১২৬৮

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিতরের সালাত

১২৬৮-[১৫] যায়দ ইবনু আসলাম (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ যে লোক বিতরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় না করে শুয়ে পড়েছে (আর উঠতে পারেনি), সে যেন (ফজরের সালাতের পূর্বে) ভোর হয়ে গেলেও তা পড়ে নেয়। (তিরমিযী মুরসাল হাদীস হিসেবে বর্ণনা করেছেন)[1]

وَعَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ نَامَ عَنْ وَتْرِهِ فَلْيُصَلِّ إِذَا أَصْبَحَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مُرْسلا

وعن زيد بن اسلم قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من نام عن وتره فليصل اذا اصبح رواه الترمذي مرسلا

ব্যাখ্যা: فَلْيُصَلِّ إِذَا أَصْبَحَ অর্থাৎ ফজরে সে যেন বিতর আদায় করে নেয় যখন সে তার বিতর আদায় না করার ব্যাপারে নিশ্চিত হবে। অনুরূপ যে ব্যক্তি বিতর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতে ভুলে যাবে। যখনই তার স্মরণে আসবে তখনই তা আদায় করবে। এটা হলো যে ব্যক্তি ফরয সালাত থেকে ঘুমিয়ে পড়বে অথবা তা ভুলে যাবে, তার হুকুমের মতই যখন সে ঘুম থেকে জাগ্রত হবে কিংবা তার স্মরণ হবে তখনই আদায় করে নিবে। কাজেই এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, বিতর সালাত ক্বাযা করা শারী‘আত সম্মত।

এ ব্যাপারে ‘উলামাদের মাঝে ইখতিলাফ রয়েছে,

(১) ইমাম মালিক (রহঃ)-এর মতে বিতরের ওয়াক্ত ফাজর (ফজর) পর্যন্ত ফাজ্‌রের (ফজরের) পর তা ক্বাযা করা যাবে না।

(২) ইমাম শাফি‘ঈ ও আহমাদ (রহঃ)-এর মতে রাত-দিনের যে কোন সময় বিতর ক্বাযা করা যাবে এবং তা সুন্নাত।

(৩) ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ) ও তার সহচরবৃন্দর মতে বিতর ছুটে গেলে তা ক্বাযা করা ওয়াজিব।

তবে প্রসিদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য মত হলো ইমাম শাফি‘ঈ ও আহমাদ (রহঃ)-এর মত। অর্থাৎ রাত-দিনের যে কোন সময় বিতর ক্বাযা করা বৈধ। তা ওয়াজিব নয়।

ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেন, এ হাদীসটি ব্যাপক যা ফরয, নফল সকল সালাতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ফরয ছুটে গেলে তা ক্বাযা করা ফরয আর নফল ছুটে গেলে তা ক্বাযা করা বৈধ।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)