১১৬৭

পরিচ্ছেদঃ ৩০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সুন্নাত ও এর ফযীলত

১১৬৭-[৯] উম্মু হাবীবাহ্ (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন। আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যে লোক যুহরের (ফরয সালাতের) পূর্বে চার রাক্’আত, এরপর চার রাক্’আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে। আল্লাহ তার ওপর জাহান্নামের আগুন হারাম করে দেন। (আহমাদ, তিরমিযী, আবূ দাঊদ, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ)[1]

عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ حَافَظَ عَلَى أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ قَبْلَ الظُّهْرِ وَأَرْبَعٍ بَعْدَهَا حَرَّمَهُ اللَّهُ عَلَى النَّارِ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَه

عن ام حبيبة قالت سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول من حافظ على اربع ركعات قبل الظهر واربع بعدها حرمه الله على النار رواه احمد والترمذي وابو داود والنساىي وابن ماجه

ব্যাখ্যা: (وَأَرْبَعٍ بَعْدَهَا) তার পরে অর্থাৎ যুহরের পরে চার রাক্‘আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে। কারী বলেন, তন্মধ্যে দুই রাক্‘আত সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ্ আর দুই রাক্‘আত মুস্তাহাব। অতএব তা দুই সালামে আদায় করাই উত্তম।

(حَرَّمَهُ اللّهُ عَلَى النَّارِ) আল্লাহ তাকে আগুনের জন্য হারাম করে দিবেন। সিন্দী বলেন, এর প্রকাশমান অর্থ হলো সে জাহান্নামে প্রবেশই করবে না। এও বলা হয়ে থাকে যে, সে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে না। তবে এ পরবর্তী অর্থটি অবান্তর। বরং বলা যায় যে, যে ব্যক্তি নিয়মিত উক্ত সালাত আদায় করবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে কল্যাণমূলক কাজ করার তাওফীক দান করবেন এবং তার সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিয়ে তাকে জাহান্নামের জন্য হারাম করে দিবেন। উম্মু হাবীবাহ্ (রাঃ) বর্ণিত এ হাদীসটি হাসান সহীহ।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)