১২৩২

পরিচ্ছেদঃ ৩৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ক্বিয়ামুল লায়ল-এর প্রতি উৎসাহ দান

১২৩২-[১৪] আবূ মালিক আল আশ্’আরী (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ জান্নাতে এমনসব কক্ষ আছে যার বাইরের জিনিস ভেতর থেকে আর ভেতরের জিনিস বাইরে থেকে দেখা যায়। আর এ বালাখানা আল্লাহ তা’আলা ঐসব ব্যক্তির জন্যে তৈরি করে রেখেছেন, যারা অন্য ব্যক্তির সঙ্গে নরম কথা বলে। (গরীব-মিসকীনকে) খাবার দেয়। প্রায়ই (নফল) সওম পালন করে। রাত্রে এমন সময় (তাহাজ্জুদের) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে যখন অনেক মানুষ ঘুমিয়ে থাকে। (বায়হাক্বীর শু’আবুল ঈমান)[1]

وَعَنْ أَبِي مَالِكٍ الْأَشْعَرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ فِي الْجَنَّةِ غُرَفًا يُرَى ظَاهِرُهَا مِنْ بَاطِنِهَا وَبَاطِنُهَا مِنْ ظَاهِرِهَا أَعَدَّهَا اللَّهُ لِمَنْ أَلَانَ الْكَلَامَ وَأَطْعَمَ الطَّعَامَ وَتَابَعَ الصِّيَامَ وَصَلَّى بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نيام» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ فِي شعب الْإِيمَان

وعن ابي مالك الاشعري قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان في الجنة غرفا يرى ظاهرها من باطنها وباطنها من ظاهرها اعدها الله لمن الان الكلام واطعم الطعام وتابع الصيام وصلى بالليل والناس نيام رواه البيهقي في شعب الايمان

ব্যাখ্যা: জান্নাতের নির্মাণ সামগ্রী অথবা তার নির্মাণশৈলী এমন আলোকভেদী হবে যে, তার অভ্যন্তর থেকে বাইরের বস্তুসমূহ দেখা যাবে, আবার বাইরে থেকেও তার ভিতরের সব কিছু দেখা যাবে। এমন বর্ণনার জান্নাত লাভের জন্য শর্ত হলোঃ

১। মিষ্টভাষী হওয়া, নরম কথা বলা, মানুষের সাথে সহনশীল হওয়া, আর জাহিল ব্যক্তিরা তার সাথে খরাপ কথা বলতে চেষ্টা করলে তাদের সালাম দিয়ে বিদায় নেয়া ইত্যাদি।

২। যারা অভুক্তকে খাদ্য খাওয়ায়, অর্থাৎ অভাব অনটনের সময় দরিদ্র ফকীর মানুষকে খাদ্য দান করে।

৩। যারা ধারাবাহিক সওম পালন করেন। এই সওম দ্বারা উদ্দেশ্য ফরয সওম ছাড়া অন্য সাওম। আর ধারাবাহিক বলতে একের পর এক। ইবনু মালিক বলেন, সেটা হলো ইবনু ‘উমার (রাঃ), আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) ও অন্যান্যদের সওমের ন্যায় সওম। যেমন প্রতি মাসে তিনটি সাওম, মাসের প্রথম মধ্য ও শেষ তারিখের সওম। এ ছাড়াও সোম ও বৃহস্পতিবারের সওম, ‘আরাফার সওম, ‘আশূরার সওম ইত্যাদি। সর্বোপরি উদ্দেশ্য হলো অধিকহারে সওম পালন করা। তবে সওমে বিসাল ও সওমুদ্ দাহর নয়।

৪। জান্নাতের ঐ কক্ষের বাসিন্দার আরো গুণাবলী হবে এই যে, দুনিয়ার মানুষ যখন গভীর ঘুমে নিমগ্ন থাকবে তখন তারা আরামের ঐ ঘুমকে বর্জন করে রাতের তাহাজ্জুদ সালাতে নিমগ্ন হবে।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)