দু‘আ এবং কারো মুক্তি কামনায় বিশেষ দু‘আ করা) শারী‘আত সম্মত এবং তা রুকূ‘র পরে পড়তে হবে। আর ফরয সালাত নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কুনূতে নাযিলাহটি রুকূর পরে এক মাসের মধ্য সীমাবদ্ধ ছিল।

এর পরবর্তী মাসে তিনি আর কুনূত পড়েননি এবং তিনি ফরয সালাতে রুকূর আগে কিংবা পরে কুনূতে নাযিলাহ্ ছাড়া কোন কুনূত পড়তেন না। যেমন- আনাস (রাঃ)-এর হাদীস সহীহ ইবনু খুযায়মাহর বর্ণনায়, সহীহ ইবনু হিব্বানে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীস তার জ্বলন্ত প্রমাণ।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)