১১৭৮

পরিচ্ছেদঃ ৩০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সুন্নাত ও এর ফযীলত

১১৭৮-[২০] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট (অর্থাৎ হুজরায়) কোন দিন ’আসরের পরে দু’ রাক্’আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করা ছেড়ে দেননি। (বুখারী, মুসলিম)

বুখারীর এক সানাদের ভাষা হলো, তিনি [’আয়িশাহ্ (রাঃ)] বলেছেনঃ ঐ আল্লাহর শপথ! যিনি রসূলের রূহপাক কবজ করেছেন। তিনি তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত এ দু’ রাক্’আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ছেড়ে দেননি।[1]

وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: مَا تَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ عِنْدِي قطّ
وَفِي رِوَايَةٍ لِلْبُخَارِيِّ قَالَتْ: وَالَّذِي ذَهَبَ بِهِ مَا تَركهمَا حَتَّى لَقِي الله

وعن عاىشة قالت ما ترك رسول الله صلى الله عليه وسلم ركعتين بعد العصر عندي قطوفي رواية للبخاري قالت والذي ذهب به ما تركهما حتى لقي الله

ব্যাখ্যা: আমার নিকটে এসে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো ‘আসরের পরে দু’ রাক্‘আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) পরিত্যাগ করেননি অর্থাৎ ‘আবদুল ক্বায়স গোত্রের প্রতিনিধি দল আগমনের বৎসর যখন। তিনি ব্যস্ততার কারণে যুহরের পরে দু’ রাক্‘আত সালাত  আদায় করতে না পারার ফলে ‘আসরের সালাত আদায় করার পর তা আদায় করেন তখন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এ সালাত তিনি আর পরিত্যাগ করেননি বরং তা অব্যাহতভাবে আদায় করতে থাকেন। যেমনটি পূর্বে উম্মু সালামার হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।

নাসায়ীতে উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ঘরে মাত্র একবার ‘আসরের পর দু’ রাক্‘আত সালাত আদায় করেছেন। নাসায়ীতে আরেক বর্ণনায় রয়েছে, আমি তাকে এর আগে ও পরে এ দু’ রাক্‘আত সালাত আদায় করতে দেখিনি। হাফিয ইবনু হাজার বলেন, এ হাদীস ও উম্মু সালামার হাদীসের মধ্যে সমন্বয় এই যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সালাত স্বীয় ঘরে (‘আয়িশার নিকট) ব্যতীত আদায় করেননি। এজন্যই ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) এবং উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) তা অবহিত ছিলেন না। আর ইমাম শাওকানী সমন্বয় করেছেন এভাবে যে, এ দু’ রাক্‘আত সালাত নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে আদায় না করে ঘরে আদায় করেছেন ফলে অন্যরা তা অবহিত ছিলেন না।

যারা বলেন ‘আসরের পর নফল সালাত ক্বাযা আদায় করা যায় এ হাদীসটি তাদের দলীল। আর যারা বলেন, ‘আসরের পর তা ক্বাযা করা যায় না তারা বলেন, এটি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য খাস। তবে এর জবাবে বলা হয় যে, অব্যাহতভাবে তা আদায় করাটা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য খাস। ক্বাযা আদায় করা তাঁর জন্য খাস নয় বরং তা সবার জন্যই সমভাবে প্রযোজ্য।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)