১২১৬

পরিচ্ছেদঃ ৩২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রাতের সালাতে যা পড়তেন

১২১৬-[৬] শারীকুল হাওযানী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর নিকট গিয়ে প্রশ্ন করেছি, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রে ঘুম থেকে সজাগ হওয়ার পর কোন জিনিস দিয়ে ’ইবাদাত আরম্ভ করতেন। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বললেন, তুমি আমাকে এমন বিষয় জিজ্ঞেস করেছ যা তোমার পূর্বে আমাকে কোন লোক জিজ্ঞেস করেনি। তিনি রাত্রে ঘুম থেকে জেগে উঠার পর প্রথম দশবার ’আল্ল-হু আকবার’ পাঠ করতেন। ’আলহামদু লিল্লা-হ’ বলতেন দশবার। ’’সুবহা-নাল্ল-হি ওয়া বিহামদিহী’’ পাঠ করতেন দশবার। ’’সুবহা-নাল মালিকিল কুদ্দূস’’ পাঠ করতেন দশবার। ’আস্‌তাগফিরুল্ল-হ’ পাঠ করতেন দশবার। ’লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ’ পাঠ করতেন দশবার। আর দশবার পড়তেন এ দু’আ, ’’আল্ল-হুম্মা ইন্নী আ’ঊযুবিকা মিন যীক্বিদ্ দুন্ইয়া ওয়া যীক্বি ইয়াওমিল ক্বিয়া-মাহ্’’। এরপর তিনি (তাহাজ্জুদের) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আরম্ভ করতেন। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ شَرِيقٍ الْهَوْزَنِيِّ قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ فَسَأَلْتُهَا: بِمَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْتَتِحُ إِذَا هَبَّ مِنَ اللَّيْلِ فَقَالَتْ: سَأَلْتَنِي عَنْ شَيْءٍ مَا سَأَلَنِي عَنْهُ أَحَدٌ قَبْلَكَ كَانَ إِذَا هَبَّ مِنَ اللَّيْلِ كَبَّرَ عَشْرًا وَحَمِدَ اللَّهَ عَشْرًا وَقَالَ: «سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَشْرًا» وَقَالَ: «سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ» عشرا واستغفر عشرا وَهَلل عَشْرًا ثُمَّ قَالَ: «اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ ضِيقِ الدُّنْيَا وَضِيقِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ» عَشْرًا ثمَّ يفْتَتح الصَّلَاة. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن شريق الهوزني قال دخلت على عاىشة فسالتها بم كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يفتتح اذا هب من الليل فقالت سالتني عن شيء ما سالني عنه احد قبلك كان اذا هب من الليل كبر عشرا وحمد الله عشرا وقال سبحان الله وبحمده عشرا وقال سبحان الملك القدوس عشرا واستغفر عشرا وهلل عشرا ثم قال اللهم اني اعوذ بك من ضيق الدنيا وضيق يوم القيامة عشرا ثم يفتتح الصلاة رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: রাতে ঘুম থেকে জেগে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশবার তাকবীর পড়তেন, দশবার আল্লাহর প্রশংসা করতেন, তা হলো এভাবে যে, দশবার আল্ল-হু আকবার পড়তেন এবং দশবার আলহাম্‌দুলিল্লা-হ পড়তেন। ‘সুবহা-নাল্ল-হিল মালিকিল কুদ্দূস’ এর অর্থ হলো তিনি (আল্লাহ) বিপদ মুসীবাত দুর্যোগ এবং সকল প্রকার ত্রুটি থেকে পুত পবিত্র, সুতরাং আমি তারই পবিত্রতা ঘোষণা করছি। এরপর আল্লাহর রসূলের ইস্তিগফার করাটা হলো নিজেকে মহান আল্লাহর কাছে ছোট করে পেশ করা এবং উম্মাতকে শিক্ষা দেয়া।

দুনিয়ার সংকীর্ণতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনার অর্থ হলো দুনিয়ার অপছন্দনীয় বস্ত্ত থেকে আশ্রয় চাওয়া, যা মানুষের বক্ষকে সংকীর্ণ করে দেয় এবং অন্তরকে বক্র করে দেয়। মুল্লা ‘আলী আলী ক্বারী (রহঃ) বলেন, এটা দ্বারা দুনিয়ার কাঠিন্যতার কথা বলা হয়েছে। কেননা মানুষ যখন দুনিয়ার রোগ ব্যাধি, ধার-কর্জ-ঋণ ইত্যাদি কষ্টে আক্রান্ত হয় তখন দুনিয়া প্রশস্ত হওয়া সত্ত্বেও তার জন্য যেন তা সত্যি সত্যি সংকীর্ণ হয়ে যায়। ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) সংকীর্ণতা বলতে তার বিভিন্ন অবস্থা ও বিভীষিকাময় ঘটনাসমূহ (যেমন পুলসিরাত, মীযান ইত্যাদি)।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)