১২৮৬

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - বিতরের সালাত

১২৮৬-[৩৩] সাওবান (রাঃ)হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তাহাজ্জুদের সালাতের জন্যে রাত্রে জেগে উঠা কষ্টকর ও কঠিন কাজ। তাই তোমাদের যে লোক রাতের শেষাংশে জাগরিত হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত না হয়, সে ঘুমাবার পূর্বে ’ইশার সালাতের পর বিতর আদায় করতে চাইলে যেন দু’ রাক্’আত আদায় করে নেয়। যদি তাহাজ্জুদের সালাতের জন্যে রাত্রে উঠে যায় তবে তো ভাল, উঠতে না পারলে ঐ দু’ রাক্’আত যথেষ্ট। (দারিমী)[1]

وَعَنْ ثَوْبَانَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ هَذَا السَّهَرَ جُهْدٌ وَثِقَلٌ فَإِذَا أَوْتَرَ أَحَدُكُمْ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ فَإِنْ قَامَ مِنَ اللَّيْلِ وَإِلَّا كَانَتَا لَهُ» . رَوَاهُ الدَّارِمِيُّ

وعن ثوبان عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ان هذا السهر جهد وثقل فاذا اوتر احدكم فليركع ركعتين فان قام من الليل والا كانتا له رواه الدارمي

ব্যাখ্যা: (إِنَّ هذَا السَّهَرَ.....) এখানে السَّهَرَ শব্দটি سه বর্ণে যবর যোগে, অর্থাৎ السَّهَرُ অর্থ হলো নির্ঘুম বা জাগ্রত থাকা। দারাকুত্বনী ও বায়হাক্বীর (৩য় খন্ড, পৃঃ ৩৩) বর্ণনায় রয়েছে যে, أن هذا السفر অর্থাৎ ه -এর পরিবর্তে ف (سهر-এর পরিবর্তে سفر) রয়েছে, অনুরূপ বর্ণনা করেছেন হায়সামী তার মাজমাউয্ যাওয়ায়িদ-এর ২য় খন্ডের ২৪৬ পৃষ্ঠায় মু‘আয আত্ ত্ববারানীর বর্ণনায়। কাজেই নিশ্চয় السهر শব্দটি দারিমীর নিজস্ব কথা এবং سفر শব্দটি সঠিক কারণ সংঘটিত ঘটনাটি ঘটেছে সফর অবস্থায়। সুতরাং দারাকুত্বনী, বায়হাক্বী ও ত্ববারানী রিওয়ায়াতে সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সফরে ছিলাম।

হাফিয ইবনু হাজার (রহঃ) বলেনঃ আলোচ্য হাদীসটি এই হাদীস (তোমরা বিতরকে করো রাতের শেষ সালাত)-এর বিরোধিতা করছে না।’

কারণ আলোচ্য হাদীসে أَوْتَرَ -এর অর্থ হচ্ছে أَرَادَ অর্থাৎ যখন তোমরা বিতর আদায়ের ইচ্ছা করবে তখন সে যেন দু’ রাক্‘আত সালাত  আদায় করে, (বিতর আদায়ের পূর্বে) অতঃপর সে যেন এক কিংবা তিন রাক্‘আত বিতর আদায় করে নেয়, আর বিতরের পূর্বের দু’ রাক্‘আত নফল হিসেবে গণ্য হবে, যা তাহাজ্জুদের স্থলাভিষিক্ত হবে। অথবা এখানে দু’ রাক্‘আতের নির্দেশটি বৈধতার জন্য। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ‘আমলের মাধ্যমে যার ব্যাখ্যা অতিবাহিত হয়েছে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের পরে দু’ রাক্‘আত সালাত (বসে থেকে) আদায় করতেন।

উল্লেখ্য যে, দ্বিতীয় ব্যাখ্যাটি গ্রহণ করেছেন দারিমী ও বায়হাক্বী (রহঃ), তারা উভয়ই তা বর্ণনা করেছেন তাদের নিজ নিজ গ্রন্থে ‘‘বিতরের পরে দু’ রাক্‘আত সালাত’ অধ্যায়ে।

কিন্তু আল্লামা ক্বারী (রহঃ) বলেন যে, দ্বিতীয় ব্যাখ্যাটি সঠিক নয়। ১ম ব্যাখ্যাটিই সঠিক।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)