১১৮৯

পরিচ্ছেদঃ ৩১. প্রথম অনুচ্ছেদ - রাতের সালাত

১১৮৯-[২] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকেই এ হাদীসটিও বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাজ্‌রের (ফজরের) সুন্নাত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) (ঘরে) আদায়ের পর যদি আমি সজাগ হয়ে উঠতাম তাহলে আমার সঙ্গে কথাবার্তা বলতেন। আর আমি ঘুমে থাকলে তিনি শয়ন করতেন। (মুসলিম)[1]

بَابُ صَلَاةِ اللَّيْلِ

وَعَنْهَا قَالَتْ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا صَلَّى رَكْعَتَيِ الْفَجْرِ فَإِنْ كُنْتُ مستيقظة حَدثنِي وَإِلَّا اضْطجع. رَوَاهُ مُسلم

وعنها قالت كان النبي صلى الله عليه وسلم اذا صلى ركعتي الفجر فان كنت مستيقظة حدثني والا اضطجع رواه مسلم

ব্যাখ্যা: (فَإِنْ كُنْتُ مُسْتَيْقِظَةً حَدَّثَنِىْ) যদি আমি সজাগ থাকতাম তাহলে তিনি আমার সাথে কথা বলতেন। অর্থাৎ তিনি ফাজরের (ফজরের) দু’ রাক্‘আত সুন্নাত আদায় করার পর আমার নিকট আসতেন। আমাকে জাগ্রত অবস্থায় পেলে আমার সাথে কথা বলতেন। আমাকে জাগ্রত না পেলে শয়ন করতেন। এ হাদীস এবং আবূ দাঊদে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস যাতে বলা হয়েছে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুদের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর সাথে কথা বলতেন।

এ দুই হাদীসের মধ্যে কোন বৈপরীত্য নেই। কেননা কখনো তিনি তাহাজ্জুদ সালাতের শেষে কথা বলতেন। আবার কখনো ফাজরের (ফজরের) সুন্নাত আদায় করে কথা বলতেন। আবূ দাঊদ-এর এ হাদীস দ্বারা অনেকেই প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে, ফাজরের (ফজরের) সুন্নাতের পর শয়ন করা মুস্তাহাব নয়। এর জবাবে বলা যায় যে, কোন কোন সময় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শয়ন ত্যাগ করা তা মুস্তাহাব হওয়াকে অস্বীকার করে না। বরং তা ওয়াজিব না হওয়া বুঝায় এবং আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বর্ণিত হাদীসে শয়নের যে আদেশ রয়েছে তা আবশ্যকীয় আদেশ নয় এ হাদীস তাই প্রমাণ করে। ইমাম নাবাবী বলেন, সুন্নাতের পর ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর সাথে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা বলা প্রমাণ করে ফাজরের (ফজরের) সুন্নাতের পর কথা বলা বৈধ তা মাকরূহ নয় যেমনটি কুফাবাসীগণ মনে করেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)