১২৩০

পরিচ্ছেদঃ ৩৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ক্বিয়ামুল লায়ল-এর প্রতি উৎসাহ দান

১২৩০-[১২] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা ঐ লোকের ওপর রহমত নাযিল করুন যে রাতে উঠে তাহাজ্জুদের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে। আবার নিজের স্ত্রীকেও সালাতের জন্যে জাগায়। যদি স্ত্রী না উঠে তাহলে তার মুখে পানি ছিটিয়ে দেয়। আল্লাহ ঐ মহিলার প্রতিও রহমত করেন যে রাত্রে উঠে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করে। আবার তার স্বামীকেও তাহাজ্জুদের সালাত আদায়ের জন্যে উঠায়। যদি স্বামী ঘুম থেকে না উঠে তাহলে সে তার মুখে পানি ছিটে দেয়। (আবূ দাঊদ, নাসায়ী)[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رَحِمَ اللَّهُ رَجُلًا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ فَصَلَّى وَأَيْقَظَ امْرَأَتَهُ فَصَلَّتْ فَإِنْ أَبَتْ نَضَحَ فِي وَجْهِهَا الْمَاءَ. رَحِمَ اللَّهُ امْرَأَةً قَامَتْ مِنَ اللَّيْلِ فَصَلَّتْ وَأَيْقَظَتْ زَوْجَهَا فَصَلَّى فَإِنْ أَبَى نَضَحَتْ فِي وَجْهِهِ المَاء» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ

وعن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم رحم الله رجلا قام من الليل فصلى وايقظ امراته فصلت فان ابت نضح في وجهها الماء رحم الله امراة قامت من الليل فصلت وايقظت زوجها فصلى فان ابى نضحت في وجهه الماء رواه ابو داود والنساىي

ব্যাখ্যা: এখানেও সালাত দ্বারা তাহাজ্জুদের সালাত উদ্দেশ্য। এ হাদীসে স্ত্রীকে জাগানোর কথা বলা হয়েছে কিন্তু সামনে আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী ও আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে ‘আহল’ বা পরিবারের কথা বলা হয়েছে, সে মোতাবেক সন্তান-সন্ততি ও পরিবারের অন্যান্য নিকটতম ব্যক্তিও এর অন্তর্ভুক্ত হয়। এটা মূলত এই কথা যে, যার কাছে কোন কল্যাণ পৌঁছেছে তার উচিত সে কল্যাণ অপরের নিকটেও পৌঁছানো। নিজে যা পছন্দ করে অপরের জন্য তাই পছন্দ করা উচিত। সুতরাং রাত্রিকালীন সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়ের মহা পুরস্কার আপনজনদের যেন পৌঁছে এটা সেই প্রয়াস।

মুখে পানি পিছানোর কথা বলা হয়েছে এজন্য যে, এটা শ্রেষ্ঠ এবং অতীব সম্মানিত অঙ্গ। সাথে সাথে এর দ্বারা তন্দ্রা ও নিদ্রাও দূরীভূত হয়। উযূ-গোসলের জন্য ফরয হিসেবে ধৌত করার এটি প্রথম অঙ্গ, এতে দু’টি চোখ রয়েছে যা নিদ্রার যন্ত্র বিশেষ। মহিলা ও তার স্বামী এবং পরিবারের লোকদের জাগানোর এ ব্যবস্থা বরবে। তবে এতে ইশারা পাওয়া যায় যে, রাতের ক্বিয়ামুল লায়ল করা, অপরকে জাগিয়ে তোলা ইত্যাদি কাজে পুরুষ অগ্রণী এবং অধিক হকদার।

এ হাদীসে সালাতুল লায়ল-এর ফাযীলাত, তার জন্য অন্যকে জাগানোর ফাযীলাত, জাগানোর ক্ষেত্রে সুন্দর সহনশীল আচরণ এবং পূর্ণ হৃদ্যতা ইত্যাদির কথা তুলে ধরা হয়েছে। আরো বিধৃত হয়েছে যে, আল্লাহ অনুগ্রহ কারো জন্য খাস নয় বরং তা সর্বজনীন।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)