১২৬০

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিতরের সালাত

১২৬০-[৭] জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ যে লোক আশংকা করে যে, শেষ রাতে উঠতে পারবে না সে যেন প্রথম রাতেই বিতরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে নেয়। আর যে লোক শেষ রাত্রে উঠতে পারবে বলে মনে করে, সে যেন শেষ রাতেই বিতরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে। এজন্য যে, শেষ রাতের সালাতে ফেরেশতাগণ উপস্থিত হন। আর এটা অনেক ভাল। (মুসলিম)[1]

بَابُ الْوِتْرِ

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ خَافَ أَنْ لَا يَقُومَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ فَلْيُوتِرْ أَوَّلَهُ وَمَنْ طَمِعَ أَنْ يَقُومَ آخِرَهُ فَلْيُوتِرْ آخِرَ اللَّيْلِ فَإِنَّ صَلَاةَ آخِرِ اللَّيْلِ مَشْهُودَةٌ وَذَلِكَ أَفْضَلُ» . رَوَاهُ مُسلم

وعن جابر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من خاف ان لا يقوم من اخر الليل فليوتر اوله ومن طمع ان يقوم اخره فليوتر اخر الليل فان صلاة اخر الليل مشهودة وذلك افضل رواه مسلم

ব্যাখ্যা: এখানে مَشْهُوْدَةٌ শব্দটি مَحْضُوْرَةٌ -এর অর্থে ব্যবহার হয়েছে। অর্থাৎ রাতের শেষ ভাগে রহমাতের মালাক (ফেরেশতা) আগমন করে। আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেন যে, এ সময় রাত ও দিনের মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) উপস্থিত হয়। আলোচ্য হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, রাতের শেষভাগেই বিতর আদায় করা উত্তম, কিন্তু যে ব্যক্তি শেষ রাতে জাগ্রত না হওয়ার আশংকা করবে সে প্রথমাংশে বিতর আদায় করে নিবে। মুহাদ্দিসীন কিরামের একটি দল এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।

ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন যে, উল্লেখিত হাদীসে সুস্পষ্ট দলীল রয়েছে যে, নিশ্চয়ই রাতের শেষভাগে বিতর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করা ঐ ব্যক্তির জন্য উত্তম, যে শেষ রাতে জাগ্রত হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদী বা সক্ষম, আর যে ব্যক্তি শেষ রাতে জাগ্রত হওয়ার দৃঢ় আশাবাদী বা সক্ষম নয় তার জন্য রাতের প্রথমভাগে বিতর আদায় করাটাই উত্তম এবং এটাই সঠিক। তবে অনেকেই এ হাদীস দ্বারা বিতর সালাত ওয়াজিব হওয়ার উপর দলীল গ্রহণ করেছেন। মুল্লা ‘আলী ক্বারী (রহঃ) বলেন, বিতর সালাত ছুটে যাওয়ার আশংকায় রাতের প্রথমাংশে তা আদায় করার নির্দেশটা তার (বিতর) ওয়াজিব হওয়ার উপরই প্রমাণ বহন করে।

তার জবাবে বলা যায় যে, বিতর সালাত ছুটে যাওয়ার আশংকায় রাতের প্রথমাংশে তা আদায় করার নির্দেশ বা أمر বিতর সালাতের গুরুত্ব বহন করারই সম্ভাবনা রাখে, ওয়াজিব বুঝানোর জন্য নয়। আর যখন أمر -এর ব্যাপারে সংশয় আসে। তখন তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা বাতিল হবে। অতএব উক্ত أمر দ্বারা বিতর ওয়াজিব হওয়ার দলীল গ্রহণ করা সঠিক নয়।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)