পরিচ্ছেদঃ
৩২৫। যে ব্যাক্তি কোন গুনাহ করল। অতঃপর জানতে পারল যে, আল্লাহ তা অবগত হয়েছেন, তবেই তাঁকে ক্ষমা করে দেয়া হবে যদিও সে ক্ষমা প্রার্থনা না করে।
হাদীসটি জাল।
এটি তাবারানী “মুজামুল আওসাত” গ্রন্থে (১/২৭২/১/৪৬৩৩) ইব্রাহীম ইবনু হিরাসা সূত্রে হামযা আয-যায়য়াত হতে ... বর্ণনা করেছেন। হায়সামী বলেন (১০/২১১) তাতে ইব্রাহীম ইবনু হিরাসা রয়েছেন। তিনি মাতরূক।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আবু দাউদ ও অন্যরা তাকে মিথ্যুক বলেছেন। এ চারটি হাদীস শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকেও বাতিল বলে গণ্য হয়। এভাবে শরীয়তে বলা হয়নি যে, শুধুমাত্র অনুতপ্ত হওয়া এবং এটি জ্ঞাত হওয়া যে, গুনাহগার সম্পর্কে আল্লাহ অবহিত, তাহলেই সে নাজাত পেয়ে যাবে। বরং অপরিহার্য হচ্ছে তাকে তাওবায়ে নাসূহা করতে হবে। বুখারীতে কিতাবুত তাওহীদ অধ্যায়ে বর্ণিত (৭৫০৭) হাদীসটি এরূপ বানোয়াট হাদীস হতে আমাদেরকে নিরাপদে রাখতে পারে।
من أذنب ذنبا فعلم أن الله قد اطلع عليه غفر له وإن لم يستغفر
موضوع
-
رواه الطبراني في " الأوسط " (1 / 272 / 1 / 4633) من طريق إبراهيم بن هراسة عن حمزة الزيات عن العلاء بن المسيب عن أبيه عن ابن مسعود مرفوعا، قال الهيثمي (10 / 211) : وفيه إبراهيم بن هراسة وهو متروك
قلت: وكذبه أبو داود وغيره، وانظر الحديث قبله
ومما يبطل هذه الأحاديث الأربعة ما تقرر في الشريعة أن النجاة لا تكون بمجرد الندم والعلم أن الله مطلع على المذنب بل لابد من التوبة النصوح
وسوف يأتي حديث آخر بهذا المعنى (6172)